চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা নতুনভাবে স্বাধীনতা পেয়েছি। এর আগে প্রমোশন পায়নি, অবহেলিত ছিলাম। জুলাই–আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে চাকুরিতে প্রমোশন পেয়েছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে রেখে কাজ করবেন। স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানরা দায়িত্ব পালন করতে পারে। প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ঘাটতি থাকলে, মতবিরোধ দেখা দিলে ডিসি হিসেবে আমি উপস্থিত থেকে সদস্যদের নির্বাচনের মাধ্যমে সিলেক্ট করবো সেটি প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্যানেল চেয়ারম্যানদের বিষয়ে জটিলতা নিরসন করার জন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করছি। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী অতন্ত্র প্রহরীর মত কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত দপ্তর প্রধান ও সুধীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান। বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনী লোহাগাড়া জোনের মেজর আহসানুল করিম রাঈম, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন, উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আবুল কালাম, এম সাইফুল্লাহ চৌধুরী, লোহাগাড়া শাহপীর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর, অধ্যক্ষ মো. ফারুক হোসাইন, মোজাহিদুল ইসলাম, ছাত্র প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল নোমান ও শফিকুর রহমান। এই সময় সাতকানিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারিস্তা করিম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন ও শাহজাদা মিনহাজসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ও সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পিঠা উৎসব, বিজ্ঞান মেলা, উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের দৃষ্টিনন্দন গেট, শিশুপার্ক, সুইমিং পুলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।
একইদিন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ইশমাম ও ইসকনের হামলায় নিহত শহীদ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের পরিবারের সাথে সাক্ষাত করে নগদ অর্থ ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।
এই সময় জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ ইশমামের বাড়িতে এসেছি। ঝরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে তার বসতঘর। তার বসতঘর নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নগদ ৩ লাখ টাকা প্রদান করেছি। তার বসতঘরে যাওয়ার রাস্তাটি সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শহীদ ইশমামের কবর সংরক্ষণ করার জন্যও ২ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এছাড়া শহীদ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে উপহার সামগ্রী প্রদান করেছি। এই সময় শহীদ অ্যাডভোকেট আলিফের কবরে যাবার রাস্তাটি সংস্কার ও তার এলাকায় মাদ্রাসার উন্নয়নে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের ঘোষণা দেন তিনি।