বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বিএনপির উদারতার কারণে জামায়াতে ইসলামী এদেশে প্রথম রাজনীতি করার সুযোগ পায়। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবের সরকার জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিল। পরে বিএনপি সরকারের সময় তারা রাজনীতি করার সুযোগ পায়। কিন্তু আমরা সব সময়ই দেখেছি এ দলটির একটাই চরিত্র আছে– সেটা হচ্ছে মুনাফেকি। এ মুনাফেকি ছাড়া তারা আর কিছুই করেনি। গতকাল বুধবার রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি শহীদ অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ মণ্ডলের স্মরণসভায় তাহেরপুর হাইস্কুল মাঠে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব বলেন। খবর বাংলানিউজের। রুহুল কবির রিজভী জামায়াতের সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রসঙ্গ টেনে ধরে বলেন, আমরা একসঙ্গে আন্দোলন করলাম এরশাদের বিরুদ্ধে। হাসিনাও প্রথম দিকে ছিলেন। এরপর কাউকে কিছু না বলে তারা হাসিনা–এরশাদের অধীনে নির্বাচনে চলে গেলেন। বেগম জিয়া বলেছিলেন আমরা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাবো না। আর হাসিনা বলেছিল যাবো। হাসিনা একলাফ দিয়ে বলেছিলেন, যারা যাবে না তারা জাতীয় বেঈমান। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গিয়েছিল। জামায়াতও গিয়েছিল। এখন এ যে ছাত্রজনতার আন্দোলন, এ রক্তঝরা আন্দোলন।
ওই দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাঈদ–সে বুক চিতিয়ে বুলেট বরণ করে নিয়ে আমাদের আন্দোলন ইতিহাসের যেই জয় পতাকা উড্ডীন করেছিলেন। তারই অনুপ্রেরণায় ঢাকায় দেখেছি মুগ্ধকে, আমরা দেখেছি ওই শিশু বাচ্চারা একের পর এক আত্মদান দিয়ে শেখ হাসিনার মত এক ভয়ংকর, নৃশংস এক জগদ্দলকে বাংলাদেশ থেকে যখন বিতাড়িত করালো সেই সাহসী বীররা। তারপর আমরা দেখলাম, জামায়াত বলে বসলো আমরা আওয়ামী লীগের সব কিছু মাফ করে দেবো। তাহলে আপনি আবু সাঈদের রক্ত কীভাবে মাফ করবেন? আপনি মুগ্ধের রক্ত কীভাবে মাফ করবেন? আপনি বলে দিলেন?
জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, যে অন্যায় করে তার চক্রে কোনো না কোনোভাবে সেই চক্রে তাকেই পড়ে যেতে হয়। শেখ হাসিনা মনে করেছিল তাকে কখনও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না। তিনি খুন গুম, হামলা–মামলা দিয়ে পার পেয়ে যাবেন। তাহেরপুর পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলিম বাবু সভা সঞ্চালনা করেন।