আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মন্তব্য করে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরেও ছাত্র সংগঠনটি সন্ত্রাসে লিপ্ত। গতকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ব্রিফিংয়ে সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রচারে যেন ভূমিকা না রাখার বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। খবর বিডিনিউজের।
নিষিদ্ধ করে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করা সম্ভব কি না– এই প্রশ্নে উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, নিষিদ্ধ করার মূল উদ্দেশ্যটা হচ্ছে তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লাগাম টানা। আগের অবস্থাতে তারাই থাকতে চেয়েছে, এমনকি ৫ আগস্টের পট পরিবর্তন এর পরেও আচরণগত পরিবর্তন আনেনি। নিখোঁজ বলেন, পলাতক বলেন, বা প্রকাশ্য বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত আছে– সংস্থাগুলোর এ রকম সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদেরকে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।
আরও কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হবে কি না, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, সংবাদপত্রে ছাত্রলীগকে নিয়ে অনেক নিউজ হয়েছে। নিরাপদ সড়ক রক্ষার আন্দোলন থেকে শুরু করে যে কয়টি ছাত্র আন্দোলন হয়েছে সবখানে আমরা ছাত্রলীগকে একটি সন্ত্রাসী ভূমিকায় দেখেছি। তখন যারা ক্ষমতায় ছিল তারা বলেছে, এদেরকে ম্যানেজ করার জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট। ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী কায়দায় আন্দোলন দমন করার জন্য ব্যবহার করার হয়েছে। তিনি বলেন, তাদের নিষিদ্ধ করার আরেকটি কারণ হল, জুলাই গণহত্যার পরে তারা থেমে গেছে তা নয়। আদালত থেকে তারা বেশ কয়েকবার দোসী সাব্যস্ত হয়েছে। বর্তমানের প্রাধিকার বিবেচনায় আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। অন্য কোনো রাজনৈতিক সংস্থাকে নিষিদ্ধ করার কোনো আলোচনা হয়নি। সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়টি আলোচনা হয়নি।












