জুম্‌’আর খুতবা

হযরত ঈসা (আ.)’র জন্ম, আসমানে উত্তোলন ও পৃথিবীতে অবতরণ প্রসঙ্গ

অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি | শুক্রবার , ১২ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ

ঈসা (.)’র জন্ম ও পরিচয়:

হযরত ঈসা (.)’র জন্ম প্রচলিত নিয়মের ব্যতিক্রম আল্লাহর কুদরতের বহিঃপ্রকাশ। পৃথিবীতে পিতার সাথে সম্পর্কযুক্ত করে বংশ নির্ধারণ করা হয়, আল্লাহ তা’আলা হযরত ঈসা (.) কে পিতা বিহীন সৃষ্টি করে তাঁর মাতার দিক দিয়ে বংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। হযরত ঈসা (.)’র মাতার নাম হযরত মরিয়ম পবিত্র কুরআনে হযরত ঈসা (.) কে সব সময়ই “মরিয়ম পুত্র” বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর মাতার নামানুসারে পবিত্র কুরআনে সূরা মরিয়ম নামে একটি সূরার নামকরণ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে মরিয়মের নাম ৩৪ বার উল্লেখ করা হয়েছে। হযরত মরিয়ম বায়তুল মুকাদ্দাসের খিদমতগার ইবাদত পরায়ণা, পাপাচার ও গুনাহ থেকে পবিত্র ছিলেন। ঈসা (.)’র জন্মের সময় তাঁর মাতা মরিয়ম এর বয়স ছিল তের কিংবা বিশ বৎসর। আল্লাহ তা’আলা হযরত জিবরাঈল (.)’র মাধ্যমে মরিয়মের গর্ভে হযরত ঈসা (.)’র রুহ আত্মা ফুৎকার করে দিলেন এতে মরিয়ম গর্ভ ধারণ করলেন। হযরত ঈসা (.) কে প্রসবের পূর্বে মরিয়ম (.) বায়তুল মুকাদ্দাস হতে ছয় মাইল দূরে বয়তলখ (বেথেলহেম) নামক প্রান্তরে গিয়েছিলেন। নয় মাস কিংবা আট মাস গর্ভ ধারণের পর তাঁর সন্তান প্রসূত হয়। কোনো কোনো তাফসীরকারদের মতে এক মাসের মধ্যে গর্ভ সঞ্চার ও প্রসব হয়েছিল। পবিত্র কুরআনে হযরত মরিয়ম ব্যাতীত কোন মহিলার নাম উল্লেখ হয়নি। হযরত ঈসা (.)’র নানার নাম হযরত ইমরান (.) তাঁর নামানুসারে পবিত্র কুরআনে সূরা আলই ইমরান নামকরণ হয়েছে। তাঁর নানীর নাম, হান্না বিনতে ফাকুযা (রা.) হযরত ইমরান বায়তুল মুকাদ্দাসের ইমাম ছিলেন, তিনি সোলায়মান ইবনে দাউদের বংশধর ছিলেন।

পবিত্র কুরআনের আলোকে ঈসা (.) সম্পর্কে মুসলমানদের আক্বীদা:

ঈসা (.) আল্লাহর একজন সম্মানিত নবী ও রাসূল। তাঁর উপর আসমানী কিতাব ইনজীল শরীফ নাযিল হয়। কুরআনে ঈসা (.)’র সৃষ্টিকে আদম (.)’র সৃষ্টির সদৃশ বা অনুরূপ বলা হয়েছে আদম (.) কে পিতা ও মাতা ছাড়াই আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। আর ঈসা (.) কে পিতা ছাড়াই মরিয়মের গর্ভ থেকে সৃষ্টি করেন। আল্লাহ যা ইচ্ছে করেন তাই করতে পারেন। তাঁর পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব। যখন আল্লাহ কোন কিছু সৃষ্টি করার ইচ্ছা করেন তিনি শুধু বলেন, “হও” তা হয়ে যায়। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, ঈসার দৃষ্টান্ত আল্লাহর নিকট আদম সদৃশ্য। তাকে মাটি হতে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর বললেন, “হও” তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়, এটা তোমার রবের পক্ষ থেকে সত্য। কাজেই তুমি সংশয়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। (সূরা: ০৩, আল ইইমরান, পারা: , আয়াত: ৫৯)

সন্তানের জন্ম পিতা মাতার শুক্র ও ডিম্ব থেকে হয়। এটি হলো আল্লাহর কানুন, হযরত আদম (.) শুক্র বীর্য ব্যতীতই সৃষ্টি হয়েছেন। তেমনিভাবে হযরত ঈসা (.)’র জন্ম এটি আল্লাহর কুদরত। কানুন ও কুদরত দুটি বিশ্বাস করার নাম ঈমান। (তাফসীর নূরুল ইরফান, পৃ: ১৪৬)

আল্লাহ তা’আলা আরো এরশাদ করেছেন, স্মরণ কর, যখন ফেরেশতাগন বলল, হে মরিয়াম! আল্লাহ তোমাকে তাঁর পক্ষ থেকে একটি কলেমার সুসংবাদ দিচ্ছেন তাঁর নাম মাসীহ মরিয়ম তনয় “ঈসা” সে ইহলোক ও পরলোকে সম্মানিত এবং সান্নিধ্য প্রাপ্তদের অন্যতম হবে। (সূরা: আলেইমরান, :৪৫)

হযরত ঈসা (.) কে “কলেমাতুল্লাহ” বলা হয়। যেহেতু তাঁর দেহ মুবারকের সৃষ্টি আল্লাহর বাণী (কুন) “হও” দ্বারা হয়েছে। ঈসা (.) যখন শিশু তখনই তাঁর কথা বলার ক্ষমতা ছিল, ত্রিশ বছর বয়সে তিনি নবুওয়াত লাভ করেন, তিনি তিন বছর নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করেন। জীবিত অবস্থায় আল্লাহ তা’আলা তাঁকে আসমানে উত্তোলন করেন। ৩৩ বছর বয়সে আসমানের উপর তাঁকে উঠিয়ে নেওয়া হয়। তাঁকে উঠিয়ে নেওয়ার পর তাঁর আম্মাজান হযরত মরিয়ম ৬ বছর জীবিত ছিলেন।

ঈসা (.)’র শিক্ষা লাভ:

আল্লামা ইবনে কাছির (.) বর্ণনা করেন, হযরত ঈসা (.)’র বয়স যখন সাত বছর তখন তাঁর মাতা তাঁকে মকতবে শিক্ষার জন্য পাঠান, শিক্ষক বলার পূর্বেই তিনি বলা শুরু করে দিতেন। তাঁর জ্ঞান ছিল সম্পূর্ণ আল্লাহ প্রদত্ত। হযরত ঈসা (.) সুন্দর হস্তাক্ষরে লিখাও শিখেছিলেন। (তাফসীর খাযিন ১ম খন্ড, তাফসীরে মাযহারী ৩য় খন্ড)

ঈসা (.) সম্পর্কে খৃষ্টানদের ভ্রান্তধারণা: ইহুদী ও খৃষ্টান সম্প্রদায় নবীদের সম্পর্কে মারাত্মক ভ্রান্ত আক্বিদা পোষণ করে। ইহুদী সম্প্রদায়ের একটি দল রাসূলুল্লাহর দরবারে উপস্থিত হয়ে বললো আমরা কিভাবে আপনাকে মানবো? আপনি হযরত ওযায়র (.) কে আল্লাহর পুত্র বলে বিশ্বাস করেন না। তাদের এ শির্ক আকিদার খন্ডনে সূরা তাওবার ১০ নম্বর আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। খৃস্টানদের একদল এ ধরনের শির্ক আক্বিদা পোষন করতো, আল্লাহ তা’আলা তাদের ভ্রান্ত আক্বিদা প্রসঙ্গে এরশাদ করেছেন, ইহুদীরা বললো উযায়র আল্লাহর পুত্র এবং খৃস্টানরা বললো ঈসা মসীহ আল্লাহর পুত্র, এসব কথা তারা নিজেদের মুখে বলাবলি করে। পূর্ববর্তী কাফিরদের মতো কথা রচনা করে আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন, ওরা ওল্টো দিকে কোথায় ফিরে যাচ্ছে। (সূরা: , তওবা, আয়াত: ৩০)

কোন কোন খৃষ্টান হযরত ঈসা (.) কে স্বয়ং খোদা মনে করতো, কেউ কেউ খোদার পুত্র মনে করতো, তাদের এহেন শির্ক আক্বিদা খন্ডন করে আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন। হে কিতাবীগণ! তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহ সম্বন্ধে সত্য ব্যতীত বলোনা। নিঃসন্দেহে ঈসা ইবনে মরিয়ম হলে (প্রতীক্ষিত) মাসীহ, তিনি আল্লাহর রাসূল ও তাঁর বাণী যা তিনি মরিয়মের নিকট প্রেরণ করেছিলেন এবং তাঁর আদেশ সুতরাং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের উপর ঈমান আনো। (সূরা: , নিসা, আয়াত: ১৭১)

আয়াতে বর্ণিত কলেমাতুল্লাহ ও রুহুল্লাহর ব্যাখ্যা:

উপরোক্ত আয়াতে হযরত ঈসা (.) কে কলেমাতুল্লাহ বলা হয়েছে কলেমা অর্থ পবিত্র বাক্য, নিদর্শন। ঈসা (.) এর জন্ম হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে কুদরতের নিদর্শন। হযরত আবু উবায়দা (রা.) মতে “কলেমাতুল্লাহ” দ্বারা আল্লাহর কিতাবকে বুঝানো হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে হযরত ঈসা (.)’র যাবতীয় কথা হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশিত কথা। অর্থাৎ তিনি নিজ হতে কোনো কথা বলে না কেবল আল্লাহর বাণী প্রচার করবেন “কলেমাতুল্লাহ” অর্থ আল্লাহর বাণী।

আল্লাহ তা’আলা হযরত ঈসা (.) কে আসমানে উঠিয়ে নেন: হযরত ঈসা (.) পৃথিবীতে তেত্রিশ বছর অবস্থান করেন। ইহুদীরা রোমের গভর্ণরের সাহায্য নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধাচরণ শুরু করে এবং তাঁেক হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহ তা’আলা তাঁকে সশরীরে আসমানে তুলে নেন। তাঁর মৃত্যু হয়নি। ইহুদীদের দাবী হলো তারা ঈসা (.) কে হত্যা করেছে। তাদের এ দাবী বানোয়াট ভিত্তিহীন ও সম্পূর্ণ মিথ্যা। কিয়ামতের পাক্কালে তিনি পূনরায় পৃথিবীতে আগমন করবেন, দাজ্জালকে হত্যা করবেন। রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন, পৃথিবীতে আগমনের পর চল্লিশ বছর অবস্থান করবেন। তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় ইন্তিকাল করবেন। আল্লাহ তা’আলা ঈসা (.)কে আসমানে তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে এরশাদ করেছেন, “ইহুদীরা তাঁকে হত্যা করেনি, ক্রুশ বিদ্ধও করেনি, কিন্তু তাদের এরূপ বিভ্রম হয়েছিল। যারা তাঁর ব্যাপারে মতভেদ করেছিল তারা নিশ্চয়ই এ সম্বন্ধে সংশয়যুক্ত ছিল এ সম্পর্কে অনুমানের অনুসরণ ব্যাতীত তাদের কোন জ্ঞানই ছিল না। এটা নিশ্চিত যে, তারা তাঁকে হত্যা করেনি, বরঞ্চ আল্লাহ তাঁকে তাঁর কাছে তুলে নিয়েছেন। (সূরা: , নিসা, পারা:, আয়াত: ১৫৭১৫৮)

ঈসা (.)’র মু’জিযা:

পবিত্র কুরআনের সূরা আল ইমরানে আল্লাহর পক্ষ থেকে ঈসা (.)’র প্রদর্শিত মুজিযা বা অলৌকিক ক্ষমতার বর্ণনা উল্লেখ হয়েছে। তাফসীর কারদের বর্ণনা মতে হযরত ঈসা (.) চার জন মৃতকে জীবিত করেছেন:

এক. আযর নামে তাঁর এক বন্ধুকে মৃত্যুর তিনদিন পর জীবিত করেছিলেন। জীবিত হওয়ার বেশ কিছু দিন ওরশে সন্তানও জন্ম লাভ করেছিল।

দুই. এক বৃদ্ধার পুত্রকে কফীনবাহীরা কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাঁকে জীবিত হওয়ার জন্য বললে কফীনবাহীদের কাঁধ থেকে জীবিত হয়ে লাফিয়ে পড়েছিল।

তিন. এক কর কর্মকর্তার কন্যাকে জীবিত করেছেন।

চার. নূহ (.)’র পুত্র সাম যিনি কয়েক হাজার বছর পূর্বে ইন্তিকাল করেছিলেন, ঈসা (.) তাঁর কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলে তাঁকে জীবিত করেছেন। (তাফসীর নূরুল ইরফান, পৃ: ১৪৩, কৃত: হাকীমূল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী, বঙ্গানুবাদক: মওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান)

হাদীস শরীফের আলোকে হযরত ঈসা (.)’র পৃথিবীতে অবতরণ:

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, ঈসা (.)’র সময় কালে আল্লাহ তা’আলা ইসলাম ছাড়া সকল ধর্ম ধ্বংস করে দেবেন। এবং দাজ্জাল কে হত্যা করবেন, তিনি পৃথিবীতে চল্লিশ বছর জীবিত থাকবেন। অত:পর ইন্তেকাল করবেন, মুসলমানগণ তাঁর জানাযা নামায পড়বেন। (আবু দাউদ শরীফ)

তাঁর অবতরণ প্রসঙ্গে নবীজি এরশাদ করেছেন, সেই সত্তার শপথ, যার কুদরতী হস্তে আমার প্রাণ। অচিরেই তোমাদের মধ্যে ঈসা ইবনে মরিয়ম একজন ন্যায়বান শাসক হিসেবে অবতরণ করবেন। (বুখারী)

রাসূলুল্লাহ আরো এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা’আলা মসীহ ইবন মরিয়মকে প্রেরণ করবেন অত:পর তিনি দামেস্কের পূর্ব প্রান্তে সাদা গম্বুজ ঘেষে অবতরণ করবেন। (মুসলিম শরীফ)

হযরত ঈসা (.)কে রাসূলুল্লাহর রওজা শরীফে হযরত আবু বকর (রা.) ও হযরত ওমর (রা.)’র সাথে দাফন করা হবে এবং তাঁর কবর হবে সেখানে চতুর্থ। (তাফসীর আদ দুররূল মনসুর, খন্ড: , পৃ: ৭৪৩)

আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে ইসলামের ওপর অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন।

লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসাএ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), বন্দর, চট্টগ্রাম; খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।

মুহাম্মদ আবদুল করিম

জুলধা, কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম।

প্রশ্ন: ফেরেস্তা সম্পর্কে মুসলমানদের আকীদা কেমন হতে হবে জানালে কৃতার্থ হব।

উত্তর: কুরআন সুন্নাহ ও তাফসীরকারদের বর্ণনা মতে ফেরেস্তা সম্পর্কে ইসলামী আকীদা সুস্পষ্ট। তাঁরা আল্লাহ কর্তৃক নূরের সৃষ্টি। আদম (.) কে সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ ফেরেস্তা সৃষ্টি করেন। আল্লাহ তাঁদের কে যে কোনো সৃষ্টির আকৃতি ধারণ করার ক্ষমতা দিয়েছেন। তাঁরা সগীরা ও কবীরা গুনাহ থেকে পুত:পবিত্র, নিস্পাপ। তাঁরা আল্লাহর ইচ্ছার বিপরীত কোনো কাজ করেন না। তাঁরা পুরুষও নন, স্ত্রীও নন। ফেরেস্তাদের সংখ্যা কতো তা একমাত্র আল্লাহই জানেন। চারজন ফেরেস্তা প্রসিদ্ধ। ফেরেস্তাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করা কুফরী। তাঁদের সাথে বেয়াদবী করা কুফরী। ফেরেস্তাগন আল্লাহর পক্ষ থেকে বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন, ফেরেস্তাদের অস্তিত্ব বিশ্বাস করা ঈমানের মূলনীতির অন্তর্ভূক্ত। (শরহে আকাঈদ, পৃ: ৯৯, আল ওয়াকিত, পৃ: ৪৭, বাহারে শরীয়ত: ১ম, খন্ড: পৃ: ২৪২৫)

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহাবিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসি
পরবর্তী নিবন্ধপাহাড়ের দেড় হাজার শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করল কোয়ান্টাম