জব্বারের বলি খেলা শুরু হতে আর খুব বেশি সময় বাকি নেই। আগামী ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী এই বলি খেলা। এরই মধ্যে লালদীঘি মাঠের ভেতরেই বলি খেলার মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এখন অপেক্ষা খেলা মাঠে গড়ানোর। একে একে সব প্রস্তুতি সারছেন আয়োজকরা। গতকাল বুধবার বলি খেলার প্রত্যাশিত সে ট্রফি উন্মোচন করা হয়েছে। যে ট্রফির জন্য লড়াই করবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বলিরা। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বলিদের জন্য জার্সিও উন্মোচন করা হয়।
গতকাল লালদীঘি পাড়স্থ জব্বারের বলিখেলা আয়োজক কমিটির কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ট্রফি এবং জার্সি উন্মোচন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। বলি খেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি ও আন্দকিল্লা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহরলাল হাজারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জার্সি ও ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কমিটির সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল। এসময় উপস্থিত ছিলেন আলকরণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, বলি খেলা আয়োজক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন, আকতার আনোয়ার চঞ্চল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, জব্বারের বলি খেলা চট্টগ্রামের শত বছরের বেশি সময়ের ঐতিহ্য। এই দেশ থেকে অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। হয়তো সামনে আরো অনেক কিছু হারিয়ে যাবে। পৃথিবী থেকে অনেক ভাষা হারিয়ে গেছে। হয়তো একসময় চট্টগ্রামের ভাষাও হারিয়ে যাবে। তবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে এসব ঐতিহ্য ধরে রাখার। জব্বারের বলি খেলার সফল আয়োজনে সর্বাত্মক সহায়তা এবং চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন। তিনি বলেন, করোনার কারণে দুই বছর এই বলি খেলা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। গত বছরও একরকম অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। তবে এবারে আমরা আরো জাঁকজমকপূর্ণভাবে বলি খেলা আয়োজন করতে চাই। আশা করছি ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে দেবে জব্বারের এই বলি খেলা। মেয়র বলেন, নানা কারণে এই জব্বারের বলি খেলার জন্য অপেক্ষায় থাকে চট্টগ্রামের মানুষ। বিশেষ করে গৃহস্থালি সামগ্রীর জন্য। কারণ এই বলি খেলা এবং মেলায় এমন সব পণ্য সামগ্রী পাওয়া যায় যা আপনি বকশির হাট কিংবা অন্য কোথাও পাবেন না। আর এসব পণ্য বিক্রেতারা জব্বারের বলি খেলার জন্য অপেক্ষায় থাকে। সব মিলিয়ে জব্বারের এই বলি খেলা বলা যায় চট্টগ্রামের মানুষের বিশাল এক মিলন মেলা।
পরে তিনি বলি খেলার মাঠ পরিদর্শন করেন। এরই মধ্যে মাঠও তৈরি হয়ে গেছে। যেহেতু ঈদের পরদিন বা ঈদের দ্বিতীয় দিন অনুষ্ঠিত হবে এবারের বলি খেলা সেহেতু চট্টগ্রামের মানুষ বাড়তি আনন্দ উপভোগ করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন সিটি মেয়র।