জিম্মির দিন ইফতারের সময় পরিবারের সাথে শেষ কথা হয় আতিকুল্লাহর

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৪ মার্চ, ২০২৪ at ৮:২২ পূর্বাহ্ণ

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহ নামক জাহাজটিতে চিফ অফিসার হিসেবে গত তিন মাস আগে উঠেছিল চন্দনাইশের বরকল এলাকার প্রকৌশলী আতিকুল্লাহ খান। গত মাসে একবার জাহাজটি বাংলাদেশে আসলে মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য বাসায় এসেছিলেন তিনি। আতিকুল্লাহর ছোট ভাই আবদুল নুর খান আসিফ কথাগুলো বলছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চন্দনাইশের বরকল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের খানবাড়ির মৃত ডা. নুরুল আলম খানের ছেলে আতিকুল্লাহ কবির গ্রুপের জাহাজ আবদু্‌ল্লাহর চিফ অফিসার বিগত ৩ মাস পূর্বে যোগদান করেন। এর আগে তিনি একই কোম্পানীতে ২০১২ সালের শুরু থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। মাঝে দুই আড়াই বছর একটি বিদেশি কোম্পানির জাহাজে চাকরি করেছিলেন।

আবদুল নুর খান আসিফ আরো জানান, অপহরণের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইফতারের আগেও মাসহ পরিবারের সবার সাথে কথা বলেছেন বড় ভাই। এরপরই জলদস্যুরা তার মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। আতিকুল্লাহর স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী মিনা আজমিনও বর্তমানে ৫ মাসের অন্তঃসত্বা। স্বামীর চিন্তায় তিনিও বর্তমানে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার বৃদ্ধা মা শাহনুর বেগম (৬২)ও ছেলের চিন্তাই নাওয়াখাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। সারাক্ষণ কাঁদছেন ছেলের জন্য। ছেলেকে ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

বরকল ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম চৌধুরী জানান, বরকল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মৃত ডা. নুরুল আলম খানের ছেলে আতিকুল্লাহ খান এলাকার খুবই ভালো ছেলে। এলাকার সবার সাথে ছিল সুসম্পর্ক। গত বছর বরকল হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুর্নমিলনী অনুষ্ঠান করেছিলেন এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআনোয়ারায় তিন নাবিক পরিবারে উৎকণ্ঠা
পরবর্তী নিবন্ধমাহে রমজানের সওগাত