জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় সিরিজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ২ আগস্ট, ২০২৫ at ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দারুণ করার পর জিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় সিরিজেও দারুণভাবে শুরু করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব১৯ দল। গতকাল সিরিজের ফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ। একই সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা দলও জায়গা করে নিয়েছে ফাইনালে। গতকাল স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব১৯ দলকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ত্রিদেশীয় যুব সিরিজের ফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব১৯ দল। বাংলাদেশের এই জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকারও। চার ম্যাচে দুই দলের পয়েন্ট সমান ৬। রান রেটে আপাতত শীর্ষে বাংলাদেশ। স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে জিততে পারেনি একটিও। ফাইনালের দুই দল চূড়ান্ত হলেও টুর্নামেন্টের প্রাথমিক পর্বে আরও এক রাউন্ডে দুটি করে ম্যাচ বাকি আছে সব দলেরই। আগের দিন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পরাজয়ের ধাক্কা সামলে গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ জয়ের পথ তৈরি করে ফেলে ম্যাচের প্রথম ভাগেই। জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় স্রেফ ৮৯ রানে। মূল স্ট্রাইক বোলারদের একজন আল ফাহাদ এ দিন বিশ্রামে থাকলেও আরেকজন ইকবাল হোসেন ইমন চার উইকেট নিয়ে ভিত গড়ে দেন দলের জয়ের। ভালো বোলিং করেন অন্যরাও।

টস জিতে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশকে তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট এনে দেন ইমন। আরেক ওপেনার ন্যাথানিয়ের লাবাঙ্গানা চেষ্টা করেন পাল্টা আক্রমণে জবাব দেওয়ার। কিন্তু তাকে বেশিদূর যেতে দেননি টুর্নামেন্টে প্রথম খেলতে নামা পেসার সানজিদ মজুমদার। ১৮ বলে ২৬ রান করে তিনি ধরা পড়েন কাভারে। সেটিই হয়ে থাকে দলের সর্বোচ্চ। আর কোনো ব্যাটসম্যান ২০ ছাড়াতে পারেননি। প্রথম স্পেলেই আরও দুটি উইকেট শিকার করেন ইমন। এর মধ্যে আছে সাবেক অলরাউন্ডার অ্যান্ডি ব্লিগনটের ছেলে কিয়ান ব্লিগনটের উইকেটও। কিয়ানের যমজ ভাই মাইকেল ব্লিগনটকে শূন্যতে ফেরান সানজিদ। উইকেট পতনের মিছিলের মধ্যে পাঁচে নেমে একটা প্রান্ত কিছুটা আগলে রেখেছিলেন ২০ রান করা ব্র্যান্ডন এনডিওয়েনি । তাকে ফেরানোসহ এক ওভারে দুটি উইকেট শিকার করেন লেগ স্পিনার স্বাধীন ইসলাম। শেষ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে চার উইকেট পূর্ণ করেন ইমন। ৯০ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে দেখা যায়নি জাওয়াদ আবরারকে। রিফাত বেগের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন আজিজুল হাকিম। রিফাত বিদায় নেন প্রথম ওভারেই। আসরের চার ম্যাচেই ব্যর্থ হলেন এই ওপেনার।

তিনে নেমে কালাম সিদ্দিকি চারটি চারে ১৬ বলে ২০ রান করে আউট হয়ে যান। তৃতীয় উইকেটে আজিজুল ও রিজান ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে কাজ শেষ করে ফেরেন। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন আজিজুল হাকিম তামিম। ২৬ বলে ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজান। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ বুধবার এই মাঠেই প্রোটিয়া যুবাদের সঙ্গে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে সালাউদ্দিনের চুক্তি, বেড়েছে বেতনও
পরবর্তী নিবন্ধসাইম আইয়ুবের অল রাউন্ড নৈপুণ্যে ও. ইন্ডিজকে হারিয়ে শুভ সূচনা পাকিস্তানের