চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে অবস্থিত পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি। পুরনো আমলের জরাজীর্ণ ভবনটি এখন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে, ফ্লোরের কোথাও দেবে গেছে, আবার কোথাও দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। জানা যায়, বর্তমান পরিষদ চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি দায়িত্বভার গ্রহণের পর ভবনের নড়বড়ে জানালার গ্রিল ভেঙে চোরের দল দুই দফায় ভিতরে প্রবেশ করে ডিজিটাল ল্যাবের মূল্যবান ব্যাটারি, কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়। এসময় আসবাবপত্র ভাংচুরের পাশাপাশি আলমারিতে রক্ষিত পরিষদের মূল্যবান কাগজপত্রও তছনছ করে চোরের দল।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে অনিরাপত্তার কথা জানিয়ে পরিষদের বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আকবর বলেন, জরাজীর্ণ এ ভবনে বসে কাজ করতে অনেক ভয় লাগে। তারপরও বাধ্য হয়ে প্রাত্যহিক দাপ্তরিক কাজগুলো করতে হয়। গ্রাম আদালতের নির্দিষ্ট স্থানটির ফ্লোর দেবে যাওয়ায় নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দরজা-জানালা ও গ্রিলগুলো নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। দেয়াল ও ছাদে রঙ লাগিয়ে কোনোমতে ঢেকে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ফাটলে সিমেন্টের আস্তর দিয়ে ফাটলস্থান ঢাকা হয়েছে। সহসায় এখানে নতুন ভবন নির্মাণ না করলে যেকোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্ক্ষা রয়েছে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম বলেন, কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে ও পটিয়ার প্রবেশ দ্বারে অবস্থিত। পরিষদের আধুনিক ও যুগোপযোগী ভবন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। এ ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সরকারি বরাদ্দ পাওয়া জনগণের চাল ও বিভিন্ন পণ্য মজুদ রাখতেও সমস্যা হয় এখানে। এ বিষয়ে তিনি হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপির সহযোগিতা কামনা করেন।












