জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের পেছনে সরকারের অন্য কোনো উদ্দেশ্য দেখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সরকার একটা ইস্যু তৈরি করে সেই ইস্যুকে ডাইভারশনের দিকে নিয়ে যায়। এখন আবার এটাকে তারা…। এটি তাদের আরেকটি প্রজেক্ট। আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমাদের আদর্শ হচ্ছে বহুদলীয় গণতন্ত্র।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর জামায়াত শিবির নিষিদ্ধে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন তিনি। ফখরুল বলেন, পাকিস্তান আমলে কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বাম রাজনীতি যারা করতেন মির্জা গোলাম হাফিজ থেকে শুরু করে, হাজী মোহাম্মদ দানেশ থেকে শুরু করে তারা সবাই দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা। প্রায় দুই বছর সেখানে থেকে তারা ফিরে আসেন। যখন উইথড্র (নিষেধাজ্ঞা) করা হলো তখন আবার তারা দেশে ফিরে এসেছিলেন। যারা স্বৈরাচারী, যারা ডিকটেটরস, যাদের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকে না, তারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত বহু নিয়েছে এবং এগুলো তাদের নিতে হয় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, কেন এতদিন (সিদ্ধান্ত) নেয়নি তারা? আজকে এখন নিচ্ছে কেন? এগুলোর পেছনে তাদের অনেক যুক্তি থাকবে, অনেক কথা ওরা বলবে। আমরা যে কথাগুলো বলছি তার বিপক্ষে তারা অনেক কথা বলবে। তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা খুব পরিষ্কার করে বলি যে, আমাদের বক্তব্যে আমরা খুব পরিষ্কার। আমরা বিশ্বাস করি বহুদলীয় গণতন্ত্রে, আমরা বিশ্বাস করি যারা এখানে রাজনীতি করে, তাদের অধিকার আছে রাজনীতি করার।
জনগণ কার রাজনীতি করবে তা জনগণেরই সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, জনগণের দায়িত্ব হচ্ছে কার রাজনীতি সে গ্রহণ করবে, কার রাজনীতি সে গ্রহণ করবে না। এখন এখানে দরকার একটা সুষ্ঠু নির্বাচন, অবাধ নির্বাচন। আজকে যে এত ক্রাইসিস, এর মূলে হচ্ছে যে, এদেশে কোনো প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার নাই। প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার না হলে তো এই সমস্যার সমাধান হবে না।
জঙ্গিবাদ নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এদেশে জঙ্গিবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে আওয়ামী লীগ। এই সরকার পরিকল্পিতভাবে এদেশে জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে। এর বেশি কিছু আমার বলার নেই।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতায় নিহতের ঘটনাকে গণহত্যা বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেছেন, এই যে ঘটনাবলি ঘটে গেছে, মানুষের ৎুাণ গেছে, এটাকে আমরা গণহত্যা বলি। অবশ্যই এটা গণহত্যা। আমার লিখিত বক্তব্যে আপনি দেখবেন এটাকে গণহত্যা বলা আছে। আমি মনে করি, এই গণহত্যার তদন্ত অবশ্যই জাতিসংঘের তদন্তে হওয়া উচিত। কারণ এই সরকারের কোনো তদন্তে আমরা বিশ্বাস করি না। এরা নিরপেক্ষ না তো, কীভাবে এদের বিশ্বাস করবেন।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্াচ সমন্বয়ককে ডিবি অফিসে হেফাজতে নিয়ে তাদের ওপর ৎুচণ্ড চাপ দিয়ে একটা বক্তব্য দেওয়া হয়েছিল। আপনারা দেখেছেন, একটা খাবার নাটক করা হয়েছে। ডাইনিং টেবিলে বসিয়ে একটা খাবার নাটক তৈরি করা হয়েছে। ডিবি অফিসের একটা নামই হয়ে গেছে ‘ভাতের হোটেল’ হিসেবে।