জলাবদ্ধতার কারণ অনুসন্ধানে বাকলিয়ায় সিডিএ চেয়ারম্যান

আজাদী অনলাইন | শুক্রবার , ১২ জুলাই, ২০২৪ at ৮:২৩ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীর সবচেয়ে জলাবদ্ধতা প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।

আজ শুক্রবার দুপুরে মিয়াখান নগরের বেলোয়ার খান সওদাগর জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে জলাবদ্ধতার কারণ অনুসন্ধানে নামেন তিনি।

এর আগে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি এখানে সিডিএর চেয়ারম্যান হিসেবে নয়, আপনাদের খাদেম হয়ে এসেছি। আপনাদের এলাকার জলাবদ্ধতার কারণ খুঁজতে ছুটে এসেছি। আমি চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা শূন্যের কোটায় আনতে চাই। এতে আপনাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

খালে, নালায় বাসাবাড়ির আবর্জনা, পলিথিন ফেলবেন না। খাল-নালা পরিষ্কার রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এছাড়া খাল রাস্তা দখল করে ঘরবাড়ি করবেন না। এ নগরীকে বাসযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলতে আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।

সিডিএ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছের পরিদর্শনকৃত স্থান সমূহ হল মিয়া খান নগর রোড, মুরালি রোড, ইসমাইল ফয়েজ রোড, পশ্চিম পাড়া, চাক্তায় সংযোগ খাল, চাক্তায় খাল, চাক্তাই স্কুল এরিয়া, হাজী মনসুর আলী রোড এলাকা, বদর আলী খাল, ইসহাকের পোল ও কালামিয়া বাজার এলাকা।

এ সময় তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন।

সরেজমিন পর্যবেক্ষণে তিনি লক্ষ্য করেন, খাল দখল-সংকোচন, খাল-নালায় সরাসরি ময়লা, আবর্জনা, পলি বর্জ্য নিক্ষেপ, নালায় ময়লা জমার কারণে দক্ষিণ বাকলিয়া একটু বৃষ্টি কিংবা জোয়ারে জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। সিডিএর চলমান জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কারণে ইতিমধ্যে কিছু সুফল পাওয়া গেলেও প্রকল্প শেষে তা আর থাকবে না।

এ প্রকল্পের আওতায় খাল দখলমুক্ত হবে। খাল দখলদার যতই প্রভাবশালী হোক অপসারণ করা হবে। তবে আমাদের এ সমস্যা থেকে স্থায়ী মুক্তির উপায় আমাদের হাতে। যত্রতত্র ময়লা, আবর্জনা, পলিথিন খাল, নালায় নিক্ষেপ করলে সমস্যায় পড়তে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্ট্রোক করে মারা গেলেন জুলধার ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক
পরবর্তী নিবন্ধরাউজানে পল্লী ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ