জাপানের মধ্যাঞ্চলের নগরী তোদায় এক ব্যক্তি একজন চিকিৎসক ও এক রোগীকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে ব্যক্তিই পাশের একটি ডাকঘরে দুইজনকে জিম্মি করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ডাকঘরটি ঘিরে রেখেছে। সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর বয়স ৫০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। তিনি হাসপাতালে গুলি চালানোর পর মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানায় বিবিসি। হাসপাতালে গুলির ঘটনার পর পুলিশ যখন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে তল্লাশি চালাচ্ছিল এসময় পাশের ওয়ারাবি এলাকায় একটি ডাকঘরের ভেতর এক ব্যক্তি দুই নারীকে জিম্মি করে রেখেছে বলে খবর প্রকাশ পায়। দুইটি ঘটনায় একই ব্যক্তি জড়িত কিনা তা এখনো নিশ্চিত করে জানা যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। খবর বিডিনিউজের।
তবে জাপানের সংবাদ মাধ্যমগুলো নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলেছে, ডাকঘরে যিনি দুই নারীকে জিম্মি করে রেখেছেন তিনিই হাসপাতালে গুলি চালিয়েছেন। পরে জিম্মি এক নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যিনি ওই পোস্ট অফিসের কর্মী বলে জানা গেছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তির একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি বন্দুক হাতে তোদা চুও জেনারেল হাসপাতালের কাছের একটি ডাকঘরের প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে আছেন। দুই জায়গার মধ্যে দূরত্ব আড়াই কিলোমিটারের মত।
পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে, অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে পুলিশ হাসপাতালে বন্দুক হাতে হামলার কথা জানতে পারে। দুপুর সোয়া ২টার দিকে ওয়ারাবি থেকে ডাকঘরে দুইজনকে জিম্মি করার কথা জানানো হয়।
পুলিশ ডাকঘরের ৩০০ মিটারের মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। কাছের ভবনগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জাপানে গোলাগুলির ঘটনা খুবই বিরল। দেশটিতে আগ্নেয়াস্ত্র বিষয়ক আইন খুবই কড়া। সেখানে বেসামরিক নাগরিকরা শুধুমাত্র শিকার করার রাইফেল এবং এয়ার গান এর মালিক হতে পারে। এজন্যও তাদের কঠিন যাচাই এর মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তার মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থাও পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা করে দেখা হয়।