জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক নিধন পরিত্যাজ্য

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ১৮ মে, ২০২৪ at ৭:০৪ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে দেশে দেশে জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিষবাষ্প অতি দ্রুত ছড়াচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সামরিক জান্তার শাসনশোষণকে পাকাপোক্ত করার জন্য এধরনের কর্মযজ্ঞ পরিচালিত হচ্ছে। কথিত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও এসব নিধন প্রক্রিয়ার উদাহরণ নেহায়েত কম নয়। মানবাধিকারের বুলি উচ্চারণে বিশ্বব্যাপী উন্নয়নশীলঅনুন্নত দেশসমূহে অনৈতিক ভীতির সঞ্চার গভীর অনুভূত। হত্যাগণহত্যার মাধ্যমে আরব বিশ্বের সম্পদ লুন্ঠনে তাদের আগ্রাসী মহোৎসব প্রতিনিয়ত বিবেকবান মানুষকে হতবাক করছে। ক্ষমতালিপ্সু কতিপয় হিংস্র দানবরূপী মানুষ আধিপত্য বিস্তারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চালাচ্ছে পরিকল্পিত গণহত্যা ও জাতিগত নিধন। পশ্চিমা বিশ্ব তথাকথিত মানবাধিকারের তকমা লাগিয়ে আরববিশ্বসহ এশিয়াআফ্রিকার দেশসমূহে অবর্ণনীয় বর্বরতার ঘৃণ্য অধ্যায় রচনা করছে। বিগত দুইতিন দশক রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ এবং অপপ্রয়োগের আশঙ্কায় মিথ্যা অজুহাতে পুরো আরব বিশ্বকে ধ্বংসের তলানিতে পৌঁছে দিয়েছে। এদের অসৎ উদ্দেশ্য সাধনে কত সংখ্যক নারীশিশুপুরুষ হত্যা করা হয়েছে তার পরিসংখ্যান নির্ধারণ অত্যন্ত দুরূহ বিষয়।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশ আফ্রিকায় রাজনৈতিক সংঘাতক্ষমতার দ্বন্দ্বজাতিগত বিদ্বেষগৃহযুদ্ধের আড়ালে পরাশক্তিগুলোর প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মহাদেশটির ৫৪ দেশের মধ্যে ৫৩ দেশে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতিতে বৈশ্বিক স্নায়ুযুদ্ধের নতুন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। জাতিগত বৈষম্যবিরোধবিচ্ছেদসহিংসতার আচ্ছাদনে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ নাগরিকের ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের অসহনীয় কাতরতার দোলাচলে ঘুরপাক খাচ্ছে মানবতা। ফিলিস্তিনইরাকসিরিয়াইয়েমেন এবং অন্যান্য দেশে চরম নৃশংসতার আবরণে নারীপুরুষ নির্বিশেষে শিশুকিশোরযুবকবৃদ্ধদের হত্যাগণহত্যার মাধ্যমে ক্ষমতাধর শক্তির কদর্য শক্তি প্রদর্শন অব্যাহত রয়েছে। ১৯৪৮ সাল থেকে নির্যাতিতনিপীড়িত ফিলিস্তিনিরা যুগের পর যুগ চরম অবিচারের সম্মুখীন। দেশ থেকে জোরপূর্বক বিতাড়নের মাধ্যমে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল যে দখলদারিত্ব শুরু করেছিল; তা রোধে আজ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত নয়।

ধারাবাহিক এ সংঘাতে নিরীহ মানুষের প্রাণহানির সংখ্যা অপরিমেয়। একটি স্বাধীনসার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এ সমস্যার একমাত্র ন্যায়সংগত সমাধান সুস্পষ্ট। ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষার্থে বা পক্ষপাততুষ্ট আচরণের কারণে কিংবা নতুন নতুন সংকটে এ বিষয়ে তথাকথিত উন্নতক্ষমতাধর রাষ্ট্রের নানা রকম উদ্যোগপ্রতিশ্রুতি বারংবার ব্যর্থই হয়েছে। স্বাধীনতার প্রশ্নে পৃথিবীর বিপুল সংখ্যক দেশ ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকলেও কথিত পরাশক্তি হিসেবে খ্যাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রযুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের কতিপয় রাষ্ট্রের সরাসরি সমর্থন ইসরাইলকে আরো বেশিমাত্রায় বেপরোয়া করছে। গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর ও রাফা জুড়ে নির্বিচারে নজিরবিহীন বিমানরকেটবোমা হামলা চলমান রেখেছে দখলদার ইসরাইল বাহিনী।

মিয়ানমারের সামরিক জান্তার অপরিসীম নির্যাতন ও গণহত্যার শিকারে পরিণত রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠী। আমাদের দেশ নানামুখী বিরাজিত সংকটের সম্মুখীন। তথাপিও বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতামানবিকতায় বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচাতে এতবড় ঝুঁকি বাংলাদেশকে নিতে হয়েছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। তাদের পিছনে সরকারকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। ২০১৭ সালে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য যৌথ সাড়াদান কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। কিন্তু প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে। ফলশ্রুতিতে প্রতিবছরই প্রতিশ্রুত সহায়তা উদ্বেগজনকভাবে কমছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালে মোট চাহিদার ৪৭ ভাগ অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি উত্তরণে সরকার বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে অনুদান হিসেবে ৪৬৫ মিলিয়ন ডলার এবং ঋণ হিসেবে ৫৩৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্যাকেজ প্রত্যাশা করছে। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, রোহিঙ্গাদের জন্য ঋণ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন সংকট তৈরি করবে।

এটি সর্বজনবিদিত যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগণ বৈশ্বিক সকল বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। ধর্মবর্ণদলমতঅঞ্চল নির্বিশেষে তারা যেকোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার থাকে। উচুমার্গের অসাম্প্রদায়িকমানবতাবাদি চেতনায় প্রকৃত অর্থেই তারা উজ্জীবিত। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষাবিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা অতিশয় মানবিক গুণে সমৃদ্ধ। সম্প্রতি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে শিক্ষার্থীরা গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।

বিখ্যাত আফ্রিকানআমেরিকান মানবাধিকার কর্মী মার্টিন লুথার কিংয়ের আজীবন লালিত স্বপ্ন ছিল বর্ণবৈষম্যহীন একটি দেশ হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার জন্য তিনি জীবনভর লড়াইসংগ্রাম করেছেন। ১৯৬৩ সালের ২৮ আগস্ট ওয়াশিংটন ডিসিতে কৃষ্ণাঙ্গদের অর্থনৈতিক মুক্তি, সমতা আদায়সহ বিভিন্ন লক্ষ্যে আয়োজিত মহাসমাবেশের ভাষণে মার্টিন লুথার কিং শুনিয়েছিলেন সেই অমর মহাকাব্য– ‘আমি স্বপ্ন দেখি যে, এক দিন এই জাতি জাগবে। এই বিশ্বাস নিয়ে বাঁচতে শিখবে : আমরা এই সত্যকে স্বত:সিদ্ধভাবে গ্রহণ করছি যে, সব মানুষ সমান। আমি স্বপ্ন দেখি এক দিন জর্জিয়ার লাল পাহাড়ে সাবেক দাস আর সাবেক দাস মালিকের সন্তানরা ভ্রাতৃত্বের এক টেবিলে বসতে সক্ষম হবে। আমি স্বপ্ন দেখি, এক দিন এই মরুময় মিসিসিপি রাজ্য, অবিচার আর নিপীড়নের উত্তাপে দম বন্ধ করা মিসিপিসি হয়ে উঠবে মুক্তি আর সুবিচারের মরুদ্যান। আমি স্বপ্ন দেখি, আমার চার সন্তান এক দিন এমন এক জাতির মধ্যে বাস করবে, যেখানে তাদের চামড়ার রং নিয়ে নয়, তাদের চরিত্রের গুণ দিয়ে তারা মূল্যায়িত হবে। আমি আজ সেই স্বপ্ন দেখি।’

মার্টিন লুথার কিংয়ের সেই স্বপ্ন আজ কতটুকু সার্থক হয়েছে তা প্রশ্নবিদ্ধ। এখনও যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর বর্ণবাদের কারণে বন্দুক সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। স্কুলসুপার মার্কেটপেট্রল পাম্পরেস্তোরাঁপার্কউপাসনালয়ে বন্দুক সহিংসতাসহ নানা ঘটনা প্রতিনিয়ত সংঘটিত হচ্ছে। ২০২০ সালের জুন মাসে আমেরিকার মিনিয়াপোলিসে পুলিশের নির্যাতনে প্রাণ হারানো কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান জজ ফ্লয়েডের মৃত্যু ছিল সে দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিকৃষ্টতম উদাহরণ। সেসময় দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে চলমান প্রতিবাদবিক্ষোভে পুলিশি নির্মমতার বেশ কিছু ভিডিও বিশ্বের মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকায় সাদাদের তুলনায় কালো মানুষদের ছয়গুণ বেশি আটকের ঘটনা ঘটে। পুলিশের হাতে অধিক হারে নিরস্ত্র আফ্রিকানআমেরিকান হত্যার বিষয়টিও যুক্তরাষ্ট্রের কুৎসিত ঘটনা। দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের দাবী অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক প্রতি বছর গড়ে এক হাজারের অধিক মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছে। একই ধরনের তথ্য প্রকাশ করেছে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও।

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জঘন্য ইতিহাস বহু প্রাচীন। বিশ্বের সবচেয়ে কথিত বড় গণতান্ত্রিক বা পরিপূর্ণ গণতন্ত্র চর্চার দেশ হিসেবে পরিচিত। উক্ত দাবির প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র গুম, খুন বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বিশ্বের অন্য দেশগুলোকে নিয়মিত অহেতুকঅনাকাঙ্ক্ষিত সবক দিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএনের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৪০৭টি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। যা অতীতের যেকোনো সময়ের প্রথম ছয় মাসের বন্দুক হামলার রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০২১ সালেও প্রথম ছয় মাসে প্রায় ৪০০ বন্দুক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি জানায়, মানবাধিকার নিয়ে অন্যকে পরামর্শ দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র নিজ ভুখন্ডের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। ২৯ মার্চ ২০২৩ গণমাধ্যমে প্রকাশিত চীনের স্টেট কাউন্সিল ইনফরমেশন অফিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যক্তি পর্যায়ে অস্ত্র রাখার নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র চরম শৈথিল্য প্রদর্শন করেছে। এর ফলে বন্দুক সহিংসতায় হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। বিশ্বে বন্দুকের মালিকানা, বন্দুককেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড এবং এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যার ঘটনার দিক দিয়েও যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে অবস্থান করছে। ২০২২ সালে এসব ঘটনায় ৮০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ঐ বছর ৬০০টির বেশি ‘ম্যাস শুটিং’য়ের ঘটনা ঘটেছে। বন্দুককেন্দ্রিক সহিংসতা যুক্তরাষ্ট্রে মহামারিতে পরিণত হয়েছে। ১৮ বছরের কম বয়সি ৫৮০০ এর অধিক শিশুকে গুলি করে আহত বা হত্যা করা হয়েছে। স্কুলে গুলি চালানোর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০২টিতে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের পরিসংখ্যানে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতার ভয়াবহ চিত্র উপস্থাপিত। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শুরু থেকে জুলাই পর্যন্ত বন্দুক সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে হত্যার শিকার হয়েছেন ১০ হাজার ৭৮৭ আর বন্দুক ব্যবহার করে আত্মহত্যা করেছেন ১৩ হাজার ৫৯৬ জন। যাদের মধ্যে ০১১ বছর বয়সি শিশু ১৬৩ জন ও ১২১৭ বছর বয়সি ৮৫৮জন তরুণ কিশোর হত্যার শিকার হয়। নিকট অতীতে বাঙালি নিধনে মার্কিন সরকার তাদের কদর্য চরিত্র উন্মোচন করেছে। ২৮ এপ্রিল ২০২৪ আমেরিকার নিউইয়র্ক রাজ্যের বাফেলো শহরে দুই বাংলাদেশি হত্যার বিরুদ্ধে বাঙালিরাসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ও সম্পৃক্ত হয়েছে। মোদ্দাকথা তথ্যউপাত্ত পর্যলোচনায় এটি সুস্পষ্ট যে, মার্কিন সরকারের কথা ও কাজে বিশাল গড়মিল রয়েছে। বর্ণবাদের সাথে যুক্ত হয়েছে আঞ্চলিক বৈষম্যের ভিত্তিতে বিনা কারণে মানুষ হত্যা। আমেরিকায় বসবাসরত বাঙালিদের ক্ষেত্রেও একই চিত্র ভয়ংকর রূপ পরিগ্রহ করে চলছে। অবিলম্বে সকল ধরনের জাতিগতআঞ্চলিক বৈষম্য দূরীকরণ ও নাগরিক নিধন বন্ধের জন্য বিশ্ববাসীর পক্ষ থেকে জোরালো দাবি উত্থাপিত।

লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে ব্যবসায়ীর ওপর হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ