জঙ্গল সলিমপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | সোমবার , ৬ অক্টোবর, ২০২৫ at ৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে দুর্গম জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল ও আলীনগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ৩ জন হলো জাহিদ (৩৫), জয়নাল (৩২) ও জিহাদ (৪০)। সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. মজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল বস্তি ও আলীনগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই চলে আসছিলো। এতে প্রায়ই খুন, ধর্ষণ ও হানাহানির ঘটনা ঘটে। গতবছরও এখানে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এছাড়া জায়গা দখল, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণসহ নানা ইস্যুতে এখানে সন্ত্রাসীদের মধ্যে অশুভ প্রতিযোগিতা লেগেই আছে। এসব কারণে গত মাসেও এখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু থামেনি সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য।

গত শুক্রবার রাতেও আলীনগর ও জঙ্গল সলিমপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের তুমুল সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। এতে একজন নিহত

ও আরো অন্তত ১৩ হন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে আহতদের চমেকে ভর্তি করায়।

এছাড়া আটককৃতদের কাছ থেকে একটি দেশে তৈরি এলজি, ৮টি শর্টগানের গুলি, ২টি পিস্তলের ম্যাগজিন, ১টি চাপাতি, ১টি লোহার হাতুড়ি ও পিস্তলের ৩টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সোহেল রানা।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. মজিবুর রহমান বলেন, জঙ্গল সলিমপুরে আধিপত্য বিস্তারে একাধিক গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। শুক্রবারের ঘটনা নিয়ে ইয়াছিন গ্রুপ রোকন উদ্দিন মেম্বার গ্রুপকে দায়ী করে এবং আবার আরেকটি পক্ষ দাবি করে ইয়াছিন গ্রুপের সন্ত্রাসীরা রোকন গ্রুপের একজনকে নাকি পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। তিনি বলেন, ঘটনার দুই দিনেও আমরা নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাইনি। কারণ সেখানে অধিকাংশ মানুষ ভ্রাম্যমাণ। সন্ত্রাসীরাও বহিরাগত। এখন সিআইডিকে বলা হয়েছে ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করে তার পরিচয় সনাক্ত করতে। সে চেষ্টা চলছে। তার পরিচয় পাওয়া গেলে আরো বিস্তারিত জানা যাবে। কিন্তু এসব ঘটনায় ইয়াছিন বা রোকন কেউ জড়িত আছে কিনা তা এখনো আমরা নিশ্চিত হইনি। নিহত ব্যক্তির কোনো স্বজনের হদিস পাওয়া গেলে তারা যাকে আসামি করে মামলা করতে চান তাকে আসামি করেই হত্যা মামলা হবে। কেউ বাদী না হলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা হবে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এবং অস্ত্র উদ্ধারে আমরা ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তবে তারা ৩ জনই আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। সেখানেই গ্রেপ্তার আছে তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছুটি শেষে প্রচারণায় সরগরম ক্যাম্পাস
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের তিনে তিন