জুস, চা, পিনাট, লেমন সিড, উৎপাদন সরঞ্জাম, নির্মাণ সরঞ্জাম এবং প্যাকিং উপাদান ঘোষণা দিয়ে মদ-বিয়ার ও সিগারেটের শলাকা আমদানি করছে নীলফামারীর একটি প্রতিষ্ঠান। উত্তরা ইপিজেডের মাজেন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটির হংকং থেকে এসব পণ্য আমদানি করে।
কাস্টম হাউস সূত্র জানায়, নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান মাজেন (বাংলাদেশ) ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (প্লট: ০২-২১, সেক্টর: ০৩) নামে হংকং থেকে উৎপাদন সরঞ্জামাদি, নির্মাণ সরঞ্জাম, প্যাকিং উপাদান, খাদ্যসামগ্রী ঘোষণায় এক কন্টেনার পণ্য আসে। গত ২১ মার্চ চালানটি খালাসের জন্য আমদানিকারক মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নগরীর আগ্রাবাদের মল্লিক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। যার নম্বর-সি-৬২০৫০। তবে গোপন সংবাদ থাকায় কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) রাজস্ব বোর্ডের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে চালানটির বিল অব এন্ট্রি লক করে রাখা হয়। নিয়ম অনুযায়ী পণ্য পরীক্ষার জন্য কন্টেনার খুলে শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় করা হয়। এরমধ্যে সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিকে অনুরোধ করলে গত ২১ মার্চ কন্টেনারটি ফোর্স কিপডাউন করে পণ্য নামানো হয়। এআইআর টিমের সদস্যরা দেখতে পান বড় কাঠের বক্সের ভেতর বিভিন্ন কার্টনে খাদ্য সামগ্রীর সাথে বিশেষ কায়দায় রাখা সিগারেট, মদ ও বিয়ার রয়েছে।
দেখা গেছে, আমদানিকারক ঘোষণা ছাড়া ২৬ দশমিক ৫ লিটার মদ, ১০ হাজার ২০০ শলাকা সিগারেট এবং ১ কেস বিয়ার নিয়ে এসেছে। এছাড়া ছিল চকলেট, কেক, কফি, বাদাম, চিনি, পানি, স্যুপ ইত্যাদি। জানতে চাইলে কাস্টমসের এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম জানান, আমদানিকারক বিল অব এন্ট্রিতে ঘোষিত পণ্যের চেয়ে অতিরিক্ত পণ্য এবং ঘোষণা বহির্ভূত বিভিন্ন পণ্য আমদানি করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।