বিএনপিকে জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আখ্যা দিয়ে তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তাদের জোটেও জঙ্গি রয়েছে, সেজন্য জঙ্গিদের ধরলে তাদের গাত্রদাহ হয়। ‘দেশে কোনো জঙ্গি নেই’ এবং ‘ধর্মপ্রাণদের জঙ্গি বানিয়ে সরকার ফায়দা হাসিল করছে বলে যে অভিযোগ বিএনপি মহাসচিব করেছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় হাছান মাহমুদের এমন মন্তব্য এলো। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরে ‘রক্তাক্ত মাগুরা প্রেক্ষিত–মুক্তিযুদ্ধ’ এবং ‘শেখ মুজিবুর রহমান থেকে জাতির পিতা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে বিএনপি ও জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, জঙ্গি আটক করলে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবসহ বিএনপি নেতাদের গাত্রদাহ হয় কেন? খালেদা জিয়া বলেছিলেন, দেশে কোনো জঙ্গি নাই, কিছু মানুষকে ধরে এনে আটক রাখা হয়, চুল–দাড়ি লম্বা হলে জঙ্গি আখ্যা দেয়া হয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের গত কয়েক দিনের বক্তব্য এটাই প্রমাণ করে, দেশে জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। আমরা জঙ্গি নির্মূল করতে পারতাম যদি তারা পৃষ্ঠপোষকতা না করত। তাদের ভেতরেও জঙ্গিরা আছে। তাদের যে জোট, সেই জোটের মধ্যে জঙ্গিরা আছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, কানাডার আদালত পাঁচবার বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে রায় দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অথরিটি বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিএনপি যেহেতু নিজেরা সন্ত্রাসী, জঙ্গি লালন করবে সেটা খুবই স্বাভাবিক। এজন্য জঙ্গি ধরলে তাদের গাত্রদাহ হয়।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খুনিদের মুখপাত্র হিসেবে কথা বলছেন। ২১ আগাস্ট তো ঘটিয়েছে তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়ার অনুমোদনক্রমে। এখন তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। অর্থাৎ খুনিদের সেই দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। উনি তো খুনিদের মুখপাত্র হিসেবে এ কথাগুলো বলছেন। আগামী শুক্র–শনিবার বিএনপি গণমিছিল ঘোষণা নিয়ে এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ‘গণমিছিল, হাঁটা মিছিল, দৌড়ানো মিছিল, বসা–কর্মসূচি’ এগুলো কর্মীদেরকে চাঙ্গা রাখার জন্য করা হচ্ছে।