জশনে জুলুসের ৫০ বছর

অভীক ওসমান | রবিবার , ৯ অক্টোবর, ২০২২ at ৮:১২ পূর্বাহ্ণ

‘ঈদ’ উৎসব আসিল রে যেন দুর্ভিক্ষের দিনে,
যত ‘দুশমনি’ ছিল যথা নিল ‘দোসতি’ আসিয়া জিনে।
নহে আরবের, নহে এশিয়ার,-বিশ্বে সে একদিন,
ধূলির ধরার জ্যোতিতে হল গো বেহেশ্‌ত জ্যোতিহীন! (মরু ভাস্কর/কাজী নজরুল ইসলাম)
১৯৪৬ সালে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকের সাথে বার্মার আশেকে রাসুল হযরত ছৈয়দ আহমদ ছিরিকোটির (র.) মোলাকাত হয়। তখন ছিরিকোট হুজুর একটা মসজিদে ইমামতি করতেন। ১৯৪৭ সালে বস্ত্র-ব্যবসায়ী হালিশহর-নিবাসী আবুল বশর ও ‘চিটাগাং আরবান কো অপারেটিভে’র সেক্রেটারি আবদুল জলিল-সহযোগে হুজুরকে চট্টগ্রাম আনেন। সে হিসেবে প্রথম খানকাহ কোহিনূর মঞ্জিল (১৯৩৮)।
সেই থেকে বাংলাদেশে ‘জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া’র যাত্রা শুরু। ‘আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া’ উপমহাদেশের সমৃদ্ধ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। সৈয়দ তৈয়ব শাহ (রা.)-এর বাণী ছিলো, ‘মুঝে দেখনা চাহিয়ে ত্যো মাদ্রাসাকো দেখো’। সম্প্রতি প্রখ্যাত গায়ক আতিফ আসলাম-গীত একটি নাত উদ্ধৃত করছি : ‘মুস্তফা জানে রহমত পে লাখো সালাম/ শম্‌য়ে বয্‌মে হেদায়েত পে লাখো সালাম/ হাম গারিবো ক্যা আঁকা পে বেহদ দরূদ/ হাম ফকিরো কী ছরবতে পে লাখো সালাম’। (গৌরবের প্রান্তর-এম এ মালেক, ২০২২)
জশনে জুলুসে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দ.) এর ৫০ বছর
আজ থেকে সাতশত বছর আগের বিশ্বপরিব্রাজক ইবনে বতুতার ভ্রমণ কাহিনীতেও মুসলমানদের দেশে দেশে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) পালন তিনি স্বচক্ষে দেখেছেন বলে উল্লেখ করে গেছেন। এ উপলক্ষে, গাজী সালাহউদ্দিন আইউবীর ভগ্নিপতি সুলতান আবু মুজাফফর কুকবুরী ইরাকের ইরবিলে রাষ্ট্রীয়ভাবে যে মহা আয়োজন করতেন তা আজো ইতিহাসে আলো ছড়াচ্ছে। আজ থেকে অন্তত সাড়ে বারশত বছর আগের লেখক আজরকি (ওফাত ২০০ হি) তাঁর ‘আখবারে মক্কা’ তে সেই সময়ের আরবে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে নানা আয়োজনের কথা বর্ণনা করে গেছেন। আরব লীগের অন্তর্ভুক্ত বাইশটি দেশের মধ্যে বিশটি দেশেই রাষ্ট্র কর্তৃক এ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে আসছে আবহমান কাল ধরে। সমগ্র মুসলিম বিশ্বের অপরাপর দেশেও রয়েছে অনুরুপ বৈচিত্র্যময় কর্মসূচি। তবে, এ উপলক্ষে যত সব আয়োজন এ যাবৎ বিশ্বময় হয়ে আসছে এরমধ্যে “জশনে জুলুস” হলো সর্বাধিক জনপ্রিয় ও তাৎপর্যপূর্ণ। আরব সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) তে দিন দিন শামিল হচ্ছে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষ। দিন দিন এই জুলুস সেজে আসছে বর্ণাঢ্য আয়োজনে। বাংলাদেশে এমন একটি পরিশীলিত এবং আকর্ষণীয় ইসলামি সংস্কৃতির যাত্রা শুরু হয়েছে রাসুল (দ.)’র ৩৯ তম অধঃস্তন বংশের এক উজ্জ্বল তারকা, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ সহ শতাধিক দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের জনক, কাদেরিয়া ত্বরিকার মহান দিকপাল, গাউসে জামান, আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌ (র.) নির্দেশনা ও রুপরেখা অনুসারে।
১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে, সর্বপ্রথম চট্টগ্রামের কোরবানিগঞ্জ বলুয়ারদীঘি পাড়ের খানকাহ এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া হতে সর্বপ্রথম জশনে জুলুস আত্মপ্রকাশ করে। মাঝখানে এক বছর দু’বার অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ২০২২ সনের জশনে জুলুস হবে ৫০ তম আয়োজন। আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় দেশের প্রথম জশনে জুলুসে নেতৃত্ব দেন আনজুমান ট্রাস্টের তৎকালীন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ আল কাদেরী। আর, ১৯৭৬ সনে এর প্রতিষ্ঠাতা হুজুর কেবলা তৈয়্যব শাহ্‌ (র) এ উপলক্ষে বাংলাদেশ সফরে আসেন এবং তিনি নিজেই এই জুলুসে নেতৃত্ব দেন। যা ১৯৮৬ সন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তিনি প্রতিবছর ৯ রবিউল আউয়াল ঢাকা, এবং ১২ রবিউল আউয়াল চট্টগ্রামে আয়োজিত জসনে জুলুসে নেতৃত্ব দেন। তাঁর নেতৃত্বে এদেশে ‘জশনে জুলুস’ লাভ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। ১৯৮৬ সনেই এতে লাখো মানুষকে যোগ দিতে দেখা যায়। আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট আয়োজিত এই জশনে জুলুস অনুসরণেই বাংলাদেশে বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা, খানকাহ, দরবার, সংগঠন রবিউল আউয়াল মাসে বের করে আসছে দেশব্যাপী শত শত জশনে জুলুস, যা ঈদে মিলাদুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়োজন কে করেছে বর্ণাঢ্য এবং জনপ্রিয়, যা সরকারকেও প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমান সরকার এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে সরকারি বেসরকারি ভবন এবং বিদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আদেশ জারি করে ‘মিলাদ’ অনুষ্ঠানকে আরো বেশি তাৎপর্যমন্ডিত এবং ব্যাপকতা দান করেছে।
আজ জশনে জুলুসের রুপকার আল্লামা তৈয়্যব শাহ্‌ হুজুর এই দৃশ্যমান হায়াতে নেই বটে, কিন্তু তাঁর সুযোগ্য সাজ্জাদানশীন শাহজাদা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্‌ হুজুরের হাতে ‘জসনে জুলুস’ নামক বীজটি বটবৃক্ষ হয়ে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। ১৯৮৭ থেকে এ পর্যন্ত (মাঝে কয়েকবছর ছাড়া) প্রায় সবকটি জুলুসে নেতৃত্ব দিয়েছেন হুজুর কেবলা তাহের শাহ্‌ (মা জি আ)। তাঁর নেতৃত্বে আনজুমান ট্রাস্টের এই ১২ রবিউল আউয়াল, চট্টগ্রাম শহরে আয়োজিত জশনে জুলুসে বিগত বছরগুলোতে আনুমানিক প্রায় অর্ধকোটির কাছাকাছি মানুষের অংশগ্রহন হয়েছে বলে মিডিয়াগুলোতে প্রচারিত হয়েছে। বর্তমানে সচেতন মহল চট্টগ্রামের এই জসনে জুলুস কে বিশ্বের সেরা জসনে জুলুস হিসেবে আখ্যায়িত করছে, এবং এই জুলুস কে বিশ্ব ঐতিহ্য আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘের গিনেজ বুকে স্থান দেওয়ার দাবি ওঠছে কয়েক বছর ধরে। এ দাবি বাস্তবায়ন হলে শুধু ঈদে মিলাদুন্নবী (দ)’র ব্যাপৃতি হবে না, বরং চট্টগ্রামও হবে বিশেষভাবে সম্মানিত এবং আলোচিত।
আসুন, চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ১২ রবিউল আউয়াল এবং ঢাকা- মুহাম্মদপুর কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদ্রাসা হতে ৯ রবিউল আউয়াল অনুষ্ঠিতব্য, জসনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ৫০ তম বার্ষিকীর আয়োজন হয়েছে।
করোনা ফ্রন্টিয়ার গাউসিয়া কমিটি
গাউসিয়া কমিটির প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট মোসাহেব উদ্দীন বখতেয়ার বলছেন সারাদেশে ৮১২৯ জনকে দাফন সহায়তা দিতে পেরেছি। আমরা সৎকার সহায়তা দিলাম ৫৪ জন হিন্দু, ৮ জন বৌদ্ধ, ১ জন মারমা উপজাতি এবং ১ জন খ্রিষ্টান সহ, মোট ৬৪ জনকে। এদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ৫৯ জন। অজ্ঞাত লাশ ৫৪ জন। কারাবন্দী ৫ জন এবং নওমুসলিম ছিলেন অন্তত ১৪ জন।
তবে, চট্টগ্রামে আমরা করোনায় মৃত ছাড়াও, এই মহামারী পরিস্থিতিতে গোসল-কাফন দাফন কাজে মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আগের মত এগিয়ে না আসার কারণে যারা করোনা ছাড়া অন্য কোন রোগে মারা যান এবং আমাদের সহায়তা চান তাঁদের গোসল-কাফন দাফন কাজও আমরা করে আসছি। যা ভবিষ্যতেও চলবে ইনশাআল্লাহ।
আমরা এ পর্যন্ত অন্ততঃ ৩৮,৭০০ মানুষকে দিয়েছি অক্সিজেন সহায়তা। সাতটি এম্বুলেন্সে রোগী সেবা দিয়েছি নয় হাজার দুইশো মানুষকে। এতে বহু অজ্ঞাত পথ রোগীকে দেওয়া হয় চিকিৎসা এবং এম্বুলেন্স সেবায় নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। কোন কোন নাম পরিচয়হীন রোগীকে পাঠানো হয় ময়মনসিংহ, ঢাকার আশ্রয়কেন্দ্রে। আমরা এই সময়ে ভ্রাম্যমান গাড়িতে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহে সহায়তা দিয়েছি ৬০০০+। এ পর্যন্ত দাফন-কাফন, অক্সিজেন, এম্বুলেন্স সহায়তা বা অন্য কোন সেবা দিয়ে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কারো কাছ থেকে কোন পারিশ্রমিক এমনকি তেল গ্যাস খরচও গ্রহণ করেনি, যা একটি বড় একটি মানবিক দৃষ্টান্ত বটে। তাছাড়া আমাদের উপজেলা, থানা কমিটিগুলো এই সময়ে নিয়মিত চিকিৎসা ক্যাম্প আয়োজন করে করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসা বঞ্চিত ২২০০০+ মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা সহ বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করেছে। লাক ডাউনে দেশব্যাপী আড়াই লাখ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা এবং শত শত পরিবারকে বিকাশ ও হাতে হাতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। আর এসব কাজে আমাদের গাউসিয়ানদের পেয়েছি একদম নির্লোভ এবং জানবাজ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে। কী পুরুষ, কী মহিলা প্রত্যেক কর্মীরাই কাজ করছে কোন প্রকারের বিনিময় না নিয়ে, শুধু মাত্র আল্লাহর ওয়াস্তে। এমন কর্মীদের জন্য আজ, আমার নিজের হয় অনেক গর্ব। বি এম কন্টেনারে অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার, চিকিৎসা সহায়তা, বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি এই কমিটির অনন্য ভূমিকা রয়েছে। একই সাথে স্মরণ করতে হয়, দরবারে আলীয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরীফের কামিল পীর- মাশায়েখ হযরাতে কেরামের, যাঁরা এ ঐতিহাসিক ভূমিকার জন্য আমাদের এক অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণে, আগে থেকেই প্রস্তুত করে রেখেছিলেন। কোভিড -১৯ আত্মপ্রকাশ হবার দুইবছর আগে, ২০১৮ তেই দরবারের সবচেয়ে ছোটো শাহজাদা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ আহমদ শাহ্‌ মাদ্দাজিল্লুহুল আলী, মহামারির সময়ের দোয়া নিয়ে আলোচনা করেছিলেন জি ই সি কনভেনশন সেন্টারে, যা একটি আধ্যাত্মিক ঈঙ্গিত বলে আজ সত্যনিষ্ঠ মাত্রই মনে করেন। আর, পীরে বাঙাল, আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্‌’র নির্দেশনা অনুসারে, ‘দাওয়াতে খায়র’র মাধ্যমে, ব্যাপকভাবে মৃতের গোসল-কাফন প্রশিক্ষণের বিষয়টাও যে, আগাম আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি তা আজ সহজেই অনুমেয়।
আলহামদুলিল্লাহ, আমরা এমন আধ্যাত্মিক অভিভাবক পেয়েছিলাম বলেই শতাব্দীর সেরা একটি কর্মযজ্ঞের নায়ক হতে পেরেছিলাম, যা অন্য কারো পক্ষেই সম্ভব হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ আজ হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবার মানবিক ঠিকানা হিসেবেই পরিচিত।
দ্বীনি শিক্ষার বিকাশ
শুরুতে বলা হয়েছে ‘মুঝে দেখ না চাহিয়ে তো মাদ্রাসাকো দেখো’ আনজুমান ট্রাস্ট চট্টগ্রামের জামেয়া আহম্মদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া, ঢাকায় কাদেরীয়া তৈয়বীয়া কামিল মাদ্রাসা বৃহত্তর চট্টগ্রাম সহ সমগ্র দেশে কামিল, ফাযিল, আলিম, দাখিল, এবতেদায়ী, হেফজখানা মিলিয়ে প্রায় ২২০টি দ্বিনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েছে। জামেয়ার রিসার্চ সেন্টার খুলেছে মাসিক তরজুমান সহ অনেক জীবনী, গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশ করেছে। একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল করার প্রকল্প নিয়েছে। এর অঙ্গসংগঠন গাউসিয়া কমিটি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে একটি শক্তিশালী সংগঠন। করোনার সময় মুক্তিযোদ্ধা, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অনেককে দাফন-দাহ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এদেরকে মিত্র ভেবে আপনার হাতকে শক্তিশালী করতে পারেন। রাব্বুল আলামীন আমাদের তওফিক দিন।
সূত্র : ১. এডভোকেট মোসাহেব উদ্দীন বখতিয়ার, ২. অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম রিজভী, ৩. মাসিক তরজুমান, ৪. গৌরবের প্রান্তর এম এ মালেক
লেখক : সাবেক প্রভাষক, জামেয়া, প্রথম নির্বাহী সম্পাদক, মাসিক তরজুমান

পূর্ববর্তী নিবন্ধজশনে জুলুস স্থান পাক ওয়ার্ল্ড গিনেস বুকে
পরবর্তী নিবন্ধপ্রসঙ্গ: ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপনের যথার্থতা