শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, চট্টগ্রামের প্রগতিশীল ও আওয়ামী ঘরানার বাতি শিখা প্রয়াত নেতাদের জীবনাচরণ না জানলে নতুন প্রজন্ম পরিশুদ্ধ হবে না। আজ যাকে আমরা স্মরণ করছি তিনি শুধু একজন রাজনীতিকই নন সমাজ মঙ্গলের বার্তা বাহক। অথচ আজ সমাজ দূষিত, মানবিকতা ভূলণ্ঠিত, এর দায় রাজনীতিকদেরই নিতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সমাজসেবক ডা. এ এম এম জাকেরিয়া চৌধুরীর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীতে গত শনিবার বিকালে আন্দরকিল্লাস্থ কে.বি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় ব্যারিস্টার নওফেল প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। ডা. এ এম এম জাকেরিয়া চৌধুরীর স্মরণসভা পরিষদ এই সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্মরণসভা পরিষদের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিক প্রশাসক ও নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন ও চসিক নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক মঈনুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ চৌধুরী সমশের, সাংবাদিক এম. নাসিরুল হক, ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী বাবুল, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, মুজিবুল হক সিদ্দিকী বাচ্চু, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইদ্রিস, মো. ফিরোজ প্রমুখ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমাদেরকে জাতীয় বীরদের সম্মান জানাতে হবে। তা নাহলে কোনো বীর জন্মগ্রহণ করবেন না। আমরা যদি আমাদের সন্তানদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি তাহলে তারা একদিন জাতীয় বীরে উদ্ভাসিত হবে। রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জাকেরিয়া চৌধুরীর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এখন প্রয়োজন। রাজনৈতিক হতে হলে জনগণের অধিকার আদায়ে জীবন উৎসর্গ করতে হবে। তিনি সকলকে জাকেরিয়া চৌধুরীর জীবনাচরণ অনুসরণের আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।