আগামী বর্ষায় জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ও সিডিএসহ সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থার সমন্বয়ে একটি ‘কুইক রেসপন্স টিম’ গঠন করা হবে। টিমের সদস্যদের ত্বরিৎ সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা থাকবে। কোথাও কোনো অসঙ্গতি হলে সাথে সাথে সমাধানে কাজ করবে এই তারা।
গতকাল সোমবার বিকেলে টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে আন্তঃদপ্তরের সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ। দুজনই নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দেন। সভায় জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্পের কাজ শেষে বুঝিয়ে দিলে তা রক্ষণাবেক্ষণে চসিকের আর্থিক সীমাবদ্ধতা নিয়েও আলোচনা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের আওতায় নির্মিত স্লুইচ গেইট অপারেশনেও চসিকের কর্মীদের প্রশিক্ষণের বিষয়টিও গুরুত্ব পায়।
খাল থেকে মাটি উত্তোলনে জোর মেয়রের : সভায় সিটি মেয়র জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ কমাতে খাল থেকে মাটি উত্তোলন, পাহাড় কাটা বন্ধ এবং পাহাড়ের মাটি আসে এমন জয়গায় সিল্ট ট্র্যাপ নির্মাণ এবং সমন্বিতভাবে কাজ করার উপর গুরুত্বরোপ করেন। পলিথিনসহ অপচনশীল বর্জ্য আটকাতে তিনি নগরের কয়েকটি খালে নেট দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানান।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আরো দুই মাস সময় আছে। এই মৌসুমে কীভাবে জলাবদ্ধতা থেকে জনগণকে স্বস্তি দিতে পারি সে পরিকল্পনা করতে হবে। এক্ষেত্রে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ, জলাবদ্ধতার মেগা প্রকল্পের পূর্র্ত কাজ পরিচালনাকারী সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সমন্বয় করে কাজ করবে। এ সংস্থাগুলো নিয়ে কুইক রেসপন্স টিম গঠন করতে হবে। তড়িৎ সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা থাকবে তাদের। কোথাও কোনো অসঙ্গতি হলে সাথে সাথে কেউ কারো দিকে যেন তাকিয়ে থাকতে না হয়। এই টিমের সুপ্রিম পাওয়ার থাকবে। এই টিম সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাধান করবে।
মেয়র বলেন, পানি উঠবেই, এটা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। পৃথিবীর কোন জায়গায় পানি উঠে না। দুবাই শহরে পানি উঠে, অথচ সেখানে কেউ কোনোদিন কল্পনা করেনি। নিউইয়র্কেও পানি উঠে। কিন্তু পানি যেন দ্রুত নেমে যায় সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, কেউ বলতে পারবে না পানি উঠবে না। এজন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ছাড়া বিভিন্ন কারণ আছে। কিন্তু পানি যাতে দ্রুত নিষ্কাশন হয়ে যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে আমাদের। সে ব্যবস্থার জন্য খালের মাটি উত্তোলন করতে হবে। খালের উপরের দিকের ময়লা পরিষ্কার করে দিলে হবে না। খাল গভীর করতে হবে। স্পেসিফিকেশনে খাল কতটুকু গভীর করতে হবে আমি জানি না। কিন্তু খাল থেকে মাটি উত্তোলন করতে পারলে জনগণ দুর্ভোগ থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাবে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এবারও যে জনদুর্ভোগ হবে না তা না। জনদুর্ভোগ কিছুটা পোহাতে হবে। কারণ কোনো প্রজেক্ট সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার আগে পুরোপুরি সুফল পাওয়া যায় না। আংশিক সুফল পাওয়ায় যায়। এখানে যে খালগুলো আছে সেগুলো একটার সঙ্গে আরেকটির সংযোগ আছে। ধরেন ১০টি খালের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে এবং একটি খালের শেষ হয়নি। তখন পানি তো ওখানে গিয়ে বাধাগ্রস্ত হবে। তাই সর্ম্পূণ কাজ শেষ হলে এটার সুফল আসবে কী আসবে না, নাকি ভোগান্তি বাড়বে তখন বুঝা যাবে। কিন্তু আমরা মনে করি বর্তমানে জনগণ যে অস্তস্তিতে পড়েন সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে সেখান থেকে মুক্তি পাবে।
সভায় মেয়র বলেন, এখন বর্ষা মৌসুম নয়। কয়দিন আগে বৃষ্টি হয়েছে, তাতে মুরাদপুরসহ শহরের অনেক এলাকা পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে। মানুষ এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, খালের দুই পাশে গাইড ওয়াল দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এতেই কাজ শেষ না। মূল কাজ হচ্ছে মাটি উত্তোলন। খাল থেকে মাটি অপসারণ করতেই হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন খাল থেকে হয়তো মাটি উত্তোলন করেছে, কিন্তু কী পরিমাণ উত্তোলন করেছে, এটার গভীরতা কতটুকু এ প্রশ্নটা আমি আগেও করেছি। এখনও করছি।
মেয়র বলেন, আমরা খাল ও নালা–নর্দমা পরিষ্কার করছি, আর সেখানে পাহাড় থেকে মাটি এসে পড়ছে। তাই পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে। এজন্য সব সংস্থাকে একযোগে কাজ করতে হবে। চট্টগ্রামের ভূমিদস্যুরা পাহাড়কে শেষ করছে। তিনি বলেন, গতবার লালখান বাজারের একটি পাহাড় ভূমিদস্যুরা কেটে কেটে শেষ করে দিয়েছে। ওই মাটি জিইসি মোড় পর্যন্ত চলে এসেছে। এমনকি রস্তার উপরও চলে এসেছে। এখন তিনি নির্বিঘ্নে ঘুমাচ্ছে আর নালা পরিষ্কার করতে কর্পোরেশনকে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে।
মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা প্রকল্পে সিল্ট ট্রাপ এর কথা আছে। যেখান থেকে পাহাড়ের মাটি নামে সেখানে সিল্ট ট্র্যাপ করতে হবে। এত মাটিগুলো সামনের দিকে এগুতে পারবে না। সিল্ট ট্র্যাপ ভরাট হয়ে গেলে পরিষ্কার করা যাবে। সিল্ট ট্র্যাপ করতে না পারলে যত কথাই বলি না কেন এ শহরের জলাবদ্ধতা থেকে মানুষকে কতটুকু মুক্তি দিতে পারব এ ব্যাপারে সন্দিহান।
মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশনেরও কিছু দায়িত্ব আছে। কর্পোরেশনের যে নালা আছে সেগুলো খালে গিয়ে পড়েছে। কিছু কিছু উপ–খালও মূল খালে পড়েছে। ৩৬টি খালে কাজ চলছে। বাকি ২১টি খালের অবস্থা কিন্তু খুব খারাপ। সেগুলো ভরাট না হয় দখল হয়েছে। সেগুলোও পরিষ্কার করতে হবে। এখন খালগুলো নিয়ে একটি প্রকল্প নেওয়া হবে। ওয়াসা যদি আগে সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) করে থাকে তাহলে নতুন করে করার দরকার নেই। আর সিটি কর্পোরেশন প্রকল্প নেওয়ার বিষয়ে পরামর্শক নিয়োগ দিচ্ছে।
নগরের সিটি আউটার রিং রোড এলাকায় টার্মিনালের দেয়ালের কারণে বেশ কিছু খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে সভায় জানান মেয়র। বলেন, ওখানে খালের দুই পাশ বন্ধ। প্রতিবাদ করেছিলাম। এখন যদি স্লুইচগেইট থেকে ১০০ ফুটের একটি খাল করা না হয় তাহলে আটটি ওয়ার্ডের মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার হবে। তিনি বলেন, আমরা প্রস্তাব করেছিলাম সেখানে খালগুলোকে সমুদ্রে পড়ার ব্যবস্থা করা হয়।
সমন্বয়ে জোর দিয়ে মেয়র বলেন, সবকিছু আমরা সমন্বয় করে করব। কারণ যে সংস্থাই কাজ করুক সবাই কিন্তু চট্টগ্রামে মানুষের স্বার্থেই কাজ করছে। হয়তো নিজেরা পরিকল্পনা নিয়েছে, আলাপ–আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা উচিত। কিন্তু বাস্তবায়ন করার পর বসলে আলোচনা–সমালোচনা হবে, কিন্তু কোনো রেজাল্ট আসবে না।
মেয়র বলেন, বিমানবন্দর সড়কে ম্যুরাল করেছি। যে দৃশ্যের জন্য করা হয়েছে, সেখানে একটা দেয়াল করা হয়েছে, যার ফলে সাগরের দৃশ্যটা আর দেখা যাচ্ছে না। তার জন্য আপত্তি জানিয়েছিলাম। বে–টার্মিনালে যদি উঁচু দেওয়াল দেয়া হয়, তাহলে আর সমুদ্র ও নদী আর দেখা যাবে না। সৈকত এলাকা অন্ধকার হয়ে পড়বে। তাই এখন থেকে যেটাই করি না কেন পরিকল্পনা ও আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এবার যেন পানি না উঠে তার চেষ্টা করবে সিডিএ :
সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, কিছু খাল থেকে তোলা মাটি রয়ে গেছে, সরিয়ে নিব। এ বছর যাতে জলবাদ্ধতা থেকে মুক্ত হতে পারি সেজন্য খুব চেষ্টা করব। যদি পানি উঠে তাহলে প্রধানমন্ত্রী বলবেন, তোরা আমার কর্মী, আমার কর্মীদের দায়িত্ব দেয়ার পরও কেন চট্টগ্রামবাসী পানিতে ডুবছে? সেজন্য আমাদের মুভ করতে হবে। ইনশাল্লাহ আমরা করব।
তিনি বলেন, সমস্যা অনেক। কিন্তু সমাধানও করতে হবে। আগে সিটি কর্পোরেশন না সিডিএ কে কাজ করছে তা নিয়ে একটা ধাক্কাধাক্কি ছিল। একজন আরেকজনের ফান্ড নিয়ে গেছে মনে করত। আমাদের মধ্যে সেটা নেই। আমরা সবাই মিলে একসাথে চট্টগ্রামের উন্নয়নে কত প্রকল্প আনতে পারি সে লক্ষ্যে কাজ করব। আমরা উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে ফান্ড আনার চেষ্টা করব। তাহলে ফান্ডও বেশি আসবে। আমরা দুই মুক্তিযোদ্ধা, হাতে হাত ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়ন কাজ করে যাব। এটা আমাদের শপথ। সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএ আমরা মিলে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা দূর করব। সিটি মেয়র এবং আমি মিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জলাবদ্ধতামুক্ত, বসবাসযোগ্য চট্টগ্রাম গড়তে একসাথে কাজ করব। এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পর কাজ একটু ধীরে এগুচ্ছে বলে মন্তব্য করে বলেন, সেটা যেন দ্রুত হয়।
আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডের বঙ কালভার্ট প্রসঙ্গে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বব্যাংকের টাকা নিয়ে আগ্রাবাদে সড়কের নিচে এক বিশাল নালা করা করেছে। বালি এসে সেটা ভরে গেছে। পানি পাম্প করে নদীতে ফেলতে হয়। কার পাপের প্রায়শ্চিত্ত আমরা করছি? জনগণ গালি দিলে মেয়রকে, আমাকে বা ওয়াসাকে দেবে। এখানে জলাবদ্ধতা না শুধু জলোচ্ছ্বাস হত। অমাবস্যা পূর্ণিমায় জোয়ারের পানি ঢুকে এটা হয়। এখন অনেক স্লুইচ গেট করা হয়েছে। কিন্তু পাম্প করার সময় যদি পলিথিন বা আবর্জনা চলে আসে তাহলে কিভাবে নামবে? সিটি কর্পোরেশনের কাজ বলে আমরা বসে থাকবো না। একসঙ্গে কাজ করব।
তিনি বলেন, কিছু পাপের অভিশাপ নিয়ে এখন আমরা ঘুরছি। মহিউদ্দিন চৌধুরী সারাজীবন চিৎকার করেছেন ঝুলন্ত সেতু করতে। বিএনপি করেছে পিলার সেতু। সেই অভিশাপে কর্ণফুলীতে এখন পলি জমছে। গালি দিলে মেয়রকে, আমাকে বা ওয়াসাকে দিবে। এখন অনেক স্লুইস গেট করা হয়েছে। কিন্তু পাম্প করার সময় যদি পলিথিন বা আবর্জনা চলে আসে তাহলে কিভাবে নামবে? সিটি কর্পোরেশনের কাজ বলে আমরা বসে থাকবো না। একসাথে কাজ করব।
বিভিন্ন খালে ওয়াসার পাইপলাইন থাকার কথা উল্লেখ করে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, ইতোমধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে নালাগুলোতে থাকা ওয়াসার পাইপসহ বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করতে সিডিএ’র প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছি।
জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করতে গিয়ে আমলাদের সীমাবদ্ধতা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার আর মেয়র মহোদয়ের সীমাবদ্ধতা নেই। কারণ আমরা কামলা, শেখ হাসিনার কামলা। আমাদের রাতও নেই, দিনও নেই।
সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, চসিকের কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী ও আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর মো. রকিবুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বন্দরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাবরিনা হক।
চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৪ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান চারটি প্রকল্পের তথ্য উপস্থাপন করেন চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম।
একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, আগে খাল ছিল ৭৬ টা। এখন ৫৭টা। বাকিগুলোর কোনো অস্তিত্ব নেই। আমাদের মাস্টারপ্ল্যানে সব ডিটেইল আছে। কোন খালে কত গভীরতা করতে হবে। কত মাটি তুলতে হবে। কত সিল্টট্র্যাপ করতে হবে সব ডিটেইল দেয়া আছে। খালগুলোতে চারশ–পাঁচশ ফুট পরপর নেট বসিয়ে দেন। কেন বসাচ্ছে না, জানি না। মোবারক আলী বলেন, প্লাস্টিক, পলিথিন, বোতলসহ বিভিন্ন অপচনশীল দ্রব্য খাল–নালায় গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। এজন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহ যাতে প্লাস্টিক–পলিথিন ইত্যাদি রিসাইক্লিংএ যাতে এগিয়ে আসে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে।
আবুল হাসনাত মো. বেলাল জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্থাগুলোর মধ্যে কর্মবন্টন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিকল্পিত নগরায়নের উপর জোর দেন।
লতিফুল হক কাজমী বলেন, প্লাস্টিক–পলিথিন এখন জলাবদ্ধতা নিরসনের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা বিভিন্ন খাল–নালা পরিস্কার করার পর দেখা যাচ্ছে ১০ দিনের মধ্যে আবারো প্লাস্টিক–পলিথিনে সে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর নাব্যতাও এখন পলিথিনের কারণে হুমকির মুখে। এজন্য পলিথিন বন্ধে ব্যাপক অভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রয়োজন।
এদিকে ‘কুইক রেসপন্স টিম’ এর বিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান নির্বাহী শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল আসলাম আজাদীকে বলেন, সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলীকে আহ্বায়ক করার প্রস্তাব এলেও সিডিএ চেয়ারম্যান চসিকের প্রধান প্রকৌশলীকে করতে বলেছেন। সেভাবেই হবে। সভার রেজ্যুলেশন বের হলে কমিটি করা হবে।