জামিনে এসে ফের ছিনতাই চার মাসে তিনবার গ্রেপ্তার

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৮ জুন, ২০২১ at ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

নগরীর আকবরশাহ এলাকা থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মো. সম্রাট (২০) নামের এক পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে কর্নেল জোন্স রোডস্থ ভ্যানগার্ড গার্মেন্টসের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া সম্রাট আকবর শাহ থানাধীন উত্তর কাট্টলী এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে। গ্রেপ্তার হওয়া সম্রাট গত চার মাসে তিন বার গ্রেপ্তার হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। একবার গ্রেপ্তার হয়ে আবারো ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন আকবরশাহ থানার ওসি মো. জহির হোসেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার ভোরে খাইরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি অফিসের কাজে ঢাকা যাওয়ার জন্য সিডিএ ১নং রোডের বাসা থেকে বের হয়। তিনি বাসা থেকে বের হয়ে একে খান ইউনিক বাস কাউন্টারে যাওয়ার জন্য রিঙাযোগে ডিটি রোডের নিউ মনসুরাবাদস্থ কর্নেলহাট মদিনা মার্কেটের সামনে পৌঁছলে ছিনতাইকারীরা তার রিঙার গতিরোধ করে সাথে থাকা নগদ ৮ হাজার টাকা এবং ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি ছিনিয়ে নেয়। এরপর খাইরুল ইসলাম আকবার শাহ থানায় মামলা দায়ের করলে রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত টিপ ছোরা ও ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেন বলেন, রোববার ভোরে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বের হয়ে খাইরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি কর্নেলহাট মদিনা মার্কেটের সামনে ছিনতাইয়ের শিকার হন। এসময় তাকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা। ওই ব্যক্তির মামলার সূত্র ধরে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে অভিযান চালিয়ে সম্রাট নামের ওই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্রাট পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওসি জানান, ৯ ফেব্রুয়ারি ছিনতাইয়ের সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল সম্রাট। পরে সে জামিনে ছাড়া পায়। এরপর ১০ এপ্রিল তার এক সহযোগীকে ছুরিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় সম্রাট পালিয়ে যায়। এরপর গত ১ মে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় সম্রাট। সমপ্রতি জামিনে ছাড়া পেয়ে পুনরায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৬ দফার মাধ্যমেই আসে স্বাধীনতা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে কেন বেশি পাহাড় ধস