জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি–টোয়েন্টি ভার্সনে টানা তিন ম্যাচে জয়ের পর হারের মুখ দেখেছিল চট্টগ্রাম বিভাগীয় দল। আগের ম্যাচে রংপুর বিভাগের কাছে হেরেছিল চট্টগ্রাম। গতকাল ষষ্ঠ রাউন্ডে এসে আবার জয়ের ধারায় ফিরল চট্টগ্রাম। মাহমুদুল হাসান জয়ের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরির উপর ভর করে চট্টগ্রাম ৯৯ রানে হারিয়েছে সিলেট বিভাগকে। ৬৩ বলে ১১০ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন জয়। এনসিএল টি–টোয়েন্টির ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। লিগের ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে ৪ জয় এবং এক ড্রতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠল চট্টগ্রাম। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তম স্থানে সিলেট। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগটা ভালভাবে কাজে লাগিয়েছে চট্টগ্রাম। উদ্বোধনী জুটিতে ৪০ বলে ৬৩ রান যোগ করেন দুই ওপেনার জয় ও মোমিনুল হক। ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৯ বলে ৩২ রান করে ফিরেন মোমিনুল। এরপর শাহাদাত হোসেন ২ ও সাদিকুর রহমান ১৪ রানে আউট হলে ৮৪ রানে ৩ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। চতুর্থ উইকেটে সিলেটের বোলারদের উপর তাণ্ডব চালিয়ে চট্টগ্রামকে শক্ত অবস্থানে নেন জয় ও উইকেটরক্ষক ইরফান শুক্কুর। ৫৭ বলে ১২২ রানের জুটি গড়ে দলের রান ২শ পার করেন তারা। ৪০ বলে হাফ–সেঞ্চুরির পর ১৯ বলে পরের ৫০ রান করেন জয়। এতে ৫৯ বলে টি–টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তিনি। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হবার আগে ৫টি চার ও ৯টি ছক্কায় ৬৩ বলে ১১০ রান করেন জয়। অপরদিকে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২২ বলে ৪১ রান করেন ইরফান শুক্কুর। এতে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২১৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। এনসিএল টি–টোয়েন্টিতে এটি সর্বোচ্চ দলীয় রান। বল হাতে সিলেটের তোফায়েল আহমেদ ৩টি ও স্পিনার নাবিল সামাদ ২ উইকেট নেন। জবাবে চট্টগ্রাম বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৮.১ ওভারে ১১৫ রানে অলআউট হয় সিলেট। দলের পক্ষে মাত্র তিনজন ব্যাটার দুই অংকের ঘরে যেতে পেরেছেন। প্রথম ওভারেই ওপেনার জাকির হাসানকে ফেরান রুবেল। দ্বিতীয় উইকেটে অমিত হাসান এবং খালিদ হাসান মিলে যোগ করেন ৪২ রান। ১৮ রান করা খালিদ হাসানকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙ্গেন আশরাফুল। এরপর রুবেলের স্পিন এবং আহমেদ শরীফের পেসের সামনে পড়ে হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়তে থাকে সিলেটের ব্যাটিং । ২ উইকেটে ৪৫ থেকে ১১৫ রানে অল আউট হয়ে যায় সিলেট। ওপেনার অমিত হাসান সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন ২৫ বলে। মেরেছের ৭টি চার। এছাড়া আবু জায়েদ ২৫ বলে করেন ৩৭ রান। চট্টগ্রামের পক্ষে মোহাম্মদ রুবেল ৩টি উইকেট নিয়েছেন ১৫ রানে। নিজের অভিষেক ম্যাচেও তিন উইকেট নিয়েছিলেন রুবেল। এছাড়া আহমেদ শরিফ ও হাসান মুরাদ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট । ম্যাচ সেরা হয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়।