জীবনের ঝুঁকি এড়াতে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সরু সড়ক প্রশস্ত করা জরুরি

| রবিবার , ৪ মে, ২০২৫ at ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ

দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হওয়ায় খাগড়াছড়িরাঙামাটি সড়কে দিন দিন বাড়ছে যান চলাচল। সরু সড়ক আর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক পেরিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক এই পথে যাতায়াত করেন। দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেক পর্যটক প্রাণ হারান। তা সত্ত্বেও এ সড়কের প্রশস্তকরণে দীর্ঘদিন কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

পর্যটকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, অনেক পর্যটক কঙবাজারবান্দরবান ও রাঙামাটি ঘুরে খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক যান। আবার কোনো কোনো পর্যটক সাজেক ঘুরে খাগড়াছড়িরাঙামাটি ও বান্দরবান সড়ক হয়ে কঙবাজার বেড়াতে যাচ্ছেন। আঞ্চলিক মহাসড়কগুলো ২৪ ফুট প্রশস্ত থাকার কথা থাকলেও খাগড়াছড়িরাঙামাটি মহাসড়কের ৬১ কিলোমিটার রাস্তা মাত্র ১২ ফুট প্রশস্ত। এছাড়াও মাঝে মাঝেই সরু ও আঁকাবাঁকা হওয়ার কারণে এই সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। পর্যটকসহ যাত্রীরা পড়ছেন ভোগান্তিতে। একই চিত্র খাগড়াছড়িসাজেক সড়কেও।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী, আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোর ২৪ ফুট প্রশস্ত থাকার কথা। কিন্তু রাঙামাটিখাগড়াছড়ি ৬১ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত মাত্র ১২ ফুট। দিন দিন এ পথে যানবাহন ও পর্যটক যাতায়াত বাড়লেও সড়কটি প্রশস্ত করা হয়নি। এতে ভারী যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়ছেন পর্যটকরা। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ দিচ্ছেন অনেকেই।

জেলা সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন খাগড়াছড়িরাঙামাটি সড়কে চলাচল করে ১৫শ থেকে ২ হাজার যানবাহন। সড়কটিতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে ১১০টি। ১৯৮০’র দশকে নির্মিত সড়কটিতে ঝুঁকিপূর্ণ অনেক বাঁক থাকায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

দ্রুত সড়কটি সংস্কারের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক কমানোর দাবি জানিয়েছেন এই পথে চলাচলকারী পরিবহণ শ্রমিক ও পর্যটকরা। পর্যটন শিল্পের বিকাশে দ্রুত এই সড়ক প্রশস্ত করারও দাবি জানান তারা। খবর বাসসের।

রাঙামাটি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, আঞ্চলিক মহাসড়কটি প্রশস্তকরণ ও বাঁক সরলীকরণ প্রকল্পে পরিবেশগত সমীক্ষা চলছে। পরে প্রকল্পটি চূড়ান্ত হবে। তবে দুর্ঘটনা রোধে চলতি অর্থবছরে ১৫টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক অপসারণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে কুমির বেষ্টিত জলাভূমিতে ৫ জন ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধআহলে সুন্নত ইমাম সংস্থার প্রতিবাদ সমাবেশ