ত্রয়োদশ সংবিধান সংশোধনীর ভিত্তিতে নয়, বরং জুলাই সনদে যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন করে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। খবর বাংলানিউজের।
আখতার বলেন, জুলাই সনদের আদেশ জারি করা হয়েছে। এ সনদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কীভাবে গঠিত হবে– এর একটা ফর্মুলার বিষয়ে সনদে বিস্তারিতভাবে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীতে শুধুমাত্র বিচার বিভাগ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করার যে বিধান ছিল, সেখান থেকে বেরিয়ে এসে বিচার বিভাগের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে সরকারি দল, প্রধান বিরোধী দল এবং তৃতীয় বৃহত্তম দলের সমন্বয়ে প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টা নিয়োগের ফর্মুলা সনদে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রক্রিয়া হিসেবে ‘র্যাংকড চয়েস ভোটিং’র কথা বলা হলেও সেখানে বিএনপি ‘নোট অফ ডিসেন্ট’ দিয়েছে।
আখতার বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিচার বিভাগের ওপর নির্ভরশীল করার কারণে এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নানা ধরনের সংকট ঘনীভূত হয়েছিল। ২০০১ সালে যখন বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলো, নিজেদের মতো করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তৈরি করার জন্য তারা বিচারপতিদের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এক–এগারোর মতো ঘটনা ঘটেছিল।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ।












