আশপাশে নেই কোনো বাড়িঘর। তারপরেও প্রায় ৮০ হাজার টাকা সরকারি বরাদ্দে বসানো হয়েছে সুপেয় পানির আর্সেনিকমুক্ত গভীর নলকূপ। বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড বাদামতল এলাকার পাশে বসানো হয়েছে এই নলকূপটি।
স্থানীয়রা বলেন, সরকারি এসব নলকূপ সাধারণত গরীব অসচ্ছল পরিবারের মাঝে দেয়া হয় যাতে বেশ কয়েকটি পরিবার সুপেয় পানি পান করতে পারে। কিন্তু জনশূন্য এলাকায় স্থানীয় মো. খোরশেদ নামের এক ব্যক্তি এই নলকূপটি বসিয়েছেন। কেন এমন একটি জায়গায় নলকূপটি বসানো হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। অনেকেই জানে না যে এখানে একটি নলকূপ আছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভূ–গর্ভের পানির স্তর নেমে যাওয়ার কারণে পানির সংকট দেখা দেয়। অকেজো হয়ে পড়ে টিউবওয়েল। শুকনো মৌসুমে পানীয় জলের সংকট দূর করতে সরকারিভাবে দেওয়া হচ্ছে গভীর নলকূপ। পোপাদিয়া এলাকায় নলকূপটি বসাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা।
আবদুর রহিম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বিশুদ্ধ পানির সংকট মেটাতে সরকারিভাবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বসানো হয় গভীর নলকূপ। তবে স্বজনপ্রীতির কারণে এসব নলকূপ বসাতে অনিয়ম হচ্ছে। ফলে প্রকৃত মানুষরা নলকূপ না পাওয়ার কারণে এর সুফল ভোগ করতে পারছে না সাধারণ জনগণ।
নলকূপ স্থাপনকারী মো. খোরশেদ বলেন, নলকূপটি বসানো হয়েছে কয়েক মাস হচ্ছে। যেখানে বসানো হয়েছে সেখান থেকে রাস্তা পর্যন্ত একটি পানির লাইন তৈরি করে দেব যাতে রাস্তার মানুষ যাওয়া আসা করার সময় তৃষ্ণার্ত হলে বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারে। এছাড়া আমি সেখানে ঘর তৈরি করবো। নলকূপটি আমি সাবেক সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দীন আহমদ থেকে নিয়েছি।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ–সহকারী প্রকৌশলী সুদর্শী দেওয়ান বলেন, নলকূপ বিতরণের ক্ষেত্রে কিছু স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কিছু ইউপি চেয়ারম্যান তালিকা দেয়। সে অনুপাতে বরাদ্দ করা হয়। ফলে কারা পাচ্ছেন কারা পাচ্ছেন না তা জনপ্রতিনিধিদের ওপর নির্ভর করে। এই নলকূপটি সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মোছলেম উদ্দীন আহমদের বরাদ্দ ছিল।