জুম্‌’আর খুতবা

কুরআন ও হাদীসের আলোকে শহীদের মর্যাদা

অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি | শুক্রবার , ১৮ জুলাই, ২০২৫ at ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা!

আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করুন! জেনে রাখুন, শাহাদাত হলো মহান আল্লাহর দয়া অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি লাভের এক সুমহান মর্যাদার স্তর। অসংখ্য নবী রাসূল আলাইহিম আসসালাম সাহাবায়ে কেরাম মু’মিন বান্দাগন, শাহাদাতের মর্যাদা লাভে ধন্য হয়েছেন। অসংখ্য সাহাবায়ে কেরাম নবীজির আহবানে সাড়া দিয়ে আল্লাহর পথে দ্বীনের জন্য শহীদ হয়েছেন। শহীদের রক্তের বিনিময়ে ইসলামের ত্যাগের আদর্শ ও মহিমা সমুন্নত হয়েছে।

আল কুরআনের আলোকে শহীদের মর্যাদা: ইসলামের বাণী সমুন্নত করা ও কাফিরদের অবনণিত করার ইচ্ছায় ধর্মের জন্য যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় আল্লাহর নিকট তাঁরা অপরিসীম মর্যাদার অধিকারী। পবিত্র কুরআনের অসংখ্য আয়াতে শহীদদের মর্যাদার কথা ঘোষিত হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তোমরা তাদেরকে মৃত বলোনা বরং তারা জীবিত কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি কর না। (সূরা: বাকারা, আয়াত: ১৫৪)

আল্লাহর দ্বীনের জন্য নিহত হওয়ার পর তাঁদের জীবন চলে যাওয়া, আওয়াজ বন্ধ হয়ে যাওয়া, অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া, চলন বলন কথন শ্রবণ শক্তি বাহ্যিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে তোমরা তাঁদের জীবন সম্পর্কে সন্দিহান হয়োনা, আল্লাহর রাস্তায় নিজের প্রাণ উৎসর্গ করে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দ্বীনের ঝান্ডাকে যারা সমুন্নত করেছেন তাঁদের ব্যাপারে মৃত ধারণা করতে কঠোর সতর্ক বাণী উচ্চারিত হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তোমরা তাদেরকে মৃত বলে ধারণাও করোনা বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে তারা রিযক প্রাপ্ত। (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ১৬৯)

চার শ্রেণির নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দাদের মধ্যে শহীদগণ অন্তর্ভুক্ত: মহান আল্লাহ চার শ্রেণির সৌভাগ্যবান বান্দাদের অপরিসীম মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছেন। তাদের জীবনাদর্শ অনুস্মরনীয় অনুকরণীয়। তাঁদের প্রতি অশ্রদ্ধা অসম্মান তাঁদের সমালোচনা অবমাননা লাঞ্চনা ও বঞ্চনার নামান্তর। মহান আল্লাহ তাঁদের প্রসঙ্গে এরশাদ করেছেন, এবং যে আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করে তবে সে তাঁদেরই সঙ্গ লাভ করবে যাদের উপর আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন, নবীগণ, সিদ্দিকগণ, সত্যনিষ্ট, শহীদগণ, এবং সত্যপরায়ন ব্যক্তিগণ। (সূরা: নিসা, আয়াত: ৬৯)

শহীদ অর্থ: শহীদ শব্দটি আরবি, পবিত্র কুরআনে শব্দটি একবচনে ৩৫বার, দ্বিবচনে একবার, বহুবচনে ১৮বার ব্যবহৃত হয়েছে, পবিত্র কুরআন ও হাদীসে শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। শহীদ শব্দের এক অর্থ সাক্ষ্য দেওয়া। পবিত্র কুরআনে লেনদেনের ক্ষেত্রে সাক্ষ্যদাতা বা সাক্ষী নিযুক্তির অপরিহার্যতা প্রসঙ্গে এরশাদ হয়েছে, (লেনদেনের ব্যাপারে) তোমাদের লোকদের মধ্যে দুজন পুরুষকে সাক্ষী করে নাও। এ অর্থের সাথে শহীদ শব্দের সম্পর্ক, পৃথিবীর মানুষ বিভিন্ন বিষয়ে সাক্ষী দেয়, শাহাদাতে কওলী, কথার সাক্ষ্য যেমন কলেমা উচ্চারণের মাধ্যমে একজন মুসলমান তাওহীদ ও রিসালতের সাক্ষ্য দেয়। শাহাদাতে ফেলী, কর্মের মাধ্যমে সাক্ষ্য দেয়া, মু’মিন বান্দাগন, নামায রোজা, হজ্ব, যাকাত, ইবাদত বন্দেগী সম্পাদনের মাধ্যমে ঈমানের সাক্ষ্য দেয়। শহীদগন দ্বীনের সত্যকে প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে জীবন উৎসর্গ করে দ্বীনে হকের তাওহীদের সাক্ষ্য প্রতিষ্ঠা করে। এজন্য শহীদকে রক্তমাখা কাপড়সহ দাফন করা হয়, তাকে গোসল দিতে হয়না। আল্লাহ তা’আলা তাঁর প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র শানে শহীদ শব্দ সাক্ষী অর্থে উল্লেখ করেছেন, পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, আর রাসূল (কিয়ামত দিবসে) তোমাদের সাক্ষী হবেন।

শহীদের এক অর্থ হলো উপস্থিত হওয়া, শহীদের রূহ দেহ থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হয়। শহীদ শব্দের আরেক অর্থ সাহায্য করা, পবিত্র কুরআনে শব্দটি সাহায্যকারী অর্থেও ব্যবহৃত হয়েছে, মহাগ্রন্থ আল কুরআনের সত্যতার ব্যাপারে যারা সন্দেহ সংশয় পোষণকারী তাদের প্রতি আল্লাহ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। এরশাদ করেছেন, আর তোমরা যদি সন্দিহান হও, যা আমি অবতীর্ণ করেছি আমার প্রিয় বান্দার উপর (কুরআন সম্পর্কে) তবে তোমরা অনুরূপ একটি ছোট সূরা নিয়ে এসো আর এ কাজে আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে আহবান কর যদি তোমরা সত্যবাদী হও। (সূরা বাকারা, আয়াত: ২৩)

শহীদের শরয়ী অর্থ: ইসলামী আইনজ্ঞ আল্লামা শামী (.)’র বর্ণনা মতে মুসলমানদের মধ্যে যে ব্যক্তি কাফিরদের সঙ্গে যুদ্ধে কিংবা যুদ্ধের কারণে নিহত হন, তাকে শহীদ বলা হয়। শহীদ শব্দটি কোনো সামাজিক বা রাজনৈতিক পরিভাষা নয়, অমুসলিম ব্যক্তির ক্ষেত্রে শাহাদাত শব্দটি প্রযোজ্য হবেনা। কোন ব্যক্তি শরীয়ত অনুযায়ী কৃত অপরাধের শাস্তি স্বরূপ মৃত্যুদন্ডে মারা গিয়েছে অথবা মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার পূর্বেই মারা গিয়েছে তিনি শহীদ হিসেবে গন্য হবেনা। তার ক্ষেত্রে শহীদের বিধান প্রযোজ্য নয়। ফিকহ শাস্ত্রের পরিভাষায় শহীদ বলা হয় প্রত্যেক বিবেকবান প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানকে যাকে অন্যায়ভাবে কোন আঘাতকারী যন্ত্র বা অস্ত্র দ্বারা হত্যা করা হয়েছে এবং সে হত্যার কারণে হত্যাকারীর উপর কোন মাল ওয়াজিব হয়না। এবং হত্যার কারণে পার্থিব কোন স্বার্থ বা উপকারিতা ভোগ করেনি, শরীয়ত মতে সে শহীদের পর্যায়ভুক্ত হবে। শহীদের বিধান হলো, শহীদকে গোসল দেয়া যাবেনা, তাঁর শরীর থেকে রক্ত মুছে ফেলা হবেনা বরং এগুলোসহ তাঁকে জানাযাসহ দাফন করা হবে। তাঁর শরীরের পরিহিত কাপড় খোলা হবেনা। শহীদের শরীর থেকে চামড়া জাতীয় কাপড় খুলে নিতে হবে।

হাদীস শরীফের আলোকে শহীদের মর্যাদা: শহীদের মর্যাদা প্রসঙ্গে অসংখ্য হাদীস বর্ণিত হয়েছে, কয়েকটি হাদীস শরীফ উপস্থাপন করা হলো। আল্লাহর নিকট শহীদের জন্য ছয়টি মর্যাদা রয়েছে, শহীদের রক্ত প্রবাহিত হওয়ার পূর্বেই তাঁকে ক্ষমা করা হয়, জান্নাতে তাঁর ঠিকানা দেখানো হয়, কবরের শাস্তি হতে নিরাপদ রাখা হয়, কিয়ামতের ভয়ঙ্কর অবস্থা থেকে নিরাপদ রাখা হয়। তাঁর মস্তকে একটি সম্মানের মুকুট পরিধান করানো হবে, যার এক একটি ইয়াকুত পাথর দুনিয়া ও দুনিয়ার যাবতীয় সম্পদ থেকে অধিক মূল্যবান। বেহেস্ত থেকে তিহাত্তর জন হুর রমনীর সঙ্গে তাকে নিকাহ দেয়া হবে, তাঁর আত্নীয় স্বজনদের থেকে সত্তর জনের জন্য সুপারিশ করার জন্য তাঁকে অনুমতি দেয়া হবে। (তিরমিযী, আহমদ, ইবনে মাযাহ)

শহীদরা জান্নাতে যাবার পর বারবার শহীদ হওয়ার জন্য দুনিয়াতে ফিরে আসতে চাইবে: হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, কোনো জান্নাতী এটা চাইবেনা যে তাকে আবার দুনিয়াতে পাঠানো হোক, যদিও তাকে সারা দুনিয়ার মালিক বানিয়ে দেয়া হয়, কিন্তু একজন শহীদ তাঁর জান্নাতী মর্যাদা প্রত্যক্ষ করে কামনা করতে থাকবে তাঁকে অন্তত দশবার দুনিয়াতে পাঠানো হোক। যেন প্রতিবার সে শহীদ হয়ে আসতে পারে। (সহীহ বুখারী: ২৮১৭)

যে সব মৃত্যুতে শহীদের ছওয়াব পাবে: কেবল জিহাদে নিহত হলে তার নাম শহীদ নয়, হাদীস শরীফে আরো অনেক প্রকার শহীদের বর্ণনা রয়েছে, যাদের ক্ষেত্রে শহীদের বিধান কার্যকর করা হবে না। অন্যান্য সাধারণ মৃতের ন্যায় তাঁদেরকে গোসল জানাযা ও দাফন যথারীতি সম্পাদন করা অপরিহার্য। অনেক প্রকার এমন আমল রয়েছে যে গুলো করলে শহীদের ছওয়াব পাওয়া যায়। ১. যে প্লেগ রোগে মারা যায়, . যে পানিতে ডুবে মারা যায়, . গোসল ওয়াজিব হয়েছে এমন অবস্থায় মারা গেলে সে শহীদ, . আগুনে পুড়ে মারা গেলে, . পেটের রোগে মারা গেলে, . দেওয়াল চাপা পড়ে মারা গেলে, . সন্তান প্রসব কালে মারা গেলে, . কুমারিত্ব অবস্থায় মারা গেলে সে শহীদ। (বাহারে শরীয়ত, ৪র্থ খন্ড, পৃ: ২২৬)

ইমাম জালাল উদ্দিন সুয়ুতী (.) প্রমুখ ইমামগণের মতে যারা শহীদের ছওয়াব পাবে তাদের মধ্যে আরো রয়েছে, . অর্ধাঙ্গ রোগে মৃত্যু হলে, ১০. বাহনের উপর থেকে পড়ে মারা গেলে, ১১. জরাক্রান্ত হয়ে মারা গেলে, ১২. নিজের প্রাণ রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেলে, ১৩. মাল বা সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেলে, ১৪. সন্তান সন্তুতি পরিবারের হক রক্ষা করতে গিয়ে বা তাদের হেফাজত করতে গিয়ে মারা গেলে, ১৫. চরিত্র নিষ্কলুষ অবস্থায় গভীর ভালোবাসার কারণে মারা গেলে, ১৬. অন্যায়ভাবে কোন শাসক কর্তৃক বন্দী অবস্থায় মারা গেলে, ১৭. কোন হিংস্র প্রাণীর আঘাতের দরুন মৃত্যু হলে, ১৮. ইলমেদ্বীন শিক্ষারত অবস্থায় মারা গেলে, ১৯. মুয়াজ্জিন আজানরত অবস্থায় মারা গেলে, ২০. ব্যবসায়ী ডাকাত কর্তৃক আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে, ২১. উম্মতের ফিৎনা ফাসাদের সময়ে যিনি সুন্নত অনুযায়ী আমল করবে তিনি একশত শহীদের ছওয়াব পাবে, ২২. অজুসহকারে নিদ্রা গেলে এবং মারা গেলে, ২৩. যিনি বিশুদ্ধ নিয়্যতে আল্লাহর পথে নিহত হওয়ার প্রার্থনা করে তিনি শহীদের ছওয়াব পাবে, ২৪. জুমার দিনে যে মৃত্যুবরণ করে তিনি শহীদের ছাওয়াব পাবেন। (বাহারে শরীয়ত, ৪র্থ খণ্ড, পৃ: ২২৬২২৭)

আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে শহীদগণের সর্দার মজলুমে কারবালা হযরত ইমাম হোসাইন (রা.)সহ শোহাদায়ে কেরামের আদর্শ ও শিক্ষা অনুসরণ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

লেখক : মাদরাসাএ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), বন্দর, চট্টগ্রাম; খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।

 

মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন

স্টীলমিল বাজার, পতেঙ্গ, চট্টগ্রাম।

প্রশ্ন : হারাম বস্তু দ্বারা চিকিৎসা জায়েজ কিনা? জানালে কৃতার্থ হব।

উত্তর : ইসলামী শরীয়তে হারাম বস্তু দ্বারা চিকিৎসা করাকে ফোকাহায়ে কেরাম হারাম বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এ প্রসঙ্গে দলীল হিসেবে অসংখ্য হাদীস বিদ্যমান রয়েছে, এরশাদ হয়েছে, সাহাবী হযরত আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা’আলা রোগ ও ওষুধ উভয়টিই প্রদান করেছেন। আর প্রত্যেক রোগের ওষুধ রয়েছে, সুতরাং তোমরা চিকিৎসা কর এবং হারাম বস্তু দ্বারা চিকিৎসা করো না। (আবু দাউদ)

হানাফী মযহাবের প্রসিদ্ধ মতানুসারে হারাম বস্তু দ্বারা চিকিৎসা জায়েজ নেই। এ প্রসঙ্গে ইমাম সারাখসী (.) প্রদত্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র হাদীস শরীফ দলীল হিসেবে পেশ করেছেন, যে বস্তু তোমাদের জন্য হারাম আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্য ওইসব বস্তুতে আরোগ্য রাখেননি। (সারাখসী, খন্ড:, পৃ: ৫৪)

হানাফী মাযহাবের ইমাম আবু ইউসুফ (.) হারাম বস্তু দ্বারা চিকিৎসা জায়েজ হওয়ার ক্ষেত্রে শর্তারোপ করেছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ মতে এই রোগের অন্য কোন হালাল ঔষধ জানা নেই, বলে যখন অভিমত দেবেন, কেবল তখনই বৈধতার মত দিয়েছেন। (আল বাহরুর রায়িক, খন্ড:, পৃ: ১১৬, ফেকহী মাকালাত, খন্ড:, পৃ: ৩৮৯)

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘মুদ্রিত কামনা থেকে’ সনেটগ্রন্থ : রিজোয়ান মাহমুদের ভিন্ন স্বাক্ষর
পরবর্তী নিবন্ধময়মনসিংহের ভবনটি সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের নয় : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়