দেশের পট পরিবর্তনের পর স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে শুরু হয়েছে জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। বগুড়া থেকে যাত্রা শুরু করা এই টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামে। আর এ ম্যাচ এবং পুরো টুর্নামেন্ট দিয়ে চট্টগ্রামতো বটেই সারা দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে উৎসবে ভাসাতে চায় বিএনপি । দেশের বিভিন্ন ফেডারেশন এবং জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা গুলো ভেঙ্গে দেওয়ার পর দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক রকম স্থবিরতা চলছে। সে স্থবিরতা কাটিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে উৎসব ফেরাতে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন বলে জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান । গতকাল ম্যাচটির ভেন্যু এম এ আজিজ স্টেডিয়াম পরিদর্শনকালে তিনি বলেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে জিয়া পরিবারের অবদান অপরিসীম। পলাতক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের সমস্ত ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে দলীয় ও পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিল। নির্লজ্জ দলীয়করণের ফলে দেশের ক্রীড়াঙ্গন আজ জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। তারেক রহমানের নির্দেশনায় দেশের যুব সমাজকে মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে পরিত্রাণ দিতে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আবারো সচল করার লক্ষ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। উৎসবমুখর পরিবেশে খেলা উপভোগ করার জন্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাজিমুর রহমান আরও বলেন, দেশ সেরা ক্রিকেটারদের রত্নগর্ভা চট্টগ্রাম বরাবরের মতো এবারও দেশের ক্রীড়াঙ্গনের নতুন এ অগ্রযাত্রায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে উৎসবমুখর রূপ দেওয়ার জন্যই জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ম্যাচটি আয়োজনের ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক মশিউল আলম স্বপন এর সভাপতিত্বে সি জে কে এস কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এক সভায় বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য আর ইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, কামরুল ইসলাম, কাউসার হোসেন বাবু, বেলায়েত হোসেন বুলু, মোহাম্মদ আলী, আব্দুল হালিম স্বপন, সাহেদ বঙ, তৌহিদুস সালাম নিশাদ, আবু বক্কর সিদ্দিক, এম এ মুসা বাবলু, দিদারুল আলম চৌধুরী, নুর জাহেদ বাবলু প্রমুখ। উল্লেখ্য টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার ক্রিকেটারদের নিয়ে লাল ও সবুজ দলের মধ্যে আগামী ৩০শে নভেম্বর শনিবার দুপুর ১২ টায় খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচের বিজয়ীরা ঢাকায় ১২ টি দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্যায়ে অংশ নিবে।