চমেক হাসপাতালের গাইনী বিভাগে নারীদের জরায়ু পরীক্ষায় ডাক্তার-নার্সদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান ঘুরে দেখেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি দল। গতকাল সকালে ইপিআই প্রধান ডা. মো. শামসুল হকের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিমটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পরির্দশনে যান। এ তথ্য নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম আজাদীকে বলেন- গাইনী বিভাগে একটি ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে উনারা এসেছেন। ঘুরে দেখেছেন। প্রসঙ্গত, নারীদের জরায়ু পরীক্ষায় ভায়া টেস্টসহ আরো কয়েকটি টেস্ট করণে কেবল ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। সারাদেশ থেকে সেখানে গিয়েই ডাক্তার-নার্সদের প্রশিক্ষন নিয়ে আসতে হয়। এবার চমেক হাসপাতালে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিম গতকাল পরিদর্শনে আসেন।
চমেক হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাই মূল উদ্দেশ্য হলেও চমেক হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরেজ ঘুরে দেখেন ইপিআই প্রধান। এসময় টিকা সংরক্ষনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা পরখ করে দেখেন তিনি। পরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতরে অনলাইনে একটি সভায় অংশ নেন তিনি। এসময় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির ও সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বিসহ স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা সাথে ছিলেন। পরিদর্শনের পর টিকা সংরক্ষনের ব্যবস্থা নিয়ে ইপিআই প্রধান সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানান চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
টিকা সংরক্ষনের ব্যবস্থা হিসেবে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন- আমাদের ইপিআই স্টোরে প্রায় ৭০ হাজার ভায়াল টিকা আমরা রাখতে পারবো। যা ৭ লাখ ডোজের সমান। যে টিকা আসবে, সেটি ২-৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখতে হবে। এই ব্যবস্থা আমাদের স্টোরে রয়েছে। ইপিআই প্রধান এসব ব্যবস্থা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।