নগরীর অতি গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত সড়ক জাকির হোসেন রোডে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগের নেয়া বিশেষ এক ব্যবস্থাপনা বিস্তৃত এলাকার হাজার হাজার মানুষের নিত্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠেছে। একইসাথে ভোগান্তি থেকে বাঁচার জন্য প্রতিদিন শত শত মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল করছে। ওমেন কলেজ মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের একটি টিম কাজ করলেও ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল ঠেকাতে পুলিশের কোন তৎপরতা দেখা যায় না। নগরীর খুলশী এক নম্বর সড়কের মুখ থেকে জিইসি মোড়ের গৃহায়ণের অফিস পর্যন্ত এক কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা পুরোটাই ব্লক দিয়ে ওয়ানওয়ে করে দেয়া হয়েছে। কোন মেডিয়ান গ্যাপ না থাকায় সড়কের দুইপাশের হাজার হাজার বাসিন্দার চলাচলে নিত্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পূর্ব নাসিরাবাদের আল ফালাহ গলি, ভুঁইয়া গলি, নাসিরাবাদ প্রোপার্টিজসহ বিস্তৃত এলাকায় হাজার হাজার মানুষের বসবাস। ওমেন কলেজ মোড়ের তেমুহনি থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সড়কের এপাশ থেকে ওপাশ হয়ে চলাচল করেন।
সরকারি মহিলা কলেজ, ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল, ওমরগণি এমইএস কলেজ, একাধিক ছোটখাটো স্কুল, লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষের যাতায়ত। পুলিশি ব্যবস্থার ফলে আল ফালাহ গলি থেকে পূর্ব নাসিরাবাদের বিস্তৃত এলাকার বাসিন্দাদের কোন কারণে খুলশীর দিকে যেতে হলে জিইসি মোড়ের গৃহায়ণ ঘুরে যেতে হচ্ছে।
অপরদিকে জিইসির দিক থেকে গিয়ে ঘরে ফিরতে ঘুরতে হচ্ছে খুলশী এক নম্বর সড়কের মুখ থেকে। একইভাবে বিপরীত পাশের বাসিন্দাদেরও ভুগতে হচ্ছে। এই ভোগান্তি থেকে বাঁচতে শত শত মোটরসাইকেল, সাইকেল নিয়ে অসংখ্য মানুষ প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে পুলিশি ব্লকের ফাঁক দিয়ে পারাপার করে। ওমেন কলেজ মোড়ের মতো ব্যস্ত একটি এলাকাকে কী করে পুলিশ ব্লক করে দিল তা নিয়ে স্থানীয়রা প্রশ্ন তোলেছেন।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ট্রাফিক পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, যানজট নিরসন করতেই পুলিশ জাকির হোসেন রোডের এই অংশটিকে ওয়ান–ওয়ে চলাচল করে দিয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে মানুষের চলাচলের কথা স্বীকার করে দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট বলেন, আমরা কি গাড়ি সামলাবো, নাকি মানুষ! নিজের ভালো না বুঝে কেউ যদি এভাবে মরতে চায় তাতে আমাদের কি করার আছে?