জনমত জরিপে বিজয়ের সম্ভাব্য পূর্বাভাস

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ১১ নভেম্বর, ২০২৩ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

এটি সর্বজনবিদিত যে, যেকোন জাতিরাষ্ট্রের সরকার পরিচালনায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হচ্ছে জনমত বা জনসম্মতি। জনমতের ওপর ভিত্তি করেই দেশে সরকার গঠন, শাসন পরিচালনা, ক্ষমতায় আরোহণঅপসারণসহ নতুন সরকার গঠিত হয়। সাধারণত যে কোন বিষয়ে সমাজরাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের সমষ্টিকে জনমত বলা হয়। কিন্তু সকল মতামতই জনমত হিসেবে বিবেচ্য নয়। বিখ্যাত ফরাসি দার্শনিক রুশো তাঁর লেখনিতে সর্বপ্রথম জনমত শব্দটি ব্যবহার করেন। বিশিষ্ট লেখক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানি লর্ড ব্রাইসসহ বিশিষ্ট গবেষকদের মতানুসারে, জনমত হল সম্প্রদায়ের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে জনগণের অভিমতের সমষ্টি বা সমাজের বিভিন্ন মতের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ফল। এ সম্পর্কে ব্রিটিশ দার্শনিক জন স্টুয়ার্ট মিলের বক্তব্য বিশেষ প্রণিধানযোগ্য। তাঁর বক্তব্য অনুসারে কোন সুনির্দিষ্ট জাতীয় সমস্যার ওপর জনগণের সংগঠিত অভিমতের নাম জনমত। প্রাচীনকালে জনমতের কিছু ভূমিকা থাকলেও; মতামত দেওয়ার অধিকারী জনগণের সংখ্যা ছিল নগণ্য। আবার সে মতামত প্রকাশের কোনো সুষ্ঠু ব্যবস্থাও ছিল না। আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনমতের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে জনমত প্রত্যয়টি দৈনন্দিন আলাপ আলোচনায় বিশেষ করে রাজনীতিক ও সংবাদমাধ্যমে বহুল প্রচারিত।

ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৩৬ সালের নির্বাচনে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কিছু নমুনা অংশের মতামতের ওপর ভিত্তি করে জনমত জরিপের পদ্ধতির সূচনা হয়। পরবর্তীতে নমুনা মতামতের ওপর ভিত্তি করেই জনমত জরিপের রীতি প্রচলিত হয় এবং ১৯৬৫ সালের মধ্যেই পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বিস্তৃতি লাভ করে। ধারাবাহিকতায় পাশ্চাত্যে শত শত জরিপ প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। তন্মধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠানও একইভাবে জনমত যাচাই শুরু করে। বিশ্বব্যাপী জনমত জরিপের ব্যাপক প্রসারের পাশাপাশি এর বহুমাত্রিক ব্যবহারও দৃশ্যমান। বিশেষ করে যেকোন দেশের অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক নীতি নির্ধারণে সরকারসমূহ এসব জরিপের সাহায্য নিচ্ছে। নির্বাচন এবং আন্দোলনে সাফল্যের পূর্বাভাস জানতে রাজনীতিকব্যবসায়ী ও সংগঠন প্রায়শ জনমত জরিপের দ্বারস্থ হয়। গবেষণাকারীরাও প্রতিনিয়ত জনমতের ছোটবড় জরিপের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তাদের মতামত জানার চেষ্টা করেন। কিছুকাল ধরে বাংলাদেশেও জনমত জরিপের পরিচিতিব্যবহার গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপিত হচ্ছে। এদেশে জনমতের প্রধান ব্যবহারকারী হচ্ছে রাজনৈতিক দল, ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান।

অতিসম্প্রতি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির এক জনমত জরিপে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৪৮ থেকে ১৬৬টি, বিএনপি ১১৯ থেকে ১৩৭টি এবং অন্যান্য দল ১৫টির মতো আসন পাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য ফলাফলের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের পক্ষে সরকার গঠনের সম্ভাবনা বেশি। আর বিএনপির পক্ষে এককভাবে সরকার গঠনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ‘ভোটারের মন বুঝে’ ও আগের চারটি ‘আপেক্ষাকৃত ভালো’ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রণীত এই গবেষণার তথ্য উপস্থাপনে সংস্থাটির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে কোন দলের অবস্থা কেমন হতে পারে, তা জাতীয় কৌতুহলের বিষয়। দোদুল্যমান ভোটারদের মন বুঝতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে দীর্ঘ খোলামেলা আলাপআলোচনা করা হয়েছে। যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ পদ্ধতির মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে দলভিত্তিক সম্ভাব্য ফলাফলে উপনীত হয়েছি।’ গবেষণার ক্ষেত্রে তিনি যে প্রধান অনুসিদ্ধান্ত ধারণ করেছেন; তা হলো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক। যেখানে সব দলপ্রার্থী ও ভোটারের জন্য নির্বাচনী মাঠ হবে সমানসমতল। ফলে গবেষণায় নির্বাচনী কারসাজি, প্রহসন, জোরজবরদস্তি, টাকাপয়সার খেলাএসব স্থান পায়নি। গবেষণায় আগের যে চারটি আপেক্ষাকৃত ভালো নির্বাচনের ফলাফলকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে১৯৯১, ১৯৯৬এর জুন, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচন।

গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার ১১ কোটি ৯০ লাখ। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ ভোটারই দলের অনুগত। দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫৫টি আসনের ফলাফল মোটামুটি অনুমেয়। এগুলো দলসমূহের জন্য সম্ভাব্য বিজয়ের প্রায় নিশ্চিত আসন। ফলাফল বিশ্লেষণের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের পক্ষে সরকার গঠনের সম্ভাবনা বেশি। আর বিএনপির পক্ষে সরকার গঠনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বিএনপির জোটবদ্ধ সরকার গঠনের সম্ভাবনা থাকলেও তা অনেক বেশি শর্তসাপেক্ষ। উক্ত গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, দোদুল্যমান ভোটারদের ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিজ্ঞজনের মতে, বিগত দেড় যুগে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতির দৃশ্যমান জনপথরেলপথসেতুআশ্রায়ন প্রকল্পমডেল মসজিদ নির্মাণ বিশেষ করে পদ্মাসেতুবঙ্গবন্ধু টানেলরূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎবেটার্মিনালসহ দেশের সামষ্টিক আর্থসামাজিক অগ্রগতির ধারাসমূহ অবশ্যই বিবেচিত হবে। সামাজিক খাতে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকৃষকশ্রমিকআপামর ছাত্র জনতার জীবন প্রবাহে ইতিবাচক পরিবর্তনে গৃহীত উদ্যোগগুলো ভোটারদের হৃদয়ে রেখাপাত করার প্রবল সম্ভাবনা অতিশয় কার্যকর।

৮ আগস্ট ২০২৩ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইনসাইটস ইন সার্ভে রিসার্চ এর ‘ন্যাশনাল সার্ভে অব বাংলাদেশ, মার্চএপ্রিল ২০২৩’ শীর্ষক জরিপ অনুসারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাজে দেশের ৭০ শতাংশ মানুয়ের সন্তুষ্টি প্রকাশের চিত্র উদ্ভাসিত। উল্লেখ্য জরিপ মতে, ২০১৮ সালের তুলনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ৪ শতাংশ বেড়েছে। করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় সাফল্য শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া নানামুখী অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অব্যাহত বিস্তৃতকরণ প্রধানমন্ত্রীকে আরও জনপ্রিয় করে তুলছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ জনসমর্থন ধরে রেখেছে। জরিপে অংশ নেওয়া উত্তরদাতারা বিভিন্ন খাতে শেখ হাসিনার সরকারের সাফল্যের ভূয়শী প্রশংসা করেছেন। সড়ক, মহাসড়ক এবং সেতু নির্মাণে সরকারের সাফল্যের কথা বলেছেন ৮৭ শতাংশ মানুষ। ৯২ শতাংশ জানিয়েছেন যে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তারা ভোট দিতে পারেনে। ৪৪ শতাংশ মানুষ বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইলেও বেশিরভাগ মনে করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই নির্বাচনে বিরোধীদের অংশ নেওয়া উচিত। উল্লেখ্য যে, গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে দেশের ৬৪ জেলার পাঁচ হাজার ভোটারের সঙ্গে কথা বলে আইআরআই এই জরিপকার্য পরিচালনা করে। উত্তরদাতাদের মধ্যে ২ হাজার ৩৪৮ জন ছিল ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে। ৩৬ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে ছিল ১ হাজার ৭৩৩ এবং ৫৬ বছরের উপরে ছিল ৯১৯ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ও নারীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২ হাজার ৬৩৩ ও ২ হাজার ৩৬৭ জন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১ হাজার ৫৫০ জন শহরের এবং গ্রামের ৩ হাজার ৪৫০ জন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ঋণ প্রাপ্তির পটভূমিতে বিখ্যাত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংস্থা ব্লুমবার্গ প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ লিডার বেটস আইএমএফম্যান্ডেটেড রিগর উইল পে অফ ইন পোলস’ শিরোনামের নিবন্ধে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও সময়োচিত সংস্কার পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখায় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল। নিবন্ধে বলা হয়, শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে সম্ভাব্য জয়ী হওয়ার কারণ এটা নয় যে তাঁর অনেক প্রতিপক্ষ কারাগারে আছেন বা আইনি ফাঁদে পড়েছেন। বরং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তাঁর সাফল্যের কারণেই এটা ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত। নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, ব্যালট বাক্সে পরাজিত হওয়ার ভয়ে বিশ্বজুড়ে সরকারি দলের নেতারা যেখানে প্রায়ই আইএমএফের সঙ্গে সম্মত সংস্কার বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়ছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের মতো নন। তাঁর দ্রুত আইএমএফ ম্যান্ডেটের বাস্তবায়নে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে, যেখানে পাকিস্তান এখনো জ্বালানি ভর্তুকি নিয়ে দুরবস্থার মধ্যে রয়েছে।

উল্লেখ্য জনমত জরিপ ও জনগণের কাঙ্ক্ষিত আস্থা ও বিশ্বাস বিবেচনায় এটি সুস্পষ্ট যে, বিরোধী দলের আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাসজ্বালাওপোড়াওদেশ বিধ্বংসী অপকর্ম কোনভাবেই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। উদ্ভূত যুদ্ধরত লন্ডভন্ড বিশ্বব্যবস্থায় জ্বালানিনিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যআমদানিরাপ্তানিরেমিট্যান্স প্রবাহডলার সংকট ইত্যাদি পুরোবিশ্বকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। বাংলাদেশেও এর সমুদয় প্রভাব পরিলক্ষিত। এতদসত্ত্বেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারের সাফল্য অভাবনীয় প্রক্রিয়ায় দেশের অবস্থানকে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি সুসংহত রেখেছে। সাধারণ শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ এক ঘন্টার জন্যও কর্মবিহীন থাকলে তাদের আয় উপার্জনে চরম ব্যাঘাত ঘটে। পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দুর্বিষহ জীবনযাপনে কঠিন অবস্থায় নিপতিত এসব ক্ষুধার্ত মানুষগুলো কোনভাবেই তাদের কর্মচাঞ্চল্য ব্যাহত হওয়ার মত ন্যূনতম কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি সমর্থন করে না। জনমন জয়ে সকল রাজনৈতিক শক্তির জরুরি প্রয়োজন হচ্ছে কর্মপ্রবাহকে সচল রাখার পরিপূর্ণ সহযোগিতা। অন্যথায় জনতার ক্ষোভআর্তনাদকাতরতার দায়ভাগ বিরোধী দলকেই নিতে হবে।

বিগত অক্টোবর মাসের ২৫২৬ তারিখে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশন আয়োজিত ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম ২০২৩’ এর বিভিন্ন অধিবেশন ও দ্বিপক্ষীয় আলাপে বিশ্বের বহু দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ নেতারাও বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নঅগ্রগতিতে নেতৃত্ব দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্ছসিত প্রশংসা করেন। সামগ্রিক বিবেচনায় অদম্য অগ্রগতিতে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের উন্নয়নশীল বিশ্বের মহাসড়কে পদার্পণ বিশ্বপরিমণ্ডলে অভিনব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। চলমান বৈশ্বিক সম্ভাব্য সংকট উত্তরণে সততাদক্ষতাযোগ্যতাদেশপ্রেমের সুদৃঢ় সমাহারে দলমতধর্মবর্ণঅঞ্চল নির্বিশেষে সমগ্র জনগণের ঐক্যবদ্ধতার কোন বিকল্প নেই। প্রতিহিংসাপারস্পরিক দোষারোপবিরোধ বিচ্ছেদসহিংসতানানামুখী বিষোদগার সংহার করে পরমতসহিষ্ণুতা ও পরিশুদ্ধ গণতান্ত্রিক ধারায় দেশের এগিয়ে চলার পথ অন্তরায়প্রতিবন্ধকতামুক্ত রাখার দেশবাসীর প্রত্যাশা অক্ষয়অম্লান থাকুক।

লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রীতিময় জীবনের জন্য চাই সুসম্পর্ক
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মিছিল