করোনা প্রাদুর্ভাবের পূর্বে স্কুল কলেজ ছুটির পর কিংবা বন্ধের দিনে বন্ধুদের সাথে আড্ডা, খেলাধুলা, গল্প বলে বা মা বাবার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, চিড়িয়াখানা কিংবা আত্মীয় স্বজনের বাসা বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে যেটুকু সময় কাটত এখন করোনাকালে সেটারো বারণ আছে! জীবন জীবিকার কারণে বাবা, অনেক ক্ষেত্রে চাকরিজীবী মাও ঘরের বাইরে বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে! কিন্তু তাদের বেলায় সে সুযোগটাও নাই! সুতরাং তারা বাধ্য হয়ে বর্তমান সময়ে দিন রাত আবদ্ধ ঘরে সোশ্যাল মিডিয়া, মোবাইল, ফেসবুক, ল্যাপটপ, মোবাইল গেমস ও টিভির পর্দায় চোখকে সারাক্ষণ নিবদ্ধ রাখে। সামাজিক মাধ্যমগুলো এখন অসামাজিক মাধ্যমে পরিণত হয়েছে! এই আসক্তি থেকে এদেরকে বের করে আনাটা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ এর প্রতিনিয়ত ব্যবহারে তাদের মেজাজ যেমন খিটখিটে হচ্ছে তেমনি প্রায়ই অস্থির থাকে! এই আসক্তি মাদকের চেয়েও ভয়ংকর! এর অত্যধিক ব্যবহারে মন ও শরীরকে অসুস্থ করে যেমন ঠিক তেমনি ঘাড় ব্যথা, চোখ টনটন, মানসিক অশান্তি ও রাতে ঠিকমতো ঘুমও হয়না এদের!
সুতরাং, এই অবস্থায় প্রত্যেক পিতামাতারা নিজ নিজ ছেলেমেয়েদেরকে এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রয়োজনে যারা সাংস্কৃতিক জগতের সাথে যুক্ত যেমন- সঙ্গীত, তবলা, আবৃতি, চিত্রাঙ্কন ও কবিতা লেখাতে উৎসাহিত করতে হবে। জীবিকার কারণে যারা ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে প্রায় দূরে থাকেন, তাদেরকে কাজের ফাঁকে একটু বেশি সময় দিতে হবে। প্রয়োজনে ঘরে বসে এদের সাথে বন্ধুর মতো মিশে গিয়ে দাবা, লুডু, ক্যারাম বা অক্ষর মেলানোর মতো খেলায় এদেরকে নিয়োজিত রাখতে হবে যাতে দিনরাত প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ না পায়। যে করে হোক তাদেরকে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের জাল থেকে ফেরাতে হবে। নাহয়, আমাদের প্রত্যেক ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হবে!