ম্যাচ শুরুর আগে যখন জাতীয় সংগীত বাজানো হয়েছিল, ইরানের ফুটবল দলের সবাই তখন চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে আল রাইয়ান খলিফা স্টেডিয়ামে এমন দৃশ্যই দেখা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা চলছে। ইরানের ফুটবলারদের জাতীয় সংগীতে গলা না মেলাবার কারণও অবশ্য খুঁজে পাওয়া গেছে।
দেশের সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করার কারণেই মাঠে এমনটা করেন তারা। ম্যাচের আগে অবশ্য ইরানের অধিনায়ক আলীরেজা জাহানবখশ জানিয়েছিলেন সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সঙ্গে একাত্মতা প্রদর্শন করতে ইরান দলের সব খেলোয়াড় মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত গাওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ম্যাচটিতে অবশ্য নেতৃত্ব দেননি আলীরেজা জাহানবখশ। তবে দলে ছিলেন তিনি।
তবে আলীরেজার কথা অনুযায়ী মাঠে নামার পর ঠিকই জাতীয় সংগীতে গলা মেলায়নি ইরানের ফুটবলাররা। ইরানে সরকারবিরোধী আন্দোলন চলছে দুই মাস ধরেই।
নীতি পুলিশের হামলায় ২২ বছর বয়সী নারী মাসা আমিনি প্রথমে আহত ও পরে মৃত্যুবরণ করলে ইরানে সামাজিকভাবে প্রতিবাদ শুরু হয়। পরবর্তীতে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। এরপর দেশটির নাগরিকরা আন্দোলনে নামলে পুলিশের গুলিতে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে।