আবারও কুতুপালংয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে সংঘটিত ঘটনায় ১৫ টি দোকান পুড়ে গেছে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। উখিয়ার পুরাতন নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন কুতুপালং বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। বকতার মার্কেটের মালিক স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘যে অবস্থা শুরু হয়েছে এখানে কারও নিরাপত্তা নেই। একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এটা অস্বাভাবিক।’
স্থানীয়রা জানান, কুতুপালং রোহিঙ্গা বাজারে রাত ৩ টার দিকে বকতিয়ার মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দেখা যায়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। পাশাপাশি কিছুক্ষণের মধ্যে উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের ২ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানা যায়। ততক্ষণে কাপড়, কসমেটিকস মনোহরীসহ ১৫ টি দোকান পুড়ে যায়। এসময় দোকানগুলোর ভেতর থেকে ৩ জন রোহিঙ্গা কর্মচারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ এমদাদুল হক জানান, কুতুপালং বাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুততার সাথে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। দোকানে কর্মরত বালুখালী ১০নং ক্যাম্পের ফয়েজুল ইসলাম (২৩), আনসার উল্লাহ (১৮) ও আয়াজ উল্লাহ (২৫) আগুনে পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ক্ষয়ক্ষতি ও আগুনের সূত্রপাত নির্ণয়ের কাজ চলছে বলে তিনি জানান। লাশগুলো ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করার কথা জানান উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোরশেদ।
উল্লেখ্য, সামপ্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সংলগ্ন এলাকায় একের পর এক বিচ্ছিন্ন অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। গত ২২ মার্চ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উখিয়ার বালুখালীর ৪ টি ক্যাম্পে ১০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার ঘর, দেড় সহস্রাধিক বিভিন্ন স্থাপনা পুড়ে ১১ জন নিহত হয়।