নগরীর বহদ্দারহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত দোকান কর্মচারী মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ হত্যা মামলায় ২৩১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেছে আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালত চার্জশিটটি গ্রহণ করেন। এর আগে মামলার বাদী পুলিশের দেওয়া চার্জশিটের বিরুদ্ধে একটি নারাজি পিটিশন দাখিল করলেও বিচারক তা খারিজ করে দেন। এজাহারভূক্ত মো. জাফর নামের এক যুবলীগ কর্মীকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া এবং নিরীহ কয়েকজনকে চার্জশিটে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম উক্ত নারাজি পিটিশনটি দাখিল করেছিলেন। তবে পূর্ণাঙ্গ নাম–ঠিকানা না পাওয়ায় মো. জাফরের নাম চার্জশিটে রাখা হয়নি মর্মে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে বাদীর নারাজি পিটিশন খারিজ করে আদালত কর্তৃক পুলিশের দেওয়া চার্জশিট গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রায়হানুল। দোকান কর্মচারী মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ হত্যা মামলায় গত ২৪ জুলাই সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ ২৩১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। গত বছরের জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে হতাহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে এটিই ছিল প্রথম চার্জশিট। চার্জশিটে উল্লেখ্যযোগ্য আরো যারা রয়েছেন তারা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, এম এ লতিফ, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভী, মহিউদ্দিন বাচ্চু, আবদুচ ছালাম, দিদারুল আলম দিদার, এস এম আল মামুন ও নোমান আল মাহমুদ, চসিকের সাবেক কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, এসরারুল হক, নুর মোস্তফা টিনু, পুলক খাস্তগীর, সলিমুল্লাহ বাচ্চু, জিয়াউল হক সুমন ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অর্থাৎ গত বছরের ৩ আগস্ট বহদ্দারহাটে গুলিতে নিহত হন দোকান কর্মচারী শহিদুল ইসলাম শহিদ। এ ঘটনায় গত বছরের ১৫ আগস্ট তার ভাই শফিকুল ইসলাম চান্দগাঁও থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।