জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করে বিভক্ত জাতিকে একত্রিত করেছিলেন

শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণকালে গোলাম আকবর খোন্দকার

| শুক্রবার , ৩১ মে, ২০২৪ at ৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও এমপি গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছেন। এর মাধ্যমে জাতির মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছিলেন এবং বিভক্ত জাতিকে একত্রিত করেছিলেন। তিনি একটা নতুন বিপ্লব শুরু করেছিলেন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য। মাত্র সাড়ে তিন বছর সময়ের মধ্যে তিনি বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন এবং উন্নয়নের ভিত্তিটা স্থাপন করেছিলেন। আমরা আজকে এই দিনে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আজকে আমাদের আহ্বান, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। ১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে, উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে লড়াই করেছিলাম, সেই আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্যে আমরা আবার লড়াইসংগ্রাম শুরু করি।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ২ নম্বর গেট ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাসাসের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাসাস সভাপতি কাজী সাইফুল ইসলাম টুটুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আশরাফ উল্লাহর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাসাস সহ সভাপতি আইয়ুব খান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ, তাহেরা মহররম, সাঈদা নাঈম, মোহাম্মদ ইকবাল প্রমুখ।

মহানগর বিএনপি : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রিতে জাতি যখন দিশেহারা তখনই নেতৃত্বশূন্য জাতিকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছিলেন জিয়াউর রহমান। এই ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে তিনি পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘উই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে তিনি চুপ করে বসে ছিলেন না। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন ও অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের মাঠে থেকে দেশকে স্বাধীন করেছেন। সেদিন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই পার্শ্ববর্তী দেশে চলে গিয়েছিলেন। ৭১ সালে যাদের জন্ম হয়েছে তারাও আজকে আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ। এটাই ইতিহাস। এর বাইরে আর কোনো বক্তব্য থাকতে পারে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ এখন নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস শিখাচ্ছে।

তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ২ নম্বর গেইট ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এড. আবদুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, নিয়াজ মো. খান, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

দক্ষিণ জেলা বিএনপি : সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে ষোলশহর ২ নম্বর গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোস্ত বিল্ডিং দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও জেলার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় আবু সুফিয়ান বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। তিনি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। তিনিই জাতির সঙ্কটময় মুহূর্তে বারবার দাঁড়িয়েছিলেন নির্ভয়ে, মাথা উঁচু করে। বিপর্যস্ত জাতিকে রক্ষা করেছেন সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই তিনি ক্ষান্ত থাকেননি, দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য হানাদারদের বিরুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার এ অতুলনীয় ভূমিকা ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এম মনজুর উদ্দীন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, এস এম মামুন মিয়া, এড. নুরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, খোরশেদ আলম, মফজল আহমদ চৌধুরী, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জাহেদ, আমিনুর রহমান চৌধুরী, নবাব মিয়া, ইসহাক চৌধুরী, হামিদুল হক মান্নান, নুরুল কবির, মঈনুল আলম ছোটন, শফিকুল ইসলাম শফিক প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন দক্ষিণ জেলা ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাফেজ ক্বারী আবদুল করিম ছানবী।

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল : চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর ষোলশহর ঐতিহাসিক বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তির সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। নগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইনের পরিচালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন, সহ সভাপতি এস এম আবদুর রব, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, আব্দুল গফুর বাবুল, সাহাব উদ্দিন হাসান বাবু, মিয়া মোহাম্মদ হারুন, মুজিবুর রহমান, মোহাম্মদ আলী সাকি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, তানভীর মল্লিক প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই বিপ্লব উদ্যান থেকেই ১৯৭১ সালে ‘উই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ‘আমি মেজর জিয়া বলছি’ বলে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি বাঙালি জাতির গর্বের প্রতীক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারে আইএলও প্রতিনিধি দল
পরবর্তী নিবন্ধকৌশলে পিন নম্বর নিয়ে ভাতার টাকা আত্মসাৎ