জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে

আলোচনা সভায় বিভাগীয় কমিশনার

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১১ মে, ২০২২ at ১১:০১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন শুধু বাংলাদেশেরই সমস্যা নয়, এটি বৈশ্বিক ইস্যু। এ দেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। এখানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বর্তমান সরকার ব্যাপক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অবশ্যই সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ বিষয়ে জনগণকে আরও ব্যাপকভাবে সচেতন করতে হবে। বনভূমি ধ্বংস বন্ধ করার পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন বাড়াতে হবে। পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিভাগে জলবায়ু পরিবর্তন, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর পরিবেশ বিষয়ক কার্যক্রম সম্পর্কিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের (কোডেক) সহযোগিতায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আলোচনা সভার আয়োজন করেন। সভায় জানানো হয়, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় চট্টগ্রামসহ বিভাগের ৭টি উপকূলীয় জেলা এলাকায় পিকেএসএফ’র পক্ষ থেকে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি প্রকল্পের বাজেট ধরা হয়েছে ৫০ লাখ মিলিয়ন ডলার।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও কোডেক’র সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ইন্দ্রানী কানুনগোর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের কার্যপরিধি ও চট্টগ্রাম বিভাগে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন পিকেএসএফ’র উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমাদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোডেক’র উপ-নির্বাহী পরিচালক কমল সেনগুপ্ত।

মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে প্রাইভেট সেক্টরে প্রশমন সংক্রান্ত কার্যক্রমে জিসিএফ’র অর্থায়ন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) জিসিএফ’র ইউনিট প্রধান এম. মুসলেহ উদ্দিন। আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ নাথ, অধ্যাপক ইদ্রিছ আলম, অধ্যাপক আয়েশা আক্তার, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ওয়াহিদুল আলম, চট্টগ্রাম মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক মাধবী বড়ুয়া প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের কৃষিখাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষিকে এই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লবণাক্ততা সহিষ্ণু, খরাসহিষ্ণু, জলমগ্নতা সহনশীল, উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীলসহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে চাষের উপযোগী ধান, গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারণে আমাদের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক সফলতা এসেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধসুস্মিতা আনিসের কণ্ঠে ‘এক বিকেলে’