চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহকারী প্রক্টর প্রফেসর ড. কুরবান আলীকে লাঞ্ছিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী। তার নাম আফসানা এনায়েত এমি বলে জানা গেছে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীকে বারবার শিক্ষকের দিকে তেড়ে যেতে দেখা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শেখ হাসিনা হলের সামনে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে সামাজিক মাধ্যমে। সবাই ওই ছাত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এদিকে সহকারী প্রক্টরকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল চবি শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এছাড়া চবি শাখা ছাত্রশিবির নিন্দা জানিয়েছে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের ‘নৌকা প্রতীক’ ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙতে গেলে হলটির নারী শিক্ষার্থীদের বাধার সম্মুখীন হন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় হলের নারী শিক্ষার্থী ও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের মাঝে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে সহকারী প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. কুরবান আলীর মুখে চড় মারেন শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমি। এ সময় ছাত্রীদের ইটপাটকেলে কয়েকজন ছাত্র আহত হয়। পেশাগত কাজে আসা দুজন সাংবাদিককে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয়। একজন সাংবাদিকের মোবাইলও কেড়ে নেওয়া হয়।
সহকারী প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. কুরবান আলী বলেন, আমরা সেদিন আমাদের দায়িত্ব পালনের জন্য শেখ হাসিনা হলে গিয়েছিলাম। আমরা তো কারো শত্রু না। বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য হলের নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি। কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনতে রাজি ছিল না। একপর্যায়ে আফসানা এনায়েত ইমি নামের এক শিক্ষার্থী আমার শরীরে আঘাত করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আফসানা এনায়েত এমিকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি সাড়া দেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান জানান, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে প্রতিবেদন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।