জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে– ৬ নভেম্বর সকাল ১১টায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। পরদিন ৭ নভেম্বর বিকেলে নগরের বিপ্লব উদ্যানে আয়োজন করা হবে জনসভা।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি সফল করতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভা থেকে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ। সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম এ আজিজ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, শফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, শিহাব উদ্দিন মুবিন। এসময় ডা. শাহাদাত বলেন, ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এই দিনটির মধ্য দিয়েই সংকীর্ণ বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশে উদার, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সর্বজনীন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ–এর যাত্রা শুরু হয়। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতিকে বিভাজনের রাজনীতি থেকে মুক্ত করে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে এক নতুন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দর্শনের সূচনা করেন। তিনি বলেন, শহীদ জিয়া সমাজতন্ত্রের নামে লুটপাটনির্ভর অর্থনীতির পরিবর্তে উৎপাদননির্ভর উন্নয়ন অর্থনীতির পথে দেশকে ফিরিয়ে আনেন। কৃষি, শিল্প, শ্রমজীবী মানুষ ও যুব সমাজের মধ্যে নতুন করে আত্মবিশ্বাস ও কর্মপ্রেরণা সঞ্চার করেন। তাঁর সময়েই বাংলাদেশ আত্মনির্ভরতার পথে অগ্রসর হতে শুরু করে। বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শই আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনসমূহ ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। সংকট যতই গভীর হোক না কেন, শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত থেকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা সফলতা অর্জন করব।
এরশাদ উল্লাহ বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় সংহতি দিবস আমাদের জাতীয় ঐক্য, স্বাধীনতার চেতনা ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির প্রতীক। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতি বিভাজন ও অনিশ্চয়তার অন্ধকার থেকে ঐক্যের পথে যাত্রা শুরু করেছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ–এর মাধ্যমে জাতিকে নতুনভাবে চিনতে শিখিয়েছিলেন যেখানে ধর্ম, পেশা, শ্রেণি নির্বিশেষে সকল নাগরিকই জাতীয় ঐক্যের অংশ। তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিকে আরও শক্তিশালী ও সংগঠিত করা জরুরি। তৃণমূল পর্যায়ের নেতা–কর্মীদের দায়িত্ব নিতে হবে। জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে শহীদ জিয়ার আদর্শ ও দলের অবস্থান তুলে ধরতে হবে। দলীয় ঐক্য, শৃঙ্খলা ও জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইকে সফল করতে হবে।












