সরকার প্রবর্তিত ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ চালু করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, এই পেনশন স্কিম চালুর মধ্য দিয়ে দেশের জনগণের অর্থনৈতিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে নবদিগন্তের সূচনা করেছে।
গতকাল গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গরিব–দুঃখী, অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। দেশের প্রতিটি মানুষ পেট ভরে খেতে পারবে, নিরাপদে ঘুমাতে পারবে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা পাবে–এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। দেশের স্বাধীনতার শত্রু ও স্বার্থান্বেষী মহলের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর এদেশের মানুষের না ছিল ভোটের অধিকার, না ছিল ভাতের অধিকার। সৌভাগ্যক্রমে, প্রবাসে অবস্থান করায় নরপশুদের হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে যাওয়া দুই কন্যার মধ্যে প্রথম কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে প্রত্যাবর্তন করে স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুর শাসানি ও মৃত্যুকে পায়ে দলে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন।
সিটি মেয়র বলেন, আন্দোলন–সংগ্রামের কঠিন পথচলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলার আপামর মানুষের প্রিয় নেত্রীতে পরিণত হন। ১৯৯৬ সালে গণমানুষের রায় নিয়ে সরকার পরিচালনা সুযোগ পেয়েই আপামর জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের জন্য নানান ভাতা চালু করতে থাকেন। ষড়যন্ত্রের নির্বাচনে ২০০১ সালে সরকার পরিচালনা থেকে ছিটকে পড়লেও গণমানুষের ভালোবাসায় ২০০৮ সালে আবারো রাষ্ট্র পরিচালনায় ফিরে একের পর এক ভাতা চালু করেন, যাতে সামাজিক সাম্য ও সকল মানুষের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিধান করা যায়। সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করায় দেশের সকল স্তরের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সুদৃঢ় নিরাপত্তা পাবে। চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী ও নিম্নআয়ের মানুষের জন্য ‘প্রগতি’, ‘সুরক্ষা’, ‘সমতা’ এবং ‘প্রবাসী’ নামে ৪টি প্যাকেজের মাধ্যমে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে এ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে। পেনশন স্কিম চালু করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে আরো একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলকে ছুঁয়ে গেছেন। এতে দেশের সর্বশ্রেণীর মানুষ পেনশনের আওতায় আসার পথ উন্মোচিত হয়েছে।