চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহযোগিতায় ‘জুলাইয়ের সামাজিক চুক্তি : জুলাই সনদের জরুরত’ শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছে জুলাই নেটওয়ার্ক। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক জোট, পেশাজীবী এবং সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন। মতবিনিময় সভায় জুলাই সনদ বা জুলাই ঘোষণাপত্রে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং এই অভ্যুত্থানের পেছনে যে গণ–আকাঙ্ক্ষা রয়েছে তার প্রতিফলন থাকতে হবে বলে বক্তারা মত দেন।
মতবিনিময় সভার শুরুতে জুলাই নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে অধ্যাপক মাসউদুর রহমান স্বাগত বক্তব্য প্রদানপূর্বক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা শুরু করেন। জুলাই নেটওয়ার্ক কী, কিভাবে শুরু হয়েছে এবং কারা এর সদস্য–এই বিষয়ে সংক্ষিপ্তভাবে ধারণা প্রদান করা হয়। সভার উদ্দেশ্য ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন লেখক ও সমাজচিন্তক রিফাত হাসান। এরপর ওমর ফারুক আবির ‘জুলাইয়ের সামাজিক চুক্তি ও জুলাই সনদের জরুরত’ বিষয়ে প্রস্তাবনা পাঠ করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ–কমিটি সদস্য ইসরাফিল খসরু, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আর রাজী, গণঅধিকার পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ, কবি ও শিক্ষক মাইন উদ্দিন জাহেদ, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মূকাভিনেতা মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান মামুন, এবি পার্টির বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ লোকমান, এমপাওয়ারিং আওয়ার ফাইটারস এর সংগঠক কলি কায়েস, আহ্বায়ক, স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসির (স্যাড) ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এর জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য জাবেদ আহমেদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দরের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জবিউল হাসান সদস্য, জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক জুবাইরুল হাসান আরিফ, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য হাসান মারুফ রুমি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সদস্য সচিব এডভোকেট আমির আব্বাস, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সংগঠক হুজ্জাতুল আবির, নাগরিক ঐক্যের জেলা সমন্বয়ক নুরুল আফসার মজুমদার স্বপন ও কবি ও সমাজ চিন্তক রিফাত হাসান।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা জুলাই অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের এক ঐতিহাসিক সুযোগ হিসেবে চিহ্নিত করেন। কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য জুলাই সনদ প্রণয়ন কতটা অপরিহার্য, তা ব্যাখ্যা করা হয়। বক্তারা মত দেন, এই সনদে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের এবং এই অভ্যুত্থানের পেছনে যে গণ–আকাঙ্ক্ষা তার প্রতিফলন থাকতে হবে জুলাই সনদ বা ঘোষণাপত্রে।