জন্মিলে মরিতে হইবে–এ যেমন সত্য, তেমনই সত্য এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে জীবনকে গুছিয়ে জীবনযাপন করা। আমরা বর্তমান সময়কালে এমন ভাবনাকে খুব বেশি যে ভাবি– তা আমাদের কাজকর্মের মধ্যে প্রতিফলিত হয় না। সারাজীবন সাধাসিধে আটপৌরে জীবনযাপন করা জ্ঞানতাপস যোগেশ চন্দ্র সিংহ এমনই এক মনীষী, যিনি তাঁর জীবনযাপনে এক অনন্যমাত্রা সংযোজন করে যেতে পেরেছেন। ছিলেন ইংরেজি বিষয়ের অধ্যাপক। কিন্তু তাঁর সাহিত্যকর্ম বাংলা ভাষায়। আর তাঁর সাহিত্য কর্ম দুই বাংলায় সমাদৃত।
যোগেশ চন্দ্র সিংহ তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে ব্যস্ত ছিলেন অধ্যাপনা আর সাহিত্য রচনায়। ফলে, অধ্যাপনা থেকে অবসরের পর নিয়মিত সাহিত্য রচনা করে গেছেন। বই প্রকাশ করেছেন। যখন আর বই প্রকাশ থেকে বিরত থাকলেন, নিজ ধ্যানে ও মনে ডায়েরি লিখেছেন এবং পড়েছেন। শেষ বয়সে এসেও এমনকি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি লেখা ও পড়ার মধ্যেই ছিলেন।
১৯৭৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জ্ঞানতাপস যোগেশ চন্দ্র সিংহ দেহত্যাগ করেন। আর অবাক করা বিষয় হচ্ছে : মৃত্যুর আগে তিনি নিজেই তাঁর ডায়রিতে লিখে মৃত্যু পরবর্তী ঘটনা কেমন হতে পারে– তা লিখেছেন।
মৃত্যু যখন অতর্কিতে আঘাত করিল তখন কি দেখলাম? দেখিলাম, পৃথিবী যেমন চলিতেছিল, তেমনভাবেই চলিতেছে। মানুষের চলাফেরা, কাজকারবার, কোলাহল–সংঘর্ষ সকলই চলিতেছে। শুধু এক জায়গায় জাগাইয়া তুলিল অশান্ত ক্রন্দনের বিপুল বেদনা। শুধু এক জায়গায় জ্বালিয়া তুলিল বিয়োগ দুঃখের তীব্র হুতাশন। ভরা সংসারের মধ্যে এক মুহূর্তে উছলিয়া উঠিল মহাশূন্যতার আর্তনাদ। …
যেমনটি তিনি লিখেছিলেন, ঠিক তেমনটিই ঘটেছে। তিনি মানব জীবনের ঘূর্ণায়মান চক্র নিয়ে গবেষণা করেছেন। চিন্তা করেছেন সৃষ্টির দর্শন নিয়ে। মৃত্যু তত্ত্ব নিয়ে। এমনতর লেখা আমরা পাই তাঁর লিখিত “ধ্যানী রবীন্দ্রনাথ” গ্রন্থে। তিনি এখানে লিখেছেন:
মৃত্যু, প্রত্যেকের অন্তরের অন্তঃস্থলে, দেহের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনুপ্রবিষ্ট থাকিয়া জন্ম–স্থিতি–বৃদ্ধি–পরিণাম–অপক্ষয়–বিনাশ প্রভৃতি এই ষড়বিধ বিকারের মধ্য দিয়া অলঙ্ঘ গতিতে ক্রীড়াশীল। যাহাতে স্থুল দৃষ্টিতে বলা হয় জীবন লীলা।
“ধ্যানী রবীন্দ্রনাথ” বইটি যোগেশ চন্দ্র সিংহের লেখা অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এই বইতে রবীন্দ্রনাথকে তিনি যেভাবে আবিষ্কার করেছেন, উপলব্ধি করেছেন তাঁর লেখার সমগ্র বিষয়– যা আর কোনো লেখকের রচনায় পাইনি। এই বইটিতে মোট বাইশটি পর্ব রয়েছে। যথাক্রমে: উপক্রম, রবীন্দ্রনাথের আত্মজিজ্ঞাসা, রবীন্দ্র প্রয়াণ, মৃত্যু প্রেমিক রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথের আত্মপ্রকাশ তত্ত্ব, জীবন শিল্পী রবীন্দ্রনাথ, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পটভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ, ভূমারসিক রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ–তথ্য ও সত্য, গতির কবি রবীন্দ্রনাথ, রোমান্টিক রবীন্দ্রনাথ, মীষ্টিক রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রকাব্যে অহল্যা, পরিশোধ কাব্য ও শ্যামা নাট্যে রবীন্দ্রনাথ, উর্বশী রহস্য, ছবি ও তাজমহল, মানবরসিক রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্র মানসের ত্রিধারা, রবীন্দ্র গল্পে আত্মজীবন–বেদ, ঔপনিষদিক রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথের হৃদয়–যমুনা, রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুতত্ত্ব। সমগ্র বইটির এই বাইশটি পর্ব পাঠ করলেই বোঝা যাবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকে। তাঁর দর্শনকে। এত বিশদভাবে বিশ্লেষণ রবীন্দ্রনাথকে বুঝতে সহজ করে দিয়েছেন তিনি।
“রোমান্টিক রবীন্দ্রনাথ” পর্বে যোগেশ চন্দ্র সিংহ লিখেছেন: তাঁহার জাদুর পরশে তাহাও হইয়াছে অসাধারণভাবে মনোহর। তিনি এক সময়ে লিখিয়াছেন–
বাতাসে মিশায়ে দিব এক বাণী
মধুর অর্থ ভরা।
নবীন আষাঢ়ে রচি নব মায়া
এঁকে দিয়ে যাব ঘনতর ছায়া
করে দিয়ে যাব বসন্ত কায়া
বাসন্তীবাস–পরা।
ধরণীর তলে গগনের গায়
সাগরের জলে অরণ্য ছায়
আরেকটু খানি নবীন আভায়
রঙীন করিয়া দিব।
এই মায়া–ছায়ার স্পর্শে জল স্থল আকাশ এক অপরূপ রঙীন আভায় রঙীন হইয়াছে, পৃথিবীর ধূলিও হইয়াছে মধুময়। বিশ্বজাদুকরের জাদুলীলাও কবির কল্পনার রঙে নবীন রূপে প্রকাশিত, “আমি নিজে সৃষ্টি করি তারে” –ইহাই রোমান্টিক কবির স্বধর্ম।
“রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুতত্ত্ব” পর্বে আমরা আরেক রবীন্দ্রনাথকে আবিষ্কার করি। যোগেশ চন্দ্র সিংহের লেখায় উঠে এসেছে কঠিন বাস্তবতা। তিনি লিখেছেন:
জীবনের পথে যে অগ্রগতি তাহাও তো পলে পলে মরণেরি উল্লাস ; কবিচিত্ত এই অনুভূতি হইতে কখনও ভ্রষ্ট হয় নাই ; মরণই তাঁহার জীবন–তরীর কর্ণধার,
মেঘ বলেছে ‘যাব যাব’
রাত বলেছে ‘যাই’
মরণ বলে, ‘আমি তোমার
জীবন–তরী বাই।
ধ্যানী রবীন্দ্রনাথ বইটি পড়তে গিয়ে উপলব্ধি করলাম, যোগেশ চন্দ্র সিংহের জীবনে রবীন্দ্রনাথ ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছেন। ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন বটে, বাংলা সাহিত্যেও এমন গবেষণাধর্মী বই লিখে যোগেশ চন্দ্র সিংহ বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। রবীন্দ্রনাথ যেমন নিজে মৃত্যু ভাবনা লিখেছেন, তেমনি যোগেশ চন্দ্র সিংহও তাঁর দেহত্যাগের আগেই এমন অনুভূতির কথা অকপটে লিখে গেছেন। আমরা মৃত ব্যক্তির শোকে আচ্ছন্ন থাকলেও, পরবর্তীতে এই শোক কি স্থায়ী থাকে? এমন প্রশ্ন তিনি নিজেই করে লিখেছেন: কিন্তু তাহাও কি চিরন্তন? জাগতিক কিছুই চিরন্তন নহে। জগতে সবই চলিতেছে, চলিতেছে, চলিতেছে। এই চলার শেষ নাই। এই চলার পথে কত কিছুই ফুটিয়া উঠিতেছে। কোথাও কোনো অবস্থাকে বলিতেছি সুখ, কোথাও দুঃখ, কোথাও হাসি, কোথাও ক্রন্দন, কোথাও জীবন মরণ। কিন্তু সত্য দৃষ্টিতে দেখিতে পারিলে বুঝিতে পারিতাম, এই যে নানা রঙের, নানা ভঙিমায় নানা কিছুর উদ্ভব হইতেছে–ইহারা সকলেই এক পরম মহান সত্তার মধ্যে বিধৃত রহিয়াছে।
যোগেশ চন্দ্র সিংহ আমার প্রমাতামহ। আমার মা মিনতি বিশ্বাস (দাশগুপ্ত) তাঁর নাতনি। সেই সূত্রে আমি শৈশব থেকেই বড়বাবা যোগেশ চন্দ্র সিংহকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ যেমন পেয়েছি, তেমনি সান্নিধ্যে থাকতে পেরেছি। ঘুম ও বিশ্রাম ছাড়া তাঁর সময় কাটতো নিজের পাঠাগারে। সারি সারি বই। অবাক হতাম এই ভেবে যে, একজন মানুষ কীভাবে সারাক্ষণ বইয়ের মধ্যে থাকতে পারে। বিনোদন ছিল– রেডিওতে খবর শোনা, রবীন্দ্র সংগীত শোনা। বড় বাবার সাথে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গিয়েছি। তখন আমার বড়মা স্বর্ণলতা সিংহ (যোগেশ চন্দ্র সিংহের স্ত্রী) আমায় সাথে নিয়ে যেতেন। তখন দেখেছি, বড়বাবার প্রতি সর্বস্তরের মানুষের অসীম ভক্তি ও শ্রদ্ধা।
শিক্ষা জীবন
যোগেশ চন্দ্র সিংহ বর্তমানের সাধনপুর বাণীগ্রাম মাইনর স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৯১০ সালে পটিয়া স্কুল হতে নতুন চালু হওয়া এনট্রান্স পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে পাশ করেন। ১৯১২ সালে কলিকাতা সিটি কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন প্রথম বিভাগে এবং “বঙ্কিম মেডেল” অর্জন করেন। কলিকাতা সিটি কলেজ হতে প্রথম শ্রেণিতে ইংরেজি বিভাগে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইংরেজি বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে এম.এ পাশ করেন।
কর্মজীবন
কলিকাতা থেকে ফিরে যোগেশ চন্দ্র সিংহ ১৯১৮ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে ইংরেজি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৪৮ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত টানা ত্রিশ বছর বৎসর অধ্যাপনা করার পর চট্টগ্রাম কলেজ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। (এখানে উল্লেখ্য যে, ভারত ও পাকিস্তান নামে দুই রাষ্ট্রের উদ্ভব হয় তাঁর কর্মজীবনের সময়ের মধ্যে। চট্টগ্রাম কলেজের অন্যান্য সহকর্মী ভারতে চলে গেলেও মাতৃভূমির টানে যোগেশ চন্দ্র সিংহ চট্টগ্রামে থেকে যান। এমনকি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়েও তিনি সপরিবারে চট্টগ্রামে রহমতগঞ্জস্থ নিজ বাসভবনে কাটিয়েছিলেন।)
১৯৪৯ সালে চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম কমার্স কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে, যোগেশ চন্দ্র সিংহ ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫০ সাল পর্যন্ত দুই বছর কমার্স কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫৪ সালে চট্টগ্রামে প্রথম নৈশ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে, তিনি এই কলেজে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে এই নৈশ কলেজ বর্তমানে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজে রূপান্তরিত হয়। ১৯৫৭ সালে চট্টগ্রামে প্রথম মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি এই কলেজেরও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। এখানে উল্লেখ্য যে, নৈশ কলেজ ও মহিলা কলেজ ছিল বর্তমানের নজির আহমদ চৌধুরী সড়কস্থ এম.ই.এস স্কুল ভবনে। ১৯৬০ সালের ৩১ ডিসেম্বর যোগেশ চন্দ্র সিংহ চাকুরি বিধিমালা মোতাবেক মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি নানাবিধ গ্রন্থ রচনা করেছেন। পরে অবসর গ্রহণ করার পরেও বই লিখেছেন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তাঁর লেখালেখি অব্যাহত ছিল।
যোগেশ চন্দ্র সিংহ স্বর্ণপদক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগেশ চন্দ্র সিংহ স্বর্ণপদক চালু করার উদ্যোগ নেন তাঁর স্ত্রী স্বর্ণলতা সিংহ। ১৯৮১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তারিখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ড. আবদুল আজিজ খানের কাছে পঁচিশ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন বড়মা স্বর্ণলতা সিংহ। বাংলা বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া কৃতি শিক্ষার্থীই এই স্বর্ণপদক পাবেন। ১৯৮৩ সালে যোগেশ চন্দ্র সিংহ স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন ড. মহীবুল আজিজ।
ড. মহীবুল আজিজ আমাদের সাহিত্য জগতের অতি পরিচিত মুখ। তাঁর যে কোনো লেখা পড়লেই বিশ্ব ভ্রমণ করে আসা যায়। যোগেশ চন্দ্র সিংহ পদক পাওয়া এবং এই বিষয়ে তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করলেন এভাবেই: ছাত্রাবস্থায় আমি “ধ্যানী রবীন্দ্রনাথ” বইটি কিনে পড়ি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে জানা হলো। এই বইটি আমার বাংলা সাহিত্য পড়ায় সহায়ক হিসেবে কাজে লেগেছে। যাহোক, যখন আমি এই পদক পেলাম, রীতিমতো বিস্মত আমি। কারণ, আমার আগে কেউ পায়নি। আর এনিয়ে যোগেশ বাবুর পরিবারে একটা আফসোস হচ্ছিল – কেউ পাচ্ছে না কেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা বাবুল মজুমদার যখন জানালেন, আমার পদক প্রাপ্তির কথা এবং যোগেশ চন্দ্র সিংহের পরিবারের কথা, সিদ্ধান্ত নিলাম, একদিন যাব যোগেশ চন্দ্র সিংহের বাসায়। রহমতগঞ্জে “নবীনমেলা” নামে একটি সংগঠন আছে। তার উল্টো দিকে দ্বিতল বাড়িটি যোগেশ বাবুর। তিনি পরলোকগমন করেছেন ১৯৭৯ সালে। আমি এই পদক পেলাম ১৯৮৩ সালে। এক বিকেলে গিয়ে যোগেশ চন্দ্র সিংহের স্ত্রীর সাথে দেখা করি। ভীষণ খুশী হয়েছিলেন। কারণ, তিনি তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর স্বামীর নামে পদক পাওয়া মানুষটিকে দেখে যেতে পারলেন।”
যোগেশ চন্দ্র সিংহ ছিলেন তাঁর সময়ে বৃহত্তর চট্টগ্রামে এবং কলিকাতায় সর্বজন শ্রদ্ধেয়। তিনি ছিলেন সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতার বাইরের এক উজ্জ্বল মানুষ। মাতৃভূমির টানে তিনি প্রিয় চট্টগ্রামেই সারাজীবন কাটিয়ে গেলেন। বোধ করি, সেই কারণেই যোগেশ চন্দ্র সিংহ হতে পেরেছিলেন অজাতশত্রু, জাতি–ধর্ম–বর্ণ – সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবার প্রিয় আপনজন।
দেশে–বিদেশে যোগেশ চন্দ্র সিংহের অনেক কৃতিমান ছাত্র–ছাত্রী আছেন। তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত হয় “যোগেশ স্মৃতি”। এই বইটিতে তাঁর প্রিয় ছাত্র, পরিবারের সদস্য, আপনজনেরা লিখেছেন তাঁকে নিয়ে।