দেবালয়ের ক্রীতদাস
মননের সত্তায় পাপের জ্বলন জ্বলে
দেবতার শপথ পুড়ে দাবানলে
ক্রুসেডের স্লোগানে অর্ফিয়ুসের সুর বাজে,
হৃদঙ্গম বিশ্বাস,
ভস্মিত হয়
দেবতারই চুরি করা আগুনে!
লুন্ঠিত দেবালয়ে ক্ষুধার্ত ক্রীতদাস
চন্দ্রগ্রাসে খোঁজে পূর্ণিমার রোদ
কার্বনের কান্নায় জন্ম কাটে,
পেটই যখন ধর্ম
বাকি সব অচ্ছুৎ।
শরণার্থী
পিতৃপুরুষের জমিনে হাঁটতে হাঁটতে হয়ে গেছি শরণার্থী
কারো অহমের উতুঙ্গ উল্লাসে আমরা হয়েছি পাপেট!
মাটির খুশবু মাখা অতীতের আখর
মায়ের আঁচল হয়ে
হৃৎপিন্ডের পাঁজর ছিঁড়ে
বয়ে যায় লাল নদী জুড়ে।
পূর্ণিমার গাঙে আগুন জ্বলে!
মানুষ হারিয়ে যায়– চন্দ্রোদয়ের মশাল মিছিলে,
বুভুক্ষ দাঁড়কাকের চিৎকারে কেবল পরিতৃপ্ত ঘৃণা!
মুখ ও মুখোশের শিরণাস্ত্রে–
দেশলাইয়ের কাঠিতে সূর্যকে পোড়ানোর অহম উম্মাদনা!
আগুন তৃষ্ণায়
আজ জোৎস্নাপোড়া ছাই
বিচ্যুত প্রাণের বলিদান?
মানুষ হারিয়ে যায় আলোকবর্ষ আয়ুষ্কালে
পৌরাণিক ঠিকানায় তবু দাঁড়িয়ে থাকে সৃষ্টি প্রসবের গান।
রক্তের নেহালে
মরা নদীর বুকজুড়ে
শেয়ালের তুমুল কোরাসে
নিমকষ্টের বনে ডাহুক ডেকে চলে দ্রিমিতাক মাদলের ছন্দে।
ক্রুশবিদ্ধ চৌকাঠের জিউসের প্রার্থনালয়ে
একা দাঁড়িয়ে, মাটির জন্মজাত সন্তান দেখে–
যার হৃদয় পঁচে গেছে
আঁতরের ঘ্রাণও তার কাছে দুর্গন্ধই মনে হবে।