প্রয়াত আল্লামা আহমদ শফীকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করে কারাবন্দী হওয়া মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদীর মুক্তির দাবিতে বের হওয়া মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। এতে বেশ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা নাগাদ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে মানববন্ধন শেষে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে একটি বিক্ষোভ মিছিল লালদীঘি পৌঁছালে সেখানে এই লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে। ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম উত্তর জেলা, যুবসেনা ও ছাত্রসেনার যৌথ উদ্যোগে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। উত্তর জেলা যুবসেনার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ দাবি করেছেন, পুলিশের লাঠিচার্জে ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদীকে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে প্রেস ক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন শেষে মিছিল নিয়ে লালদীঘি ময়দান হয়ে নিউমার্কেট যাচ্ছিলাম। এ সময় আমাদের বিক্ষোভ মিছিল লালদীঘি এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে।’
জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন আজাদীকে বলেন, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। পুলিশের বারবার অনুরোধের পরও তারা বাধা উপেক্ষা করে প্রথমে চেরাগী পাহাড়, সেখান থেকে আন্দরকিল্লা ও পরে লালদীঘি পাড় পর্যন্ত মিছিল নিয়ে যান। লালদীঘিপাড়ে পৌঁছালে সেখানে কিছু যুবক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করেন। এতে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। তবে সেখানে কোনো লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান ওসি মহসিন।
জানা গেছে, প্রেসক্লাবের মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভকারীরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি প্রথমে চেরাগী পাহাড় মোড় আসলে সেখান থেকে বিক্ষোভকারীদের ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে আন্দরকিল্লা ও পরে লালদীঘি পাড় পর্যন্ত মিছিল নিয়ে যান।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে হেফাজত ইসলামের আমীর প্রয়াত আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে নিয়ে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা হয়। ওইদিনই পুলিশ ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবতাহী মুজাদ্দেদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালক মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদীকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে।