টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আসার আগেই বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ডেভিড মুর। টাইগার ক্রিকেটের হেড অব প্রোগ্রাম হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। এবার তার হাত ধরেই নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। কেননা জিপিএসের মাধ্যমে এখন থেকে ক্রিকেটারদের সবকিছু রেকর্ড করা হবে। যন্ত্রের মাধ্যমেই এই ব্যবস্থা। মূলত মাঠের ক্রিকেটে ওয়ার্ক লোডের বিষয়টা সম্পূর্ণ তুলে ধরতে এমন ব্যবস্থার দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ দল। এটার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের সক্ষমতা, সীমিত ইনজুরি এবং এর সম্ভাবনা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে। এটি মূলত জার্সির পেছনে সেট করা হয়, এবং পরবর্তীতে মাঠের সব তথ্য ড্রেসিংরুমে থাকা ল্যাপটপে উঠে আসবে। ক্রিকবাজকে দেওয়া এক বক্তব্যে এমনটি বলেন মুর। তিনি বলেন, ‘এটা (জিপিএস) ওয়ার্কলোড ম্যানেজম্যান্ট থেকেও বেশি। আমরা যা চাই তা হল ওয়ার্কলোড ম্যানেজম্যান্ট পরিমাপ করার জন্য একটি ব্যবস্থা।
আমরা খেলোয়াড়দের সক্ষমতা এবং সীমিত ইনজুরি এবং এর সম্ভাবনা নিশ্চিত করার চেষ্টা করব। কিছু সিস্টেম যেমন ফাস্ট বোলারদের শরীরের উপর চাপের বিষয়ও থাকবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোন জিপিএস নেই এবং অন্যান্য ক্লাব এটি ব্যবহার করছে কিনা তা আমি জানি না। আমি নাসেরের (বিসিবি’র ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের প্রধান) সাথে অনেক কথা বলছি এবং তিনি স্পষ্টতই এতে বিশ্বাস করেন এবং আমিও বিশ্বাস করি যে এই সিস্টেমটি নিয়ে আসা উচিত। যাতে আমরা একসাথে যোগাযোগ করতে পারি আমরা খেলোয়াড়দের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য পাই। এটিই সর্বোত্তম এবং আমাদের প্রয়োজন।’
মুর আরও বলেন, ‘আমার ভূমিকা কোচদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা। বিপিএল, ডিপিএল বা এনসিএল যাই হোক না কেন, আমাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা শুধু পরিসংখ্যান নিয়ে চলছি না। আমরা যদি কারো ওপর বিনিয়োগ করি, তাহলে বুঝতে হবে যে তারা কয়েক বছর ধরে আমাদের সাথে আছে। এটি ফিটনেস এবং চরিত্রের ব্যাপার যা নিশ্চিত করবে যে তারা ভালো দল এবং কঠোর পরিশ্রম করে এবং পাশাপাশি নিজেদের বিকাশের চেষ্টা করে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা শুধু তথ্য রেকর্ড করবো না। ডেটা এবং পরিসংখ্যান দিয়ে আমরা একটি বড় ছবি আঁকতে পারি এবং যাতে সব বিষয়গুলো ভুলে না যাই। আমাদের এমন কোচ থাকা দরকার যারা ক্যাম্প ছেড়ে যাওয়ার পর ক্রিকেটারদের খেলা দেখে।
অস্ট্রেলিয়াতে একজন রাজ্য দলের ক্রিকেটারের তথ্যও দারুণভাবে সংরক্ষণ করা হয়। আর প্রত্যেকেই সচেতন যে কী ঘটছে।’