জেটিঘাট ভেঙে দুর্ভোগ

ছনুয়া-কুতুবদিয়া

বাঁশখালী প্রতিনিধি | শনিবার , ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৫:৫৩ অপরাহ্ণ

বাঁশখালীর ছনুয়া-কুতুবদিয়া জেটি ঘাটটি ভেঙে যাওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ জনগণ। গত মঙ্গলবার এ জেটিটি ভেঙে পড়ে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিএ) তদারকিতে থাকা এ জেটি ঘাটটি সচল করতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। জানা গেছে, ছনুয়া টার্মিনাল জেটি হয়ে মানুষ কুতুবদিয়া উপজেলায় যাতায়াত করে। বিশেষ করে কুতুবদিয়ায় পীরে কামেল হযরত মৌলানা মালেক শাহ (রহ.) এর মাজার জেয়ারতে যাওয়া অসংখ্য ভক্ত-আশেক ও মুরিদানরা এই জেটিঘাট দিয়ে কুতুবদিয়ায় যাতায়াত করে। এছাড়া কুতুবদিয়ার ছনুয়ার অধিকাংশ লবণ ও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারগুলোও প্রতিনিয়ত এই ঘাটই ব্যবহার করে থাকে। তাই ভেঙে পড়া ছনুয়া জেটিঘাটটি দ্রুত মেরামত করা অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। না হলে যেকোনো সময় জোয়ারের পানিতে ঘাটটি সাগরে তলিয়ে যাবে।
ছনুয়া টার্মিনাল জেটিঘাটের ইজারাদার শমসের শরীফী জানান, বর্ষা মৌসুমে তীব্র জোয়ার ভাটার কারণে জেটি ঘাটটি ব্যবহার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়। অনেক সময় গাছের পাটাতন ভেঙে দুর্ঘটনার শিকার হন যাত্রীরা। তিনি বলেন, প্রতি বছর সরকারিভাবে ৪-৫ লাখ টাকায় এ ঘাটের ইজারা হয়। পেকুয়া মগনামা ঘাট, কুতুবদিয়া বরঘোপ ঘাট ও দরবার ঘাট পাকা হলেও বাঁশখালী ছনুয়া ঘাটটি নিয়ে মানুষের দুঃখ ও দুর্ভোগের শেষ নেই। এ ঘাটটি পাকা করে নির্মাণে বাঁশখালীর সাংসদ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. হারুনুর রশিদ বলেন, ছনুয়া জেটি ঘাটটি জনগুরুত্বপূর্ণ ঘাট। প্রতিদিন এ ঘাট হয়ে মালামাল পরিবহন সহ প্রচুর লোক পারাপার হয়। এটি বিআইডব্লিউটিএ’র নিয়ন্ত্রণাধীন হওয়ায় মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণে ইউনিয়ন পরিষদের কোনো ভূমিকা নেই। তিনি এটা জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারে তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক নয়ন শীল বলেন, করোনার কারণে তেমন কোনো বাজেট নেই। গত অর্থ বছরের চেয়ে এই বছর বাজেট অর্ধেক। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। শীঘ্রই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিতি
পরবর্তী নিবন্ধ৮১ লাখ টাকার ইয়াবা নিয়ে ভাইবোন গ্রেপ্তার