মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক ঊর্ধ্বতন সদস্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে গোপনে আলোচনা চালাচ্ছেন। নাম প্রকাশে রাজি না হওয়া একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এ খবর দিয়েছে। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি লিখেছে, জেলেনস্কির প্রেসিডেন্ট পদে থাকার মেয়াদ গত বছর শেষ হয়ে গেলেও মার্শাল ল বা সামরিক আইনের দোহাই দিয়ে তিনি নির্বাচন দিতে রাজি হচ্ছেন না। ইউক্রেইনের সংবিধানে মেয়াদ শেষ হলে প্রেসিডেন্টকে পার্লামেন্টের স্পিকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হয়, কিন্তু জেলেনস্কি সেটা করতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউক্রেইনের তিন সাংসদ ও রিপাবলিকান পার্টির পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ পলিটিকোকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া টিমোশেঙ্কো ও সাবেক প্রেসিডেন্ট পিওতর পোরোশেঙ্কোর সঙ্গে আলোচনায় নির্বাচনের পথ খোলা নিয়েই কথা হয়েছে। ট্রাম্প সমপ্রতি জেলেনস্কিকে নির্বাচন ছাড়া স্বৈরাচার অ্যাখ্যা দিয়েছেন। তার প্রশাসনের অনেকেই ইউক্রেইনের এই নেতাকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আকাঙ্ক্ষিত শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা হিসেবে দেখছেন। গত শুক্রবার হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প–জেলেনস্কির মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডার পর অনেক মার্কিন রাজনীতিকই জেলেনস্কিকে প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আরটি লিখেছে, টিমোশেঙ্কো ও পোরোশেঙ্কো প্রকাশ্যে জেলেনস্কির নেতৃত্বের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে এলেও গোপনে তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছেন।