চট্টগ্রাম বিশ্বকবিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেছেন, ছাত্ররা অবশ্যই রাজনীতি করবে, কিন্তু সেই রাজনীতি হতে হবে ছাত্রদের অ্যাকাডেমিক স্বার্থকেন্দ্রিক। সেটা জামায়াত, বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগ বা কোনো দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি হবে না। একাডেমিক স্বার্থে ছাত্র রাজনীতি করতে হবে। ওয়াচডগের ভূমিকা পালন করতে হবে।
গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় চবি উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন চবি উপাচার্য। তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে লাখো বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে, কিন্তু কোথাও কি দেখাতে পারবেন–সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে লাশ পড়ে? একজন ছাত্র শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দিতে আসছে আর তাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে। এমন ঘটনা কী কোথাও ঘটেছে? তার মানে কী সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নেই। সেখানে অবশ্যই ছাত্র রাজনীতি আছে। এমআইটি, হার্ভার্ড, অঙফোর্ড, ক্যামব্রিজসহ বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠন আছে, শিক্ষকদের সংগঠন আছে।
উপাচার্য বলেন, যেসব ছাত্র নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থেকে মাস্তানি, চাঁদাবাজি আর ফাও খেয়েছে, সেটা জাদুঘরে যাবে। এখন আর সেই সুযোগ থাকবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু রাজনীতির চর্চা হবে।
তিনি বলেন, ৪০ বছর শিক্ষকতা করেও কোনদিন প্রশাসনিক কাজের প্রস্তাব পাইনি। কিন্তু আজকে ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। যারা লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির সাথে জড়িত তাদেরকে প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজে নিয়োগ দেওয়া হত। যার কারণে আমি কোনদিন কোন হাউস টিউটরের দায়িত্বও পালন করার প্রস্তাব পাইনি। ২৪–এর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আজকে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ হয়েছে।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন প্রশাসনের মাধ্যমে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব করে গড়ে তোলার জন্য কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন চবির সদ্য নিয়োগ পাওয়া এই উপাচার্য। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজহার, সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান এবং সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সদস্যরাসহ ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।