ভিন্নমত, ভিন্ন চিন্তাকে মূল্যায়ণ করতে হবে। দেশে মেধা যোগ্যতা বিকাশ ও প্রসারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের পাশাপাশি এনজিওদেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথা স্বাক্ষরতা বাড়াতে প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। শুধু পরিকল্পনা করলে হবে না, পরিকল্পনামতো সেটা বাস্তবায়নও করাও প্রয়োজন। বিদেশী শিক্ষা আমরা এখানে বাস্তবায়ন করতে পারবো না এটা হলো বাস্তবতা। আমরা এমন শিক্ষা ব্যবস্থা চাই না, যেটা যুগোপযুগী নয়। আমরা বিশ্বের যে চ্যালেঞ্জের সামনে আছি, তা আমরা মোকাবেলা করতে পারবো না। যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (জেএসইউএস) ও গণসাক্ষরতা অভিযানের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জ এবং বৈশ্বিক অগ্রাধিকারের বিবর্তনের প্রেক্ষাপটে, গণসাক্ষরতা অভিযান ২০২৬–২০৩০ মেয়াদী একটি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে অভিযানের বিভাগীয় পর্যায়ের কৌশলগত পরিকল্পনার আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ শরীফ উদ্দিন উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন। নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউট গ্যালারি হলে জেএসইউএস নির্বাহী পরিচালক ইয়াসমীন পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কনসালটেশন সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস, এম, আবদুর রহমান, থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম। এছাড়া জেএসইউএস ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ও পরিচালক কবি সাঈদুল আরেফীনের স্বাগত বক্তব্য ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কনসালটেশনে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের ডেপুটি ডিরেক্টর ড. মোস্তাফিজুর রহমান এবং এবং উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন প্রোগ্রাম অফিসার জয়া সরকার। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলাথেকে আগত পার্টনার সংস্থার সরব উপস্থিতিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব এস, এম, আবদুর রহমান বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষারা তুলে ধরেন এবং পুরোপুরি সমাধান করতে না পারলেও আমাদের চেষ্টা করতে হবে অধিকাংশ সমস্যা সমাধান করেই শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। জেএসইউএস এর নির্বাহী পরিচালক ইয়াসমীন পারভীন তার সমাপনী বক্তব্যে, ‘গণসাক্ষরতা অভিযান ও জেএসইউএস’র আয়োজিত এ সভা থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালার সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রস্তুত করে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কর্মরত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে এ্যডভোকেসি’র একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে উল্লেখ করেন।”