কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে রেমিটেন্সে। আন্দোলন ইস্যুকে ঘিরে সাধারণ ছুটি, কারফিউ, ইন্টারনেট সেবাসহ মোবাইল ব্যাংকিং বন্ধ থাকায় সদ্য সমাপ্ত জুলাই মাসে দেশে রেমিটেন্স কম এসেছে। ওই মাসে দেশে রেমিটেন্স এসেছে প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার। গত জুন মাসে যার পরিমাণ ছিল ২৫৪ কোটি ডলার। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সর্বনিম্ন ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছিল। অবশ্য ২০২০ সালের জুলাইয়ে দেশে ২৫৯ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছিল। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে জুলাই মাসের রেমিটেন্সের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে, এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সরকারি ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ এবং ইন্টারনেট না থাকায় মোবাইল ব্যাংকিংও ছিল বন্ধ। ফলে রেমিটেন্স সংকট দেখা দেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই এটি আগের পর্যায়ে চলে আসবে।
ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসের প্রথম বিশদিন রেমিটেন্স প্রবাহ ভালো ছিল। প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ কোটি ডলার দেশে এসেছিল। ১ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ১৪২ কোটি ৯৩ লাখ ডলার রেমিটেন্স আসে। ২১ থেকে ৩১ জুলাই এসেছে ৪৭ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে গতকাল ৩১ জুলাই এক দিনেই এসেছে ১২ কোটি ডলার।
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে সরকারি ও সাধারণ ছুটি মিলিয়ে গত ১৯ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ ছিল। এ ছাড়া টানা ৫ দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও ১০ দিন মোবাইলে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। এ কারণে দেশের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈদেশিক লেনদেন প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রভাবে রেমিটেন্স কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা বলেন, এখন ব্যাংকিং সেক্টর পুরোপুরি স্বাভাবিক। রেমিটেন্স প্রবাহ আগের গতিতে ফিরে আসবে বলেও তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।