তার স্বপ্ন ছিল জাহাজে চড়ে বিদেশ চলে যাবে। পাসপোর্ট, এনআইডি এবং শুকনো খাবার দাবার নিয়ে সে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল চট্টগ্রাম বন্দরে। কিন্তু বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের হাতে ধরা পড়ে সে এখন শ্রীঘরে। একইসাথে বন্দরে চুরির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করা আরো দুইজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানান, বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রাখতে বিভিন্ন গেট, শেড এবং ইয়ার্ডগুলোতে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল তিনজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজন বন্দরে প্রবেশ করে জাহাজ বা কন্টেনারে চড়ে বিদেশ চলে যাওয়ার আশায় ঘোরাঘুরি করছিল।
গতকাল সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বন্দর অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ১১ নং জেটি এলাকায় ঘোরাফেরা করার সময় বন্দর নিরাপত্তা সদস্যরা মোহাম্মদ মাহফুজ শেখ নামের এক যুবককে আটক করে। সে গোপালগঞ্জের মাকসুদপুর থানার বোয়ালিয়া এলাকার জনৈক টুকু শেখের পুত্র। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, বিদেশগামী জাহাজে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বিদেশে চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সে বন্দরে প্রবেশ করেছিল। তার কাছ থেকে একটি পাসপোর্ট, একটি এনআইডি, এবং চিড়া ও পানিসহ শুকনো খাবার দাবার উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত রাত সোয়া একটা নাগাদ বন্দরের ১ নম্বর গেটে একটি গাড়ির নিচ দিয়ে মালামাল চুরির উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করছিল এক যুবক। গেটে দায়িত্বরতরা তাকে আটক করে। তার নাম মোহাম্মদ আবুল খায়ের। সে নোয়াখালীর সেনবাগ থানার গোপালপুর গ্রামের মোহাম্মদ হানিফের পুত্র।
অপরদিকে গতকাল বিকেল সোয়া দুইটা নাগাদ জেনারেল কার্গো বার্থের ২ নম্বর গেইট দিয়ে অন্যজনের গেট পাস ব্যবহার করে এক যুবক একটি কাভার্ডভ্যানের গেট পাস সংগ্রহ করে। সে বন্দরের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে গেটে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যরা তাকে আটক করে। তারা নাম মেহেদি হাসান লাবলু। সে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি এলাকার মহামুনি পাড়ার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পুত্র।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, সে তার মৃত মামার পাস নিয়ে বন্দরে এসেছিল। তার মামা কিছুদিন আগে মারা গেছেন। আটককৃত তিনজনকে বন্দর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বন্দর সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক।