জলকদর খালে ব্রিজের ভাঙা পাটাতন, বোট চলাচলে বিপত্তি

ক্ষুব্ধ লবণ ব্যবসায়ীরা

বাঁশখালী প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীর জলকদর খালের উপর গন্ডামারা বাজার শীলকুপের মনকিচর এলাকার নষ্ট বেইলি ব্রিজের পাটাতন ভেঙে খালে পড়ে যাওয়াতে লবণবাহী কার্গো বোটসহ ভারী মালামালের নৌযান চলাচল করতে পারছে না। জোয়ারের সময় কিছু ছোট নৌ চলাচল করতে পারলে ও ভাটার সময় কোন ধরনের নৌ চলাচল করতে পারে না বলে স্থানীয় লবণ চাষী ও ব্যবসায়ীরা জানান।

ফলে লবণ ব্যবসায়ীরা তাদের লবণ পরিবহন করতে না পেরে বাধ্য হয়ে মজুদ করছেন। তবে সাধারণ চাষীরা উৎপাদিত লবণ যথাযতভাবে সরবরাহ করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েছে। নষ্ট ব্রিজটির মালামাল খুলে নেওয়ার জন্য মো. সেলিম নামে এক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও দীর্ঘ সময় সে কাজ শেষ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে কাউন্সিলর মো. আনছুর আলী তালুকদার ও পশ্চিম গন্ডামারা লবণ উৎপাদন সমবায় সমিতির সভাপতি আবু আহমদ বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বরাবরে আবেদন করেছেন।

জানা যায়, ১৯৯১ সালে যোগাযোগের অভাবে বাঁশখালীর প্রায় অর্ধলাখ মানুষের প্রাণহানির পর তৎকালীন সরকার যোগাযোগ মন্ত্রাণালয়ের অধীনে বাঁশখালী উপকূলে ৬টি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল গন্ডামারা বাজারের ব্রিজটি। কিন্ত ১৯৯৫ সালে স্টিল দিয়ে নির্মিত এ ব্রিজের অধিকাংশ পাটাতন নষ্ট হয়ে যাওয়াতে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ২০১৩১৪ সালের দিকে বেইলি ব্রিজের দক্ষিণে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু স্টিল ব্রিজটি সংস্কার বা খুলে নেয়ার কোনো উদ্যোগ বা পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

লবণ উৎপাদন সমবায় সমিতির সভাপতি আবু আহমদ বলেন, বর্তমান লবণ উৎপাদন মৌসুমে বেশকিছু লবণ বোঝাই কার্গো বোট, ঢাকা, খুলনা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লবণ পরিবহন করা হয়। কিন্ত বেইলি ব্রিজের ভাঙা পাটাতন জলকদর খালের মাঝখানে পড়ে যাওয়ায় কোনো মালামাল বাহী কার্গো বোট চলাচল করতে পারছে না। তাছাড়া এলাকার লবণ চাষীরা তাদের মালামাল পরিবহন করতে পারছেন না।

লবণ ব্যবসায়ী ও কাউন্সিলর মো. আনছুর আলী তালুকদার জানান, ব্রিজটির পাটাতন জলকদর খালে পড়ে গেলেও তা পানি থেকে ঠিকাদারের অবহেলায় তোলা না হচ্ছে না। এতে লবণ শ্রমিক, মৎস্য শ্রমিক, লবণ ব্যবসায়ী, মাছ ব্যবসায়ীসহ সকলের মালামাল পরিবহনে বড় সমস্যা হচ্ছে। তাই প্রশাসনের দ্রুত সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেছি।

এদিকে ঠিকাদার সেলিমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছেন বলে জানান।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান

চৌধুরী বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। তিনি কীভাবে বিষয়টি দেখছেন তা আমাকে জানালে আরো বিস্তারিত জানানো যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঝুলে আছে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজার সৈকতে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু