জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে পরীক্ষামূলকভাবে হিউম্যান পাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম) অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জরায়ু মুখ ক্যানসার (এইসপিভি) প্রতিরোধে টিকা দান ক্যাম্পেইন ২০২৩ এর উদ্বোধন করেন। খবর বাংলানিউজের।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহিদ মালেক বলেন, দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের পেছনে চিকিৎসার পাশাপাশি ভ্যাকসিন অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে। আজকে আমরা বাংলাদেশে হিউম্যান পাপিলোমা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করতে যাচ্ছি। এই ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেবায় আরেকটি মাইলফলক অর্জিত হল।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের শুরুতে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা বিষয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিকা দান কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার এসএম আবদুল্লাহ আল মুরাদ। উপস্থাপনায় তিনি বলেন, জরায়ুমুখের ক্যান্সারে গত তিন বছরে ১৫ হাজার মা–বোন মারা গেছে। দীর্ঘদিন পরে হলেও আমরা জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে একটি ভ্যাকসিন নিয়ে আসতে পেরেছি। এই টিকা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৯০ শতাংশ কিশোরীকে নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের পরিকল্পনা হলো ৯৫ শতাংশ কিশোরীকে টিকার আওতায় আনা। আমরা তিনটি ধাপে সারা দেশে এ কার্যক্রম পরিচালনা করব।